ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : বর্তমান সময়ে রাজনীতিতে মঞ্চ কাঁপানো বক্তব্য আর প্রতিপক্ষকে কু-কথায় ভরিয়ে তোলা রাজনীতির অঙ্গ হয়ে উঠেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে একটা প্রশ্ন উঠেছে “কু-কথার রাজনীতি? নাকি রাজনীতির কু-কথা”? এহেন রাজনীতির প্রেক্ষাপটে রাজনীতির এই আক্রমণ থেকে নিজেকে বরাবরই সরিয়ে রেখেছেন দেব। রুপালী পর্দার দুনিয়া থেকে দেবের রাজনীতিতে পা ২০১৪ সালের লোকসভা ভোটে। দেব জানিয়েছেন দিদি তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আবেদনে সাড়া দিয়েই তাঁর প্রথম ভোটে দাঁড়ানো।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
প্রথম ভোটে দাঁড়িয়েই দিল্লির লোকসভায় নিজের জায়গা করে নিয়েছিলেন দেব। ফের ২০১৯ এ দ্বিতীয় বারের জন্য তৃণমূলের টিকিটে ঘাটাল লোকসভার সাংসদ নির্বাচিত হন তিনিই। এই দশ বছরে দেবের সৌজন্যতার রাজনীতি নজর কেড়েছে ঘাটাল তথা বাংলার রাজনীতিতে। বিভিন্ন জনসভায় দেব বারবার বলেছেন মানুষ যাকে পছন্দ করবেন তাঁকেই ভোট দিন। তৃণমূলের অন্যান্য নেতা নেত্রীদের মত প্রতিপক্ষকে ব্যক্তি আক্রমণ বা দলীয়ভাবে কু-কথা বলা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে পেরেছেন দেব। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে রামনবমীর দিন দেবের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি এবং বাগডগরা বিমান বন্দরে দেবকে কটাক্ষ করে ‘জয় শ্রীরাম’ বলার পরেই তাঁকে জড়িয়ে ধরে আলিঙ্গন করার দৃশ্য নজর কেড়েছে রাজনৈতিক মহলের।
Lok Sabha Election
এর পরেই নানান মহলে দেবকে নিয়ে উঠে এসেছে নানান চর্চা। দেবের প্রশংশা করে ঘাটালের বিচক্ষণ ব্যক্তিদের অনেকের মন্তব্য, তৃণমূলের রাজনীতি আর দেবের রাজনীতির তফাৎ অনেক। দেব যেটা পারেন সেটা তৃণমূলের অন্য নেতৃত্বরা করতে পারেন না। বৃহস্পতিবার একটি টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে দেব আরো কিছু কথা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন। তিনি জানান, কু-কথার রাজনীতিতে দেব বিশ্বাসী নয়, দেব মানুষের ভালোবাসায় বিশ্বাসী। মানুষ তাঁকে ভালোবাসা আর বিশ্বাসের উপর ভোট দেন। দেব জানান, রাজনীতির ময়দানে নানান ভাষা প্রয়োগের বিরোধী তিনি। অভিনয়ের জগতে ‘প্রধান’ সিনেমার প্রেক্ষাপট তৃণমূলের রাজনীতির ঘটনার বিপরীত। সেটা নিয়ে তিনি বলেন, অভিনেতা দেব সবসময় স্বতন্ত্র।
আর অভিনয়ে বাস্তবের কিছু কথা উঠে এলে তাতে কারো খারাপ লাগলে তাঁর কিছু করার নেই। চলতি সপ্তাহে দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে বালুরঘাট লোকসভায় প্রচারে গিয়েও বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের নাম নিয়েই সৌজন্যতার বার্তা দিয়েছেন। তৃণমূলের মঞ্চে দাঁড়িয়ে সেদিন বলেন ‘সুকন্তদা আমার ভালো বন্ধু, সম্পর্ক ভালো, তাঁকেও শুভেচ্ছা, রাজনীতির ময়দানে মানুষ যাকে ভালোবাসবে তাঁরই জয় হবে’। একটা রাজনৈতিক দলে থেকে তিনি যে অন্যান্যদের মত প্রতিপক্ষকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবেন না এটা স্পষ্ট হয়েছে বারবার। তাই দেবের রাজনীতির সাথে তৃণমূলের রাজনীতিকে গুলিয়ে ফেলা যাবে না বলেই একসুরে মতামত জানিয়েছেন ঘাটালের মানুষ।
বৃহস্পতিবারের সেই সাক্ষাৎকারে দেব জানিয়েছেন অন্যদের আক্রমণ না করেও জেতা যায়। জেতার জন্য ব্যক্তি আক্রমনের প্রয়োজন পড়ে না। শুধু ভালোবাসা আর বিশ্বাসটা অর্জন করতে হয়। দেব স্পষ্ট করে জানিয়েছেন রাজনীতির ময়দানে জেতার জন্য নিজেকে যেদিন অন্যদের মত কু-কথা আর আক্রমণাত্মক কথা বলতে হবে সেদিনই তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। গত দশ বছর সাংসদ থাকার পর তৃতীয়বারের প্রার্থী হিসেবে দেবের সৌজন্যতার রাজনীতি দেবের ভোট বাক্সে প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মত অনেকের। এবারেও জয়ের ক্ষেত্রে দেব নিজেও আত্মবিশ্বাসী।
আরও পড়ুন : ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে এবার অভিনেতা বনাম অভিনেতার লড়াই! জল্পনা তুঙ্গে
আরও পড়ুন : হুটার বাজিয়ে এসকর্ট করে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাবে বনদপ্তর, থাকবে কড়া নজরদারি
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Lok Sabha Election
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper