বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : অক্ষয় তৃতীয়ার দিন উদ্বোধন হবে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের। তার আগেই দীঘার সমুদ্রে ভেসে এলেন কাঠের প্রভু জগন্নাথ। রবিবার বিকালে দিঘার মাইতি ঘাটের কাছে উদ্ধার হয়েছে জগন্নাথ দেবের একটি কাঠের মূর্তি। যা ঘিরে দিঘা জুড়ে যথেষ্ট ধর্মীয় চাঞ্চল্য ছড়ায়।
রবিবার বিকালে মাইতি ঘাটের পাশেই আরও একটি ঘাট নির্মাণের কাজ করছিলেন শ্রমিকরা। তখনই সমুদ্রে ভাসতে ভাসতে তটে এসে পড়ে জগন্নাথ দেবের কাঠের মূর্তিটি। যা দেখে রীতিমতো অবাক হয়ে যান কর্মরত শ্রমিকরা।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here

নেপথ্যের সত্য ঘটনা জানালেন কল্পনা জানা নামে স্থানীয় এক গ্রামবাসী। দিঘার সমুদ্র সৈকতে জগন্নাথদেবের মূর্তি ভেসে আসায় অলৌকিক কাহিনী জুড়ে দিচ্ছেন অনেকেই। অল্পস্বল্প ভেঙে যাওয়া সেই মূর্তি দেখতে ভিড়ও জমান পর্যটকরা। অনেকের আবার দাবি, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে এই মূর্তিটিকে ঠাঁই দেওয়া হোক। ইতিমধ্যেই সেই মূর্তি বাড়ি নিয়ে গিয়ে পুজোও করতে শুরু করেছেন ভোগীব্রহ্মপুর গ্রামের বাসিন্দা অবনী সামন্ত। এদিকে জগন্নাথদেবের ভাঙা মূর্তি কালকেই সমুদ্রে ভাসিয়ে দিয়ে এসেছিলেন বলে দাবি কল্পনা জানার।
আরও পড়ুন : ফের হোস্টেলের ঘর থেকে উদ্ধার খড়গপুর IIT পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ
আরও পড়ুন : পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সফরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী, প্রস্তুতি বৈঠক

খাদাল গোবরায় দুর্গা মন্দির রয়েছে কল্পনাদেবীর। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি গোটা ঘটনা জানান। বলেন, এক বছর আগে তাঁর মন্দিরে স্থানীয় বাচ্চারা এসে জগন্নাথদেবের ওই মূর্তি বসিয়ে দিয়েছিল। মন্দিরে পুজোও করছিলেন তিনি। ২ মাস আগে মূর্তিটির কোনও কারণে হাত ভেঙে গিয়েছিল। মুখটাও ফেটে গিয়েছিল। এরপর মন্দিরের পুরোহিতকে জিজ্ঞেস করে কল্পনাদেবীকে ভাঙা মূর্তি রাখতে বারণ করেন তিনি। এমতাবস্থায় রবিবারই স্থানীয় বস্তির বাচ্চারা দুপুর ২টো নাগাদ ভাসিয়ে দিয়ে আসে সেই মূর্তি।
আরও পড়ুন : ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে মেদিনীপুরে মিছিল ও বিক্ষোভ
আরও পড়ুন : নাবালিকার যৌন নির্যাতনে গ্রেপ্তার যুবক
রাতে মোবাইল খুলতেন কল্পনা জানা দেখেন সেই মূর্তিই খবরের শিরোনামে চলে এসেছে। তাঁর স্পষ্টতই দাবি, মূর্তি ঘিরে যে অলৌকিক প্রচার চলছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যে। ওই মূর্তি ভেসে আসেনি, বরং বাচ্চারাই কুড়িয়ে নিয়েছে। তিনি বলেন, “আমরা পুজে করতাম, সেই ফটোও আছে। চাইলে দেখিয়েও দিতে পারব। আমাদের দুর্গা মন্দির, তাই আর নেওয়া সম্ভব না। সেকারণেই ভাসিয়ে দিয়ে আসা হয়েছিল।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Jagannath Mistry
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper