ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : করোনা পর্ব পার করে বেশ কিছু সময়ের পর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল মাইনোরিটি কমিশনের কর্তারা। অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গে হাজির ছিলেন কমিশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপিকা ড: মমতাজ সংঘমিতা। মেদিনীপুর শহরে জেলা শাসক দপ্তরে দুই দফায় বৈঠক করেন। ঘুরে দেখলেন মুসলিম গার্লস হোস্টেলও।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here

চেয়ারপার্সন এদিন জানান, “উন্নয়নের গতি সংখ্যালঘুদের জন্য যথেষ্টই রয়েছে। কিন্তু করোনা পর্বের কারণে একাধিক জিনিসে প্রভাব পড়েছে।” চেয়ারপার্সন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের অন্যান্য সদস্যরা। প্রথম দফায় বৈঠকে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা, আইনজীবী, মেদিনীপুর মুসলিম টাউন কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন। তাদের কাছ থেকে নানান অভাব অভিযোগ ও খুঁটিনাটি তথ্য নেন কমিশনের আধিকারিকরা। এরপর সেই সমস্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী বৈঠক হয় জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে।
দ্বিতীয় পর্বের বৈঠকে হাজির ছিলেন, জেলা শাসক খুরশীদ আলী কাদরী, পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার, জেলার অন্যান্য বিধায়ক, বিডিও, মহাকুমা শাসক, পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরাও। প্রত্যেকের কাছে সেই সংলগ্ন এলাকার সংখ্যালঘু সম্পর্কিত উন্নয়নের রিপোর্ট সংগ্রহ করেন সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারপার্সন। বিকেল চারটে পর্যন্ত এই বৈঠক চলে। এরপর বৈঠক সেরে পরিদর্শনে বেরিয়ে যান মেদিনীপুর শহরের পাশে থাকা সিপাই বাজার এলাকার একটি মুসলিম মহিলা হোস্টেল পরিদর্শনে। চেয়ারপার্সন অধ্যাপিকা ডঃ মমতাজ সংঘমিতা বলেন, “জেলাতে সার্বিক উন্নয়ন সংখ্যালঘুদের ঠিকঠাক চলছে।
অনেক জায়গাতে অবশ্য অভিযোগ রয়েছে সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের প্রাপ্ত টাকা মিলছে না। কোথাও কোথাও পানীয় জল সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যা উঠে এসেছে যা অন্যান্য স্থানে থাকে। সেগুলোর কাজ এগোতে বলা হয়েছে। তবে করোনা পর্বের কারণে বেশ কিছুটা তাল কেটেছে। পড়াশোনা ছেড়ে বাড়িতে থাকা অনেক নাবালিকার বিয়ে হয়েছে। কম বয়সে অনেকের বিয়ে হওয়ার কারণে অসময়ে মাতৃত্ব ও মাতৃ মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। বিষয়টা নিয়ে তৎপর থাকতে বলেছি আমরা সকলকেই। আমরা কেশপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় যে সমস্ত মুসলিম হোস্টেলগুলি রয়েছে সেগুলি পরিদর্শন করে দেখব। গ্রামাঞ্চলে ঘুরে দেখার চেষ্টা করব সত্যিই সংখ্যালঘুদের কতটা উন্নয়ন হয়েছে।”
আরও পড়ুন : গোসাপ হত্যার ছবি ভাইরাল পশ্চিম মেদিনীপুরে, শিকারির খোঁজে পুলিশ ও বনদপ্তর
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Katmani
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper