ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে বাংলা বিভাগের অধ্যাপকের ধস্তাধস্তি। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর কলেজের। জানা গিয়েছে, ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির মাঝেই কলেজের অধ্যক্ষ এর সঙ্গে বাংলা বিভাগের অধ্যাপকের ধস্তাধস্তির ঘটনা ঘটে বুধবার দুপুরে। ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে অস্বস্তি আরও বাড়িয়ে দুজনেই ছুটলেন থানায় একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে।
কেশপুর কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সুশান্ত দোলোই এবং কলেজের অধ্যক্ষ ড: দীপক কুমার ভূঁইয়া। তাদের দুইজনের সমস্যা ছিল আগে থেকেই। যার চরম পরিণতি হয় বুধবার। সুশান্ত বাবু বলেন, “আমি এই কলেজে একাধিক বিভাগের সমস্ত ভালো কাজকর্ম করেছিলাম তার একটি করে শংসাপত্র হয়। ক্লাস নেওয়া, জুরি সদস্য হওয়া, ক্ষেত্র সমীক্ষাতে অংশ নিয়েছিলাম। এই সমস্ত কাজের শংসাপত্রের জন্য গত বুধবার আমি অধ্যক্ষকে জানিয়েছিলাম লিখিতভাবে।
অধ্যক্ষ আমাকে বলেছিলেন এত দ্রুত আমি করতে পারব না একটু সময় লাগবে। কাগজ পরীক্ষা করে আমি করব। প্রায় আট দিন পর আজকে সেই কাগজ আনতে গেলে অধ্যক্ষ অভব্য আচরণ করেন এবং শংসাপত্র দিতে অস্বীকার করেন। আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে ধস্তাধস্তি করে ঠেলে বের করে দেওয়া হয়। আসলে কলেজে উনি যোগ দেওয়ার পর একাধিক বেনিয়ম করেছেন।
আমি তার প্রতিবাদ করাতেই এই কান্ড।” কলেজের অধ্যক্ষ ডঃ দীপক কুমার ভূঁইয়া বলেন, “আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। উনি কতকগুলি কাগজ নিজে লিখে আমার কাছে হাজির করেছেন স্বাক্ষর করার জন্য। আমি যেগুলো সত্যতা না জেনে সেটা দিতে পারবো না। আমি সে কথা বলতেই আমার টেবিলের কাছে এসে অভব্য আচরণ করে। তাই তাকে সরিয়ে আমাকে বের হতে হয়েছে।
আসলে উনি চাইছেন আমি এখান থেকে সরে যাই। কারণ এই কলেজ আগে পাঠশালা ছিল। আমি এসে তাকে পুনর্গঠন করে নিয়ম কড়াকড়ি মানতে বাধ্য করেছি। তাই আজ সমস্যা হচ্ছে।” তবে এই ঘটনার পর উভয়পক্ষ আনন্দপুর থানার পুলিশে জানিয়েছেন। ঘটনায় অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দু’জনের সাথেই দীর্ঘক্ষণ কথা বলে পুলিশ।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Keshpur College
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore