Fraud
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: ১৮ মাস ধরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে কাজ করছিলেন এক যুবক। পেয়েছিলেন নিয়োগপত্রও। মাসে বেতন পেতেন পাঁচ হাজার টাকা। এভাবেই মাসের পর মাস চলছিল। ২০২১ এর প্রথম থেকে হঠাৎই বন্ধ হয়ে যায় হাসপাতালের বেতন। কয়েক মাস বেতন না পেয়ে দানা বাঁধে সন্দেহের। হাসপাতালের ওপরতলায় খবর নিতেই চক্ষু চড়কগাছ যুবকের। বুঝতে পারেন সম্পূর্ণ প্রতারিত হয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন:- ভোটের ছ’মাস পর মেদিনীপুর শহরে এলেন শুভেন্দু অধিকারী
আরও পড়ুন:- খড়্গপুরে দিবালোকে কয়েক মিনিটের ব্যবধানে দুটি ছিনতাইয়ের অভিযোগ, এলাকায় চাঞ্চল্য
ওই যুবক মেদিনীপুর শহরের অলিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা শেখ আজাহারউদ্দিন। ২০১৯ এর শেষে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের গাইনোকলজি ডিপার্টমেন্টে ‘গ্রুপ সি’ কর্মী হিসেবে যোগ দেন। বিপুল অঙ্কের টাকা দিয়ে ভুয়ো নিয়োগপত্রের কারবারের ঘটনায় মুখে কুলুপ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। কিভাবে বাসা বাঁধল প্রতারণা চক্রের! প্রশ্ন উঠছে, সত্যিই কি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানতেন না? হাসপাতালের ভেতরে ভুয়ো নিয়োগপত্র নিয়ে কিভাবে একজন কর্মী দিনের পর দিন কাজ করে গেলেন তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
Fraud
আরও পড়ুন:- সাত সকালে পূর্ব মেদিনীপুরে ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় মৃত ৩ , আহত প্রায় ১৫ জন
শুধু ওই যুবক নাকি আরও কারও সাথে প্রতারণা করা হয়েছে? তবে এর সাথে বড় কোনো চক্রের যোগ থাকতে পারে সন্দেহ পুলিশের। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রের মাথার হদিস পেতে চাইছে পুলিশ। ঘটনায় কোতয়ালী থানায় অভিযোগ দায়ের করে ওই যুবক। প্রতারিত যুবকের দাবি, হাসপাতালের গাইনোকলজি বিভাগে চাকরি করে দেওয়ার জন্য ২০১৫ সালে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের গাইনোকলজি বিভাগের কর্মী কৃষ্ণা রাউত দাস নামে এক মহিলা। দীর্ঘ টালবাহানার পর ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ওই যুবককে হাসপাতলে ডেকেই দেওয়া হয় নিয়োগপত্র।
আরও পড়ুন:- ফের পূর্ণবয়স্ক হাতির মৃত্যু নয়াগ্রামের কুকড়াখুঁপিতে, তদন্তে বনদফতর
তাতে মেমো নম্বর রয়েছে। নিয়োগের পর প্রতিমাসে পাঁচ হাজার টাকা বেতন পেত ওই যুবক। হঠাৎই চলতি বছরের শুরুতে বেতন বন্ধ হতে হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে। তখনই জানতে পারে প্রতারিত হয়েছেন তিনি। কোতয়ালী থানায় অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে কৃষ্ণা রাউত দাস নামে ওই মহিলাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টার থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। শনিবার আদালতে তোলা হলে দশ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুর স্টেশনে RPF-র তৎপরতায় ট্রেনে কাটা পড়া থেকে বাঁচলেন বৃদ্ধ
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Fraud
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: A young man was working in Midnapore Medical College and Hospital for 18 months. Also received appointment letter. The monthly salary was five thousand rupees. This went on for months. From the beginning of 2021, the salary of the hospital suddenly stopped. Suspicion of not getting a salary for a few months. The young man caught his eye as soon as he got the news on the upper floor of the hospital. Understand that he has been completely deceived.
The youth was identified as Sheikh Azaharuddin, a resident of Aliganj area of Midnapore town. At the end of 2019, he joined the Gynecology Department of Midnapore Medical College and Hospital as a ‘Group C’ worker. Locked hospital authorities in the face of the incident of dealing in fake appointment letters with huge sums of money. How the cycle of cheating nested! The question is, did the hospital authorities really know? The question also arises as to how an employee went to work day after day with a fake appointment letter inside the hospital.
Only that young man or someone else has been cheated? However, the police suspect that there may be a big circle involved with this. Police are trying to get the whereabouts of the ringleader by interrogating Dhrita. The youth lodged a complaint at Kotwali police station. A woman named Krishna Raut Das, an employee of the gynecology department of Midnapore Medical College and Hospital, demanded Rs 5 lakh in 2015 to get a job in the gynecology department of the hospital. After a long delay, the young man was called to the hospital in September 2019 and the appointment letter was given.
It has memo number. After the appointment, the young man was paid five thousand rupees per month. Suddenly, at the beginning of this year, he contacted the higher authorities of the hospital to stop the salary. Only then did he know that he had been deceived. Police arrested the woman named Krishna Raut Das from the staff quarters of Midnapore Medical College and Hospital on Friday night on the basis of a complaint lodged at Kotwali Police Station. He was remanded in police custody for 10 days after being taken to court on Saturday.