বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : সম্প্রতি গবেষণায় উঠে এসেছে গত তিন দশকে ৭৫ হাজার হেক্টর শাল গাছ কমেছে। এর মূল কারণ হিসেবে উঠে এসেছে কৃষি জমি তৈরি, বসতবাড়ি নির্মাণ, জোর করে দখল। এমনই অভিযোগ এবার মেদিনীপুর সদরের কনকাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতে। ওই এলাকার সিজুয়াতে ১০০ বিঘার বেশি বনদপ্তরের জায়গা বেদখল হয়ে গিয়েছিল। সেই জায়গা পুনরুদ্ধার করে গাছ লাগানোর প্রক্রিয়া শুরু করে মেদিনীপুর বন বিভাগ। শনিবার সকালে সেখানে বনকর্মীরা গিয়ে গর্ত খোঁড়া শুরু করলে স্থানীয়দের একাংশ বাধা সৃষ্টি করেন। ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পরে গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই এলাকায় ১০০ বিঘার বেশি জমি রয়েছে বনদপ্তরের। যেখানে কোনো চাষাবাদ হয়নি। সেই জমিতে এবার গাছ লাগানোর জন্য যৌথ বন পরিচালন কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে রেজুলেশন করা হয়েছে। সেই কাজ শুরু করতে গেলে বেশ কয়েকজন এসে বাধা সৃষ্টি করেন।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here

আরও পড়ুন : পথ কুকুরকে পিটিয়ে মারার ঘটনায় যুবকের নামে এফআইআর
স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, এই জায়গায় কোনো চাষাবাদ হয়নি। ফলে বনদপ্তরের গাছ লাগানোর আবেদনে সাড়া দিয়েছিলেন যৌথ বন পরিচালন কমিটির সদস্যরা। বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে জমি মাফিয়াদের অস্তিত্ব খুঁজে পাচ্ছেন স্থানীয়দের অনেকে। তাদের অভিযোগ, বেশ কিছু জমির মাফিয়া হয়তো চাইছেন বনদপ্তরের জায়গা দখল করে টাকার বিনিময়ে বিক্রি করার। বনদপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “ওই জায়গায় যারা গাছ লাগাতে বাধা দেবেন, তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন : কৃত্রিম উপায়ে ময়ূরের ডিম থেকে বাচ্চা ফুটিয়ে প্রথম সাফল্য পেল জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক
” স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য সঞ্জয় দে বলেন, “গাছ লাগানোর জন্য বনদপ্তরের সঙ্গে মিটিং করে রেজুলেশন করা হয়েছে। তারপরও বেশ কিছু জন এসে বাধা দিয়েছেন। তাদের জানানো হয়েছে, ওই জায়গার কোনো কাগজ যদি তাদের থাকে তা দেখাতে।” সরকারি খাস এবং বন দপ্তরের বিঘার পর বিঘা জমি বেদখল হয়ে যাচ্ছে এভাবেই। যার ফলে প্রশাসন এবং বনদপ্তরের বিরুদ্ধে উঠছে প্রশ্ন। বনদপ্তরের গোপগড় বিটের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মলয় নন্দী বলেন, “ওই এলাকায় যৌথ বন পরিচালন কমিটির সঙ্গে বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়েছে গাছ লাগানোর।

এদিন কাজ শুরু করলে বেশ কয়েকজন এসে বাধা দেন। কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তাদের জানানো হয়েছে ওই জায়গার কোনো কাগজ তাদের থাকলে তা দেখাতে। না দেখাতে পারলে, গাছ লাগানো হবে।” অন্যদিকে চাঁদড়া রেঞ্জে চুয়াশোল এলাকায় বনদপ্তরের জায়গায় অবৈধ নির্মাণের চেষ্টা এক ব্যক্তির। খবর পেয়ে শনিবার দুপুরে অভিযান চালায় বনকর্মীরা। ভেঙে ফেলা হয় নির্মাণের কাঠামো। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বনদপ্তরের জায়গা দখল করে কোনো প্রকার নির্মাণ করা চলবে না।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Forest encroachment
Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspape