বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় পতিত জমিকে দখল করে চাষাবাদ শুরু করে দিয়েছিলেন একদল বাসিন্দা। সেই জমি পুনরুদ্ধার করে বনদপ্তর। অভিযোগ আবার ওই জমিতে চাষাবাদ শুরু করেছেন এলাকার বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার সকালে মাইকিং করে ওই জমিতে কেউ চাষাবাদ করতে পারবে না জানিয়ে পোস্টারও টাঙিয়ে দেয় বনদপ্তর। “বিডিওর সঙ্গে আলোচনা না করে কোন পোস্টার টাঙানো যাবে না।” স্থানীয় ভিলেজ পুলিশের মন্তব্যে বিতর্ক ছড়িয়েছে। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনী থানার অন্তর্গত গোকুলপুর, পিড়রাকুলি এলাকায়।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group 1: Click Here
For WhatsApp Group 2: Click Here
উল্লেখ্য, ওই এলাকায় বনদপ্তরের প্রায় ৫০ হেক্টর জমি দখল করে চাষাবাদ শুরু করেছিল। গত মাসে বনদপ্তরের কর্মীরা খবর পেয়ে সেখানে গিয়ে তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে একদল লোকজন বনকর্মীদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। পরে মেদিনীপুর বন বিভাগের গোদাপিয়াশাল, চন্দ্রকোণা, আড়াবাড়ি, ভাদুতলা রেঞ্জের বনকর্মীদের বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পুনরুদ্ধার করে জমি। সেই সাথে স্থানীয় লোকজনকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল ওই জমিতে কেউ যেন চাষাবাদ করার চেষ্টা না করে। কিছুদিন ঠিকঠাক থাকলেও মেদিনীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের সময়কালে ফের চাষাবাদ শুরু করে বলে অভিযোগ।
Forest Department
বৃহস্পতিবার সকালে বনদপ্তরের লোকজন গিয়ে চাষাবাদ বন্ধ করার পাশাপাশি ওই জমি বন দপ্তরের বলে পোস্টার টাঙিয়ে দিয়ে আসে। বনকর্মীরা পৌঁছাতেই গ্রামবাসীরাও জোড়ো হয়। তাদের অভিযোগ, বিগত কয়েক বছর ধরে ওই জমিতে আমরা চাষাবাদ করছি। শুধু ওই এলাকা নয়, পাশাপাশি আরো বিভিন্ন এলাকায় বনদপ্তরের জায়গা দখল করে অনেকেই চাষাবাদ করছে। সেই জমিও পুনরুদ্ধার করা হোক। তবে এরই মাঝে একটি ভিডিও ঘিরে শোরগোল পড়েছে। যাকে ঘিরে বিতর্কে জড়িয়েছে ভিলেজ পুলিশ কার্তিক মাহাত। ওই ভিডিওতে দেখা গিয়েছে ভিলেজ পুলিশ বলছেন, “বিডিও-র সঙ্গে আলোচনা না করে কোন পোস্টার টাঙানো যাবে না।”
আরও পড়ুন : প্লাবিত ঘাটাল, মেদিনীপুর শহরেও বাড়িতে ঢুকলো জল
আরও পড়ুন : বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই মহিলা কলেজে গাছ কেটে পরিবহনের অভিযোগ
ওই ভিলেজ পুলিশকে ফোন করলে তিনি বলেন, “শালবনী থানার আইসি ওই কথা বলতে বলেছেন।” বনদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, “ওই এলাকায় প্রায় ৫০ হেক্টর জায়গা বেদখল হয়ে গিয়েছিল। তা পুনরুদ্ধার করা হয়েছিল। পুনরায় চাষাবাদ শুরু করেছিলেন গ্রামবাসীদের একাংশ। এদিন সকালে মাইকিং করে এবং পোস্টার টাঙিয়ে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কোনো রকম চাষাবাদ করা যাবে না। ওই জমিটি বনদপ্তরের।” বনদপ্তর থেকে জানা গিয়েছে, বাড়ি নির্মাণ বা জমি তৈরি করে চাষাবাদ শুরু করা বন দপ্তরের জায়গা পুনরুদ্ধার করা হবে সর্বত্র।
আরও পড়ুন : ইসরোর দরবারে পিংলার সৌম্যদীপ! ভবিষ্যতে স্বপ্ন গবেষণার
আরও পড়ুন : পুরোনো মামলায় বিজেপির একাধিক নেতা কর্মীর বাড়িতে অভিযান পুলিশের
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Forest Department
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper