পত্রিকা প্রতিনিধি: আবহাওয়ার কারণে মাঝ সমুদ্র থেকে ফিরে আসা মৎস্যজীবীদের ট্রলারেই এবার ধরা পড়েছে ইলিশ।
পরিমাণে খুব বেশি না হলেও বেশ কিছুদিন পরে ইলিশ ওঠায় খুশি মাছ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে মৎস্যজীবী এবং ইলিশ প্রেমী ক্রেতারা প্রত্যেকেই।
খরা কাটিয়ে বৃষ্টি নামতেই দেখা মিলল রুপোলী শস্য ইলিশের।বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সকালে এশিয়ার বৃহত্তম মৎস্য নিলাম কেন্দ্র দিঘা মোহনার প্রায় দুই কুইন্টাল ইলিশ পাইকারি বাজারে বিক্রি হল। বছরে প্রথমে ইলিশ আমদানি হওয়ায় খুশি মৎস্যজীবী থেকে খাদ্য রসিক বাঙালি।
জানা গিয়েছে,নিম্নচাপের কারণে সতর্কতা জারি হওয়ায় সমুদ্র থেকে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলার একে একে করে ফিরতে শুরু করেছে। শুক্রবার বাংলাদেশ জলসীমা লাগোয়া এলাকায় বা পূর্ব দিকে মাছ ধরতে যাওয়া ২০টি ফিশিং লঞ্চ কমবেশি ইলিশ নিয়ে দিঘা মোহনায় পৌঁছেছে।
আর সেই সমস্ত ট্রলারের মৎস্যজীবীদের জালে ৮০০ গ্রাম থেকে ১ কেজি ওজনের ইলিশ ধরা পড়ে। ইলিশ পাইকারি বাজারে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়। দিঘার পাইকারি বাজারে স্থানীয় ক্রেতা থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ভিড় জমাতে থাকে।
এদিন সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পাইকারি বাজারের ইলিশ বিক্রি করা হয়। দিঘা মোহনা ট্রলারগুলি দক্ষিণ ২৪ পরগণা ডায়মন্ডহারবার থেকে এসেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, গত বছরে মৎস্যজীবীদের জালে খুব একটা ইলিশ ধরতে পারেনি।ইলিশ মাছ ধরতে না পারায় অনেক ট্রলার মালিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে। দিঘা মোহনার অনেক মৎস্যজীবী সমুদ্রের পাড়ি দিয়েছেন মৎস্য শিকারের জন্য। কিন্তু অল্পসংখ্যকই ট্রলার ফিরে এসেছে। যারা ফিরে এসেছেন তাদের ট্রলারে খুব একটা বেশি ইলিশ ধরতে পারেননি।
দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক শ্যামসুন্দর দাস বলেন, ‘‘শুধু দিঘায় নয় ২৪ পরগণার ডায়মন্ডহারবারে সমস্ত জায়গায় ইলিশ উঠবে। পরিবেশ অনুকূল রয়েছে, সমুদ্রের ইলিশ ধরার সব রকমের স্বাভাবিক রয়েছে।কিন্তু ইলিশ সে ভাবে উঠছে না। তার উপর আবহাওয়া দপ্তরের সতর্কতার কারণে সমুদ্র থেকে মাছ ধরতে যাওয়া ট্রলার ও ফিশিং বোট এক এক করে ফিরতে শুরু করেছে। এই ট্রলারগুলি অন্যান্য মাছের সঙ্গে কিছু কিছু ইলিশ নিয়ে ফিরলেও খুব বেশি ইলিশ উঠছে না।তাই ইলিশের খরা কাটলেও বাঙালিকে ইলিশের জন্য অনুকুল আবহাওয়ার অপেক্ষা করতে হবে।’
দিঘা ফিশারম্যান অ্যান্ড ফিশ ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা নবকুমার পয়ড়্যা বলেন, ‘কম পরিমাণে হলেও ইলিশ উঠতে শুরু করেছে এ বার। মোহনার পাইকারি মাছের বাজারে ১০ টনের বেশি ইলিশের নিলাম হয়েছে। আমাদের আশা, বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে পূবালি বাতাস বইতে শুরু করলেই আরও বেশি পরিমাণে ইলিশ উঠবে।’