পত্রিকা প্রতিনিধিঃ একসময় ছিল রাত নামলেই ঝাড়গ্রামের বাঁধগোড়া এলাকার মানুষের মধ্যে নেমে আসতো আতঙ্ক যা ছিল মাওবাদীদের। এখন জঙ্গলমহলে মাওবাদী নেই, কিন্তু সেই আতঙ্ক আবার ফিরে এসেছে মানুষের মধ্যে। কারণটা একটাই সন্ধ্যা নামলেই এলাকায় শুরু হচ্ছে হাতির তাণ্ডব। কখনো হাতি এসে গ্রামের চাষের জমি নষ্ট করছে বা কখনো লোকালয়ে ঢুকে বাড়িঘর ভাঙচুর করছে।তবে এবিষয়ে একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়েও মেলেনি কোন সুরাহা। কখনো অবরোধ করেছে এলাকার মানুষ, তো কখনো প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েও কোনো সুরাহা না মেলায় দেখাচ্ছে বিক্ষোভ।
তাও হুশ নেই কারোর কবে বন্ধ হবে এই হাতির তাণ্ডব জানা নেই এলাকা বাসীর। তাদের একটাই বক্তব্য হাতিদের নির্ধারিত হোক কোনো রাস্তায় যাবে। এভাবে যদি লোকালয়ে হাতি দল ঢুকে যায় তাহলে চাষের জমি ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে। ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। যদিও প্রশাসনের তরফ থেকে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেওয়া হয় এবং হাতির হামলায় মৃত্যু হয় তাদেরকে ও দেওয়া হয় ক্ষতিপূরণ কিন্তু তাতে কি সমস্যা মিটে এলাকাবাসীর প্রশ্ন থেকেই যায়।
বিগত কয়েক মাস আগে বনকর্মী তে নিয়োগ প্রকৃয়া হয়েছে। সেখানে হয়নি। যারা প্রশিক্ষিত কর্মী দের বাদ দিয়ে নতুন তালিকায় তাই কাজ বন্ধ করেছে তারা। এরপর থেকেই বেড়েছে হাতির উপদ্রব, এলাকায় নেই হাতি হাতি তাড়ানোর প্রশিক্ষিত দল গুলি ।গত ৩মাস ধরে কাজ বন্ধ করেছে তার বিভিন্ন সময় বনদপ্তরে বলার পরেও হয়নী ব্যবস্তা জার জেরে প্রতি নিয়ত বাড়ছে হাতির আতঙ্ক জেলাজুড়ে।