ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: বড় বড় শহরের বড় থিমের পুজো বা শহরতলি ও জেলার পুজোই শুধু নয়, করোনার প্রভাব পড়েছে বনেদি বাড়ির পুজোগুলিতেও। ৪৫০ বছরের প্রাচীন পঁচেটগড় রাজবাড়ির দুর্গাপুজো নিয়ে এবার ভিন্ন ভাবনা পরিবারের সদস্যদের। রাজবাড়ির দূর্গা দালানে এখন তমুল ব্যস্ততা। বহু বিগ বাজেটের পূজার মধ্য ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মানুষের মধ্যে ঐ রাজবাড়ির পূজোর বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে।করোনা আবহে একাধিক রদবদল হচ্ছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী পঁচেটগড় রাজবাড়ির ৪৫০ বছরের প্রাচীন দুর্গাপুজোয়। সরকারি বিধি মেনেই হবে পুজো। সেকালের পুজোর প্রাচীন নিয়ম কানুন মেনেই পুজো হয় প্রতিবছর।
আরও পড়ুন:- ২৮০ বছর পেরিয়ে অক্লেশে বেঁচে রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুরের নয়াপাড়া জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজো
আরও পড়ুন:- অবশেষে ঝাড়গ্রামের চিড়িয়াখানাতেই খোঁজ মিলল নিখোঁজ চিতাবাঘের
প্রসঙ্গত, ইতিহাসের পাতা ওলটালে দেখা যায় ওড়িশার আটঘর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন বাড়ির আদি পুরুষ কালামুরারি দাস মহাপাত্র। জগন্নাথ দেবের সামনে নিত্যদিন সঙ্গীত পরিবেশন করতেন তিনি। সেই সঙ্গীতেই মুগ্ধ হয়ে রাজা তাকে মন্দির পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। মন্দিরের পাশে পেয়েছিলেন জমি। পরবর্তী সময় জাহাঙ্গীরের নজরে পড়ে যান। তাঁকে বাংলা, বিহার ও তাম্রলিপ্ত বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব দেন মোঘল সম্রাট। কাজটি তিনি সূচারুভাবে করেন ও পটাশপুর এলাকার খাঁড়ে বিশাল গড় নির্মাণ করেন তিনি। পরবর্তীকালে সেখান থেকে উদ্ধার হয় একের পর এক শিবলিঙ্গ। সেই শিবলিঙ্গ দিয়েই কালামুরারি দাস মহাপাত্র তৈরি করেন পঞ্চেশ্বর মন্দির।
Durga Puja
আরও পড়ুন:- পুজোর আগে বেতন-বোনাস না পেয়ে হলদিয়ার কারখানায় শ্রমিক বিক্ষোভ
আরও পড়ুন:- পরম্পরা মেনে শুরু হল মহিষাদল রাজবাড়ির পুজো,পুজিত হবে রাজবাড়ির যুদ্ধের তরবারিও
ধীরে ধীরে পঞ্চেশ্বর নামটির প্রচার হতে থাকে। এখানেই তিনি তৈরি করেন পঁচেটগড় রাজবাড়ি। তিনিই পরে দুর্গাপুজোও শুরু করেন।রাজাদের সেকেলে রাজত্ব আজ আর না থাকলেও রাজবাড়ির দুর্গাপুজোয় আজও রয়ে গেছে সেকালের পুজোর প্রাচীন নিয়ম কানুন সমূহ। প্রতিবছর ষষ্ঠি থেকে রাজবাড়ির পুজো ঢাক, ঢোল, কাঁসর-ঘন্টা ধ্বনি সহযোগে পঁচেটগড় রাজবাড়ির প্রাচীন পুকুর থেকে দুর্গাপুজোর ঘট স্থাপন করা হয়। মূলত ষষ্ঠি থেকে দশমী পর্যন্ত চলে রাজবাড়ির পুজো। তবে সময়ের সঙ্গে পরিবর্তন এসেছে এ বাড়ির পূজোয়। কয়েক বছর পর রাজপরিবার শৈব থেকে বৈষ্ণব হয়ে যান। ফলে বন্ধ হয়ে যায় মুর্তি পূজো।
আরও পড়ুন:- প্রচার শুনে ভ্যাকসিন নিতে এসেও নিরাশ, শিবির চালু না হওয়ায় বিক্ষোভ ঝাড়গ্রামে
আরও পড়ুন:- ঝাড়গ্রাম ডিয়ার পার্ক থেকে পালিয়ে গেল চিতা বাঘ, মেদিনীপুরেও জারি সতর্কবার্তা
ঘট পূজোর প্রচলন হয়। তবে থাকে চাল চিত্র। এখানে পটে আঁকা প্রতিমায় পূজিত হয়ে আসছেন দেবি দশভূজা। এবিষয়ে রাজবাড়ির সদস্য সুব্রতনন্দন দাস মহাপাত্র বলেন , করণা আবহে সরকারি বিধি নিষেধ মেনে ষএলাকাবাসীর সমাগমে গম গম করতো রাজ বাড়ি কিন্তু বছর কারা আসবেন আর কারা আসবেন না সেই নিয়েই তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। কমিয়ে দেওয়া হয়েছে পূজার জাঁকজমক ও। সামাজিক দূরত্ব বিধি মেনেই সুষ্ঠভাবে সম্পূর্ণ হবে এবারের পূজো।
আরও পড়ুন:- হনুমানের তাণ্ডব মেদিনীপুর শহরের রাঙ্গামাটি এলাকায়, চেষ্টা করেও বাগে আনতে হিমশিম বন দফতর
আরও পড়ুন:- খানাখন্দে ভরা রাস্তা! পূর্ব মেদিনীপুরে যাত্রীবাহী ট্রেকার উল্টে গুরুতর আহত ২
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Durga Puja
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Durga Puja
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: Not only the big-themed Durga puja of the big cities or the puja but also the puja of the bondi houses have been affected by the corona. This time the family members have different thoughts about the Durga Puja of the 450 year old Panchetgarh palace. The Durga building of the palace is now very busy. Among the people of Central and East Midnapore districts, the puja of that Rajbari has a special significance among the people of many big budget pujas. Worship will be in accordance with government rules. Pujo is performed every year in accordance with the ancient rules and regulations of the past.
Incidentally, turning the pages of history, it is seen that the original male Kalamurari Das Mohapatra of the house was a resident of Atghar area of Orissa. He used to perform music in front of Jagannath Dev every day. Fascinated by the music, the king assigned him to run the temple. He got land next to the temple. The next time Jahangir caught his eye. He was given the responsibility of managing the ports of Bengal, Bihar and Tamralipta by the Mughal emperor. He did the job well and built a huge average in the ditches of the Potashpur area. Later one Shivling after another was recovered from there. Kalamurari Das Mohapatra made Pancheshwar temple with that Shivling.
Gradually the name Pancheshwar became popular. It was here that he built the Panchetgarh palace. He was the one who started Durgapujo later. Even though the old kingdom of the kings is no more today, the ancient rules and regulations of the old pujo are still present in the Durgapujo of the palace. Every year from the sixties onwards, the pujo dhak of the Rajbari, with the sound of drums and brass bells, the Durga Pujo pots are placed from the ancient pond of the Panchetgarh Rajbari. Originally the pujo of the palace lasted from the sixth to the tenth. However, the worship of this house has changed with time. A few years later the royal family went from Shaiva to Vaishnavism. As a result, idol worship was stopped.
Ghat pujo is introduced. However, there is the image of rice. Here the goddess Dashbhuja is being worshiped with idols painted on canvas. In this regard, Rajbari member Subrata Nandan Das Mohapatra said, “Rajbari used to gather wheat in the gatherings of the locals in compliance with the government prohibition in Karna Abe, but uncertainty has been created about who will come and who will not come in the year.” The splendor of worship has been reduced. This pujo will be completed according to the rules of social distance.