পত্রিকা প্রতিনিধি: একে করোনা তার উপর প্রশাসনিক নিষেধাজ্ঞা।আর সবার উপরে খারাপ আবহাওয়া উভয় সংকটে মাটির প্রদীপ,ধুনুচি,সরা কারিগররা।চাহিদা নেই,বিক্রিও একদম কম,করোনা আবহে সমস্যায় পড়েছে মৃৎশিল্পী ও পরিবার গুলি।দিন রাত এক করে কাদামাটি ঘেঁটে চাকা ঘুরিয়ে তৈরী করে চলেছেন মাটির বিভিন্ন আকারের প্রদীপ।শুধু প্রদীপ না সরা,ঘট কিংবা ধুনুচিও তৈরী করছেন পুজা আবহে।তবে করোনা আবহেও সেই পুজা নিমিত্ত মাত্র।চাহিদাও কম এই পরিস্থিতিতে।তাই সংসার চালানোর ক্ষেত্রে যাইহোক করে দিন চালাচ্ছেন কুমোর পাড়া। Diwali, Diwali, Diwali, Kalipujo news, potters are in trouble in corona pandenamic
আজকের পত্রিকা- ৩১ অক্টোবর ২০২০, বাং- ১৪ কার্ত্তিক ১৪২৭
বাজারে বেড়েছে নতুন নানা বাহারি বালবের রমরমা।আগের মতো চাহিদা নেই ছোট বড় প্রদীপের।প্রতিবছর যেটুকু ব্যবসা হত,২০২০ সালে তা বহুগুন কমেছে।চাহিদা না থাকায় বিক্রিতেও ভাটা।একশ প্রদীপ বিকোতে হবে তিনশ তে তবে লাভের অংশ নিমিত্তমাত্র।মৃৎশিল্পী শ্রীকান্ত চন্দ বলেন-“সারাদিন ধরে চলে চাকা ঘুরিয়ে প্রদীপ,সরা ধুনুচি বানানো।পরে তা শুকিয়ে আগুনে পুড়িয়ে বিক্রি করলে দুটাকা আসে।কিন্তু এই পরিস্থিতিতে পুজাও নমো নমো করে।তাই চাহিদাও কম।”
বংশগত ভাবে বেলদা থানার শ্যামপুরা এলাকায় এই মাটির জিনিস তৈরী করছে এই কুমোরপাড়া।কিন্তু করোনা আবহে সেই ব্যবসাতে ভাটা।শ্রীকান্ত বলেন-“প্রায় পঞ্চাশ বছর এই কাজের সাথে যুক্ত কিন্তু এই বছর সব থেকে কম বিক্রি।অর্ডার নেই।লাভ তো দূর।গত বছরে যে বিক্রি হত এবছর তার আংশিক ও নেই।”সারাবছর ধরে এই পেশায় আছে বেশ কয়েকটি পরিবার।বাকিরা এই কাজ ছেড়ে অন্য পেশা বেছে নিয়েছেন।অপর এক মৃৎশিল্পী বলেন-“এবছর বাজারের উপর ব্যবসা নির্ভর করছে।যেহেতু বংশগত ভাবে করা হচ্ছে তাই এই পেশায় আছি।তবে এবারে পরিবার ও ব্যবসা চরম সংকটে।একদিনে করোনা অন্যদিকে খারাপ আবহাওয়াতে মাটির জিনিস বানানো সম্ভব হচ্ছেনা।”করোনা আবহে সবই গেছে নতুন আশঙ্জার গ্রাসে।পুজাও মাটি হয়েছে মহামারীর কোপে।সামনে দেওয়ালী।আলোর উৎসব।একদিকে করোনা অন্যদিকে নতুন ইলেকট্রনিক্স দ্রব্যাদির ভিড়ে হারিয়ে যেতে বসেছে পুরানো প্রদীপ জ্বালিয়ে দেওয়ালি মানার রীতি।আর সংকটে কুমোর পাড়া।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi