পত্রিকা প্রতিনিধিঃ সারা দেশ ও রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা গ্রামীণ চিকিৎসকরাও। করোনা পরিস্থিতিতে যখন শহরে একের পর এক চিকিৎসক চেম্বার বন্ধ , ঠিক সেই সময়ও গ্রামের সাধারণ মানুষের জন্য তাঁরা চিকিৎসা পরিষেবা চালু রেখেছিলেন। তবে কার্যত বলা যেতেই পারে করোনা পরিস্থিতিতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাধারণ মানুষদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দিয়ে গিয়েছেন গ্রামীণ চিকিৎসকরা।
কিন্তু স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, ভোটকর্মী সহ অন্যান্যদের সরকারী আধিকারিকদের করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হলেও এখনও দূরে রয়ে গেছেন গ্রামীণ চিকিৎসকরা। তাই তাদের সরকারি ভাবে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার দাবি জানিয়ে বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরে ‘প্রোগ্রেসিভ মেডিকেল প্রাকটিশনার অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়া’ সংগঠনের ব্যানারে ডেপুটেশন দিল সংগঠনের সদস্যরা। এদিনের ডেপুটেশন উপস্থিত ছিলেন, প্রাণতোষ মাইতি, তরুণ নন্দ গোস্বামী, ঝন্টু নায়েক, শংকর গিরি প্রমুখ। সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি দাবিপত্র তুলে দেওয়া হয়েছে জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকের হাতে।
তাদের দাবি, এই জেলার সমস্ত গ্রাম ও শহরের নন রেজিস্টার্ড চিকিৎসকদের অবিলম্বে নাম নথিভুক্ত করে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়া। অবিলম্বে অসমাপ্ত ট্রেনিং চালু, ড্রাগ কন্ট্রোল অফিস থেকে অযথা হয়রানি বন্ধ ও গ্রামীণ চিকিৎসকদের করোনা যোদ্ধা হিসেবে ঘোষণা করার।