Coronavirus & Education
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : ১৯৫১ সালে কল্পবিজ্ঞানের লেখক আইজ্যাক আসিমভের লেখা ‘দ্য ফান দে হ্যাড’ বইয়ের কাহিনীতে রয়েছে, একটি বাচ্চা মেয়ে মার্গি জোন্সের কথা। সে বাড়িতে বসে অনলাইনে পড়াশোনা করে। তার কোনও বন্ধু নেই, খেলার মাঠ নেই। সে তার ঠাকুরদার কাছে অবাক হয়ে পুরনো দিনের গল্প শোনে। একসময় নাকি স্কুল নামের প্রতিষ্ঠান ছিল, সেখানে মানুষ প্রজাতির মাস্টারমশাইরা বাচ্চাদের লেখাপড়া শেখাতেন, তখন খেলার মাঠ ছিল, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা ছিল। একথা মার্গি যত শোনে ততই অবাক হয়ে যায়। সে তো রোবট টিচারের কাছে পড়ে! সে তো খেলতে যায় না! সেই কাহিনী অতিমারি আবহে ভারতের শিক্ষাব্যবস্থায় বাস্তবায়িত হতে চলেছে! দেড় বছর বন্ধ স্কুল, কলেজের দরজা। সংক্রমণ কমায় আপাতত স্বাভাবিক জনজীবন। শুধু বন্ধ রয়ে গেল স্কুল-কলেজ খোলা আর লোকাল ট্রেন চলাচল।
আরও পড়ুন:- “পশ্চিমবঙ্গ সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর” ! মেদিনীপুরে মন্তব্য দিলীপ ঘোষের
স্কুল বন্ধ থাকলেও, বন্ধ নেই ছাত্রীদের বিদ্যালয় যাওয়া। তবে পড়াশোনা নয়, কন্যাশ্রীরা এখন লক্ষ্মী ভান্ডারের ফর্ম পূরণ করে দিতে বিদ্যালয় যাচ্ছেন। ভিড়ে ঠাসা দুয়ারে সরকার শিবিরে বসে ফর্ম পূরণে সহায়তা করছেন। জেলার বিভিন্ন জায়গায় এই ছবি দেখে উঠছে প্রশ্ন। হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে সরকারী কর্মসূচীতে ছাত্রীদের উপস্থিতি বাহবা দিচ্ছেন অনেকে, অথচ বিদ্যালয় খুললেই তারা গেল গেল রব তুলেন বলে অভিযোগ বিরোধীদের। দুয়ারে সরকার শিবিরে কন্যাশ্রীদের উপস্থিতি নিয়ে সরব ছাত্র থেকে শিক্ষক সংগঠন। তাদের বক্তব্য, ‘করোনা পরিস্থিতির অজুহাত দেখিয়ে স্কুল বন্ধ রেখে ছাত্রীদের পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে হাজার হাজার মানুষের ভিড়ে ফর্ম পূরণ করতে। চাইছে পড়াশোনা বন্ধ রেখে ছাত্র ছাত্রীরা যেন সরকারের অন্ধ ভক্ত হয়।’ ছাত্র সংগঠন ডিএসও, এসএফআই-এর বক্তব্য, স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার উদ্দেশ্য শিক্ষাকে বেসরকারীকরণ করা। ডিএসও-র জেলা সম্পাদক ব্রতীন দাস বলেন, অনলাইনে পড়াশোনা আগামী দিনে ছাত্র ছাত্রীদের মার্গি জোন্স বানাতে চলেছে। দীর্ঘদিন স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকার ফলে শিক্ষাক্ষেত্রে অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে।
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুরে ‘দুয়ারে দুর্গা’, জন্মাষ্টমীতে শহরে খুঁটি পুজো দিয়ে শুরু হল দেবী দুর্গার আবাহন
আরও পড়ুন:- দিঘায় ধরা পড়ল ৮০০ কেজি ওজনের বিরল প্রজাতির শঙ্কর মাছ
Coronavirus & Education
কোভিড সংক্রমণকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে কেন্দ্রীয় সরকার ডিজিটাল শিক্ষাকেই শিক্ষার মূল ধারা হিসেবে নিয়ে আসার ষড়যন্ত্র করছে। সেই পথে হাঁটছে রাজ্যও। শিক্ষক সংগঠন মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির জেলা সম্পাদক উত্তম প্রধান বলেন, অনলাইন শিক্ষা মূল ধারার শ্রেণি-কক্ষ শিক্ষার বিকল্প হতে পারে না, এ কথা গত দেড় বছরের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষার সঙ্গে যুক্ত ছাত্র-শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-অভিভাবক-বুদ্ধিজীবী সহ অনেকেই বুঝতে পারছেন। অনলাইন শিক্ষার উপরে জোর দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। এই পদ্ধতির দ্বারা রাষ্ট্র শিক্ষায় সামগ্রিক বেসরকারিকরণ ঘটাবে এবং পড়াশোনার সমস্ত দায় ছাত্রদের উপরে চাপিয়ে দেবে। এর ফলে ছাত্ররা পড়াশুনার প্রতি আগ্রহ হারাবে, ড্রপ আউট বাড়বে, শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ হবে। শিক্ষার মধ্য দিয়ে যে সামাজিকবোধ, দায়িত্ববোধ গড়ে ওঠে সেটা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শিক্ষা ব্যবস্থাটাই ভিতর থেকে ধ্বংস হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন:- দিঘার সমুদ্রে স্নান করতে নেমে মৃত্যু হল হাওড়ার এক যুবকের
আরও পড়ুন:- আজকের রাশিফল – ৩১ আগষ্ট ২০২১, বাঃ – ১৪ ভাদ্র ১৪২৮
রাজ্যে কমছে সংক্রমণ। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন দুর্গা পুজোর পর বিদ্যালয় খোলা হতে পারে। জনজীবন প্রায় স্বাভাবিক, দোকান-বাজার-অফিস যানবাহন খুলে দেওয়া হয়েছে, খুলে দেওয়া হয়েছে শপিংমল-সিনেমা হল-মদের দোকানও তখন শিক্ষার মতো অপরিহার্য বিষয় বাদ কেন, কেন ক্লাসরুম ভিত্তিক পঠনপাঠন চালু করা হচ্ছে না? ব্রতীন দাস বলেন, ‘অনলাইনে শিক্ষাদানের ফলে গুরুত্ব হারাচ্ছে ক্লাসরুম নির্ভর শিক্ষা। ছাত্র-শিক্ষকের আদানপ্রদানের মাধ্যমে ছাত্রের যে নৈতিক মান গড়ে ওঠে তাও হচ্ছে না। অন্যদিকে গরিব-নিম্নবিত্ত ছাত্রদের কাছ থেকেও শিক্ষার সুযোগ কেড়ে নেওয়া সহজ হবে।’ এসএফআই-এর জেলা সম্পাদক প্রসেনজিত মুদি বলেন, ‘অনলাইনে রোবট টিচার দিয়ে পড়াশোনা চালাবে। ফলে আগামী দিনে শিক্ষক নিয়োগও মারাত্মক ভাবে কমে যাবে।’ এর পিছনে শাসক শ্রেণির এক গভীর চক্রান্ত দেখছেন অনেকে। যা তারা অতিমারির সুযোগে দেশজুড়ে জারি করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাসস্ট্যান্ড থেকে সরল ‘মা’ ক্যান্টিন
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুর শহরের গুলি চালানোর ঘটনায় গ্রেফতার বাকী ৩ জন, উদ্ধার ৩ টি পিস্তল সহ ১২ রাউন্ড গুলি
Coronavirus & Education
অনেকে আবার স্কুল বন্ধ অথচ সরকারী কর্মসূচীতে কন্যাশ্রীদের ফর্ম পূরণ করতে যাওয়াকে সরকারের দ্বিচারিতা বলেও আখ্যা দিয়েছেন। এবিটিএ-এর জেলা সম্পাদক বিপদতারণ ঘোষ রসিকতা বলে কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, ‘ছাত্র ছাত্রীদের টীকাকরণের ব্যবস্থা করে স্কুল খোলার দাবি আমরা জানিয়েছি।’ বিরোধীদের কাজই বিরোধিতা করা এমনই মন্তব্য করলেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী । তিনি বলেন, কন্যাশ্রী প্রকল্পে ছাত্রীরা সাফল্য পেয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে সামিল হয়েছেন। দুয়ারে সরকার শিবিরে ফর্ম পূরণের জন্য জোর করে তাদের নিয়ে যাওয়া হয় নি। সাধারণ মানুষ যাতে সরকারি সুবিধা পান, তাতে স্বেচ্ছায় সাহায্য করার জন্য আমরা কন্যাশ্রীদের কুর্নিশ জানাই। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন পরিস্থিতি ঠিক থাকলে পুজোর পর স্কুল খোলার কথা।
আরও পড়ুন:- ভোর থেকে লাইন দিয়ে ভ্যাকসিন না পেয়ে ক্ষোভ পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ীতে
আরও পড়ুন:- খোদ মেদিনীপুর শহরে প্রকাশ্যে চললো গুলি! এলাকায় আতঙ্ক, ঘটনাস্থলে পুলিশ
আরও পড়ুন:- মানিকপাড়ায় আইপিএল এর ধাঁচে শুরু হল ক্রিকেট লিগ
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Coronavirus & Education
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: The story of the 1951 book The Fun de Had, written by science fiction writer Isaac Asimov, tells the story of a young girl, Margie Jones. She studies online at home. He has no friends, no playground. She is surprised to hear the story of the old days from her grandfather. Once upon a time there was an institution called school, where people of different species used to teach children, then there was a playground, there was a chat with friends. The more Margie hears this, the more surprised she becomes. He fell to the robot teacher! He does not go to play! That story is going to be implemented in the education system of India in extreme weather! School and college closed for a year and a half.
Reduces infection and normal public life for the time being. Only schools and colleges were closed and local trains were running. Even if the school closed, there is no stop for the students to go to school. However, not studying, the girls are now going to school to fill the “Lakshmi Bhandar” form. The government is sitting in the camp at the crowded door and helping to fill the form. The question is looking at this picture in different places of the district. Opponents allege that thousands of people are applauding the presence of female students in government programs, but as soon as the school opens, they raise their voices.
Both Teachers’ organization and students are against girls gathering in government “Duare Sarkar” camp. They said, ‘The school is being closed on the pretext of Corona situation and the students are being sent to fill the form in the crowd of thousands of people. He wants the students to be blind fans of the government by stopping their studies. According to the student organization DSO, SFI, the purpose of closing schools and colleges is to privatize education. Bratin Das, district secretary of DSO, said online learning is going to make students Margie Jones in the coming days. The closure of schools and colleges for a long time is causing irreparable damage to the education sector.