পত্রিকা প্রতিনিধি : ভেন্টিলেশনের অভাবে, খড়্গপুর রেল হাসপাতালের এক প্রখ্যাত চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের মৃত্যু হল সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ। র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ওই চিকিৎসকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল সোমবার সকালে। ছিল প্রবল শ্বাসকষ্টের উপসর্গও। এই পরিস্থিতিতে তাঁর প্রয়োজন ছিল ভেন্টিলেশনের! কিন্তু, লেভেল ফোর শালবনী করোনা হাসপাতাল ছাড়া জেলায় অন্য কোনো কোভিড হাসপাতালে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা নেই। এমনকি, খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালেও নেই ভেন্টিলেশন। রেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করলে, সুপার কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় পরামর্শ দেন, অবিলম্বে শালবনী করোনা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। শালবনী যাওয়ার পথেই হৃদযন্ত্র বিকল হয়ে রাস্তাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।
খড়্গপুর রেল হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত থাকা প্রখ্যাত এই চিকিৎসকের বয়স হয়েছিল ৬৮। তিনি ২৯ নং ওয়ার্ডের ছোটো ট্যাংরা’র বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর হৃদরোগের সমস্যা ছিল বলেও জানা যায়। এই পরিস্থিতিতে, অ্যান্টিজেন টেস্টে তাঁর করোনা ধরা পড়ার পর সমস্যা আরো বৃদ্ধি পায়। এমতাবস্থায় উপযুক্ত সময়ে ভেন্টিলেশন পাওয়া গেলে হয়তো শেষ রক্ষা হলেও হতে পারতো বলে মনে করছেন তাঁর পরিবারের সদস্য থেকে শুরু করে সচেতন জেলাবাসী। কিন্তু, তা না হওয়ায়, ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা যুক্ত জেলার একমাত্র কোভিড হসপিটাল শালবনীতে নিয়ে যাওয়ার পথেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন! শুধুমাত্র ভেন্টিলেশনের অভাবে প্রতিদিন জেলা, রাজ্য কিংবা দেশে এভাবেই যে অনেক প্রাণ স্তব্ধ হয়ে যাচ্ছে তা বলাই বাহুল্য!