বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: সি বি এস ই দ্বাদশ শ্রেণীর ২০২৫ সালের পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে ১৩ মে ২০২৫। ভালো পড়ুয়ারা জানতে চায় তাদের প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে রাজ্য ভিত্তিক র্যাঙ্ক বা জাতীয় স্তরের র্যাঙ্ক। সরকারী ভাবে সি বি এস ই কোনো রাঙ্ক প্রকাশ করেনি ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে অহেতুক প্রতিযোগিতা না রাখার জন্য। প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়ার সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত একটি খবরের মাধ্যমে জানা যাচ্ছে এবারের দ্বাদশ শ্রেণীর টপার্স এর প্রাপ্ত নম্বর হল ৫০০ এর মধ্যে ৪৯৯। সেই নিরিখে দেখতে গেলে খড়গপুর এর অর্চিষ্মাণ জাতীয় স্তরে জায়গা করে নিয়েছে প্রথম দশে। অর্চিষ্মাণ এর প্রাপ্ত নম্বর হলো ৫০০ এর মধ্যে ৪৯০। অর্চিষ্মাণ ডি এ ভি মডেল স্কুল, আই আই টি খড়গপুর এর বিজ্ঞান বিভাগ এর ছাত্র।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here

আরও পড়ুন : স্বাক্ষর করতে জানে না বাবা-মা, বিড়ি বেঁধে চলে সংসার, কলা বিভাগে চমকে দেওয়া রেজাল্ট করেও উচ্চশিক্ষার দরজা বন্ধের আশঙ্কা সৌমেনের
তার দ্বাদশ শ্রেণীর বিষয় ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বর হলো ইংলিশ কোর ৯৭, ম্যাথমেটিক্স ৯৮, ফিজিক্স ৯৭, কেমিস্ট্রি ১০০, কম্পিউটার সায়েন্স ৯৮। কেমিস্ট্রি তে পারফেক্ট স্কোর হওয়ার জন্য খুশি অর্চিষ্মাণ। রসায়নের অ আ ক খ অর্চিষ্মাণ কবিতার মাধ্যমে শিখেছে তার দাদু (মায়ের বাবা) বঙ্কিম বিহারী মাইতির কাছ থেকে। অর্চিষ্মাণ বলেন, আমার দাদু আই আই টি খড়গপুর থেকে ১৯৭০ সালে কেমিস্ট্রি তে এম.এস.সি করেছেন। কবিতার মাধ্যমে যখন উঁচু ক্লাসের ছাত্র ছাত্রীদের রসায়নের পাঠ দিতেন তাঁর সাউড়ী গ্রামের বাড়ীতে, আদর করে আমাকেও ডেকে নিতেন তাদের সাথে কেমিস্ট্রি পড়ার জন্য।

আরও পড়ুন : দিনমজুরের মেয়ে! উচ্চ মাধ্যমিকে সাঁওতালি ভাষায় রাজ্যে প্রথম ঝাড়গ্রামের মিনতি
এখন গ্লুকোমার জন্য চোখে অন্ধ, বুকে পেসমেকার, তা সত্ত্বেও দাদু আমার প্রশ্ন শুনে উত্তর করে দিতেন, দূর করে দিতেন কেমিস্ট্রির বিভিন্ন মার-প্যাঁচ। অর্চিষ্মাণ এর মা অনিন্দিতা মাইতি নন্দীও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কেমিস্ট্রি নিয়ে এম এস সি করেছেন এবং বর্তমানে বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ে কেমিস্ট্রি ডিপার্টমেন্ট টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে কর্মরতা। বাবা ড:মিঠুন নন্দী একটি বেসরকারি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থায় উঁচু পদে কর্মরত। বড় হয়ে অর্চিষ্মাণ বিজ্ঞানী হতে চায়। এখন পাখির চোখ আই আই টি খড়গপুর এ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার। দ্বাদশ শ্রেণীর রেজাল্ট অর্চিষ্মাণ তার দাদুকে (মায়ের বাবা) উৎসর্গ করতে চায়।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
CBSE Topper
Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper