পত্রিকা প্রতিনিধি: করোনা মৃতদেহ সৎকার নিয়ে টানাপোড়েনের জেরে অসহায় প্রসাশন।তবে করোনা মৃতদেহ সৎকারের পরিকাঠামো নেই এগরা মহকুমায়।ফলে চরম সমস্যায় মহকুমা প্রশাসন।তবে মৃতের সৎকারে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্বের উদাসীনতা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন।
জানা গিয়েছে,এগরা পুরসভার ২নং ওয়ার্ডের এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পেছনে একটি পুকুর পাড়ে ছোট একটি শশ্মানে শনিবার রাতে প্রশাসন সৎকারের উদ্যোগ নিলেও স্থানীয় মানুষদের প্রতিবাদে তা পুরোপুরি ব্যর্থ হয়।তাই ৭২ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত ব্যক্তির মৃতদেহ সংরক্ষিত রইল এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের মর্গে।তবে এই পরিস্থিতিতে করোনা মৃতদেহ কি আদৌও সৎকার করা যাবে,তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এবিষয়ে এগরা মহকুমা শাসক অপ্রতিম ঘোষ বলেন,এই করোনা মৃতদেহকে নিয়ে ৩ বার তার সৎকারের ব্যবস্থা করা হল।কিন্তু সৎকার করতে গিয়ে প্রত্যেক মূহুর্তে পরিবারের সদস্য ও প্রশাসনকে বাধার মুখে পড়তে হয়েছে।তবে এই ভাবে একটি মৃত মানুষের প্রতি অসম্মাননা করা ঠিক নয়।বারবার তাকে এইভাবে সৎকার করতে নিয়ে যাওয়া ও পরে তা ফিরিয়ে আনা তা একদম ঠিক নয়।সে জন্য আমাদের পর্যালোচনা চালু আছে।সমাধান সূত্র না বেরোনো পযর্ন্ত আমরা আর কোনো পদক্ষেপ নেবো না।তবে সঠিক কোনো সমাধান না হওয়া পযর্ন্ত মৃতদেহ হাসপাতালের মর্গে সংরক্ষিত থাকবে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ,এগরা ২ ব্লকের মঞ্জুশ্রী অঞ্চলের এক ব্যক্তি এগরা সুপার হাসপাতালে করোনায় মৃত্যু হয়েছে।তাই প্রশাসন সেই মৃতদেহ এগরায় সৎকার করার চেষ্টা করছেন।কিন্তু এই বিষয় নিয়ে আমরা খুব আতঙ্কিত।যদি করোনা রোগীর সৎকার এই শশ্মানে হয় তাহলে এই এলাকায় করোনা সংক্রমণ চড়াতে পারে।সেকারণেই এগরা ২ ওয়ার্ডের শশ্মানে তার সৎকার করতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত,গত ৬ ই আগষ্ট বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এগরা-২এর উত্তর ভাড়দা গ্রামের অমিত জানা (৪২) এর মৃত্ হয় এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। কয়েকদিনের জ্বর কাশি নিয়ে অমিত ভর্তি হয় হাসপাতালে। কর্তৃপক্ষের প্রাথমিক টেস্টে রিপোর্টে আসে নেগেটিভ। দুদিন পরে সুস্থ না হওয়ায় আবার দ্বিতীয় পরীক্ষায় বৃহস্পতিবার রিপোর্ট আসে করণা পজিটিভ। প্রশাসনের পক্ষে তাকে হাসপাতাল স্থানান্তরের উদ্যোগ নেওয়ার পূর্বেই তার মৃত্যু হয়। যেহেতু করোনায় মৃত্যু হয়েছে তাই প্রাথমিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার বডি পরিবারকে দিতে চায় নি।
পরিবারের অভিযোগ,মৃত্যুর পর মৃতের বডি দিতে চাইনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ যখন বডি দিতে চায় তখন পরিবারকে পরিবার বডি নিতে অস্বীকার করে। তাদের দাবি যেহেতু করোনা পজেটিভ তাই মৃতের সৎকার করতে হবে প্রশাসনকে।পরে মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারকে মৃতদেহ নেওয়ার অনুরোধ করা হয়, কারণ কোভিড -১৯ এ মৃতের দাহ করার পরিকাঠামো নেই মহকুমায়। কিন্তু পরিবার এখনো পর্যন্ত মৃতদেহ গ্রহণ না করায় বিপাকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।