Beware of setting fire to the fallen leaves of the forest, Medinipur Forest Department is keeping spies in the villages.
ওয়েব ডেস্ক ,বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : সচেতনতার প্রচার যাই থাকুক, গাছের শুকনো ঝরা পাতায় আগুন লাগার ছবি এখনও দেখা যাচ্ছে। শালবনী থেকে লালগড়, গোয়ালতোড় থেকে মেদিনীপুর একই চিত্র। কেউ বা কারা ইচ্ছাকৃত ভাবে অনেক সময় আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। এবার তাদের ধরতে গ্রামে গ্রামে গুপ্তচর রাখছে বন দফতর। যারা এই গুপ্তচরের কাজ করবেন, তাদের পরিচয় বনাধিকারিক ছাড়া বনকর্মীরাও জানতে পারবে না। যে সমস্ত মানুষজন জঙ্গলে বেশি সময় কাটান তারাই এই কাজে স্বেচ্ছাশ্রম দিতে পারেন পরিবেশ রক্ষার্থে।
আরও পড়ুন:- এগরায় দ্রুত গতির ডাম্পারের ধাক্কায় মৃত্যু ১ ব্যক্তির
আরও পড়ুন:- খড়্গপুর শহরে সেভেন এম এম পিস্তল সহ গ্রেফতার এক যুবক
প্রয়োজনে বিশেষ গোপনে আগুন লাগানোর ছবি তুলে বন দফতরে জানাবে। নজরদারি চালাতে উড়তে পারে ড্রোনও। কারও নামে আগুন লাগানোর অভিযোগ জমা পড়লে, কে জানিয়েছেন তা গোপনীয়তা থাকবে। জঙ্গলে গবাদিপশু নিয়ে প্রতিদিন এলাকার মানুষজন যান। তাদের মধ্যে থেকেও কেউ কেউ এই কাজে যুক্ত হতে পারেন। থাকতে পারেন এলাকার যুবক ও মহিলারাও। মেদিনীপুর রেঞ্জের আধিকারিক পাপন মহান্ত মানছেন, বিভিন্ন এলাকায় গুপ্তচর রাখা হচ্ছে। জঙ্গলে কারা আগুন লাগাচ্ছে তা ধরার জন্য। ধরা পড়লে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Medinipur Forest Department
আরও পড়ুন:- শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতি আলু, চাষীদের সঙ্গে কথা বলতে গড়বেতায় জমিতে ঘুরলেন সিপিএম নেতা সুশান্ত ঘোষ
আরও পড়ুন:- নির্বিঘ্নে কাটল মাধ্যমিকের প্রথম পরীক্ষা, মেদিনীপুরে প্রস্তুত ছিল পুলিশ
তিনি বলেন, সচেতনতার প্রচারের পাশাপাশি বিভিন্ন ভাবে আমরা চেষ্টা করছি জঙ্গল রক্ষার্থে। যারা এই কাজে যুক্ত থাকবেন তারা কোনো পারিশ্রমিক পাবেন না। মূলত যারা প্রতিনিয়ত জঙ্গলে ঘোরাফেরা করেন, তারাই পরিবেশ রক্ষার্থে স্বেচ্ছাশ্রম দিবেন। বন দফতরের এই অভিনব উদ্যোগ যদি সফল হয়, তবে আগামী দিনে গাছ কাটা রুখতেও বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করবে এই গুপ্তচর বাহিনী। বন দফতরের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন পরিবেশপ্রেমী তথা গুড়গুড়িপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ব্রজদুলাল গিরি।
আরও পড়ুন:- মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতের পথ মসৃণ রাখতে হাতির গতিপথে ঢাল হয়ে দাঁড়ালেন বনকর্মীরা
অন্যদিকে মেদিনীপুর সদরের জামশোল, পাঁজাশোল, মুচিবেড়িয়ার জঙ্গলে কেউ বা কারা আগুন লাগিয়ে দেয়। দাউ দাউ করে পুড়তে থাকে একরের পর একর জঙ্গল। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে উদ্বিগ্ন মানুষজন। বন্য পশু পাখিও ধ্বংসের মুখে। জঙ্গল পথে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের যাতায়াতে যাতে কোনো সমস্যা না হয় তার জন্য পাহারায় ছিলেন বনকর্মীরা। সেইসময় জঙ্গলে আগুন লাগার খবর যায় মেদিনীপুর বন দফতরে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে যান বনকর্মীরা। ডাকেন স্থানীয়দেরও।
বিক্ষিপ্ত ভাবে বিভিন্ন জঙ্গলে আগুন লাগানো হয়েছিল। বনকর্মী ও স্থানীয়দের দু’ঘন্টার যৌথ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। বনকর্মী মলয় নন্দী বলেন, স্থানীয় মানুষজন ও বনকর্মীরা মিলে আগুন নেভিয়েছেন। তবে আগুন নেভাতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে। সচেতনতার প্রচারে আরও জোর দেওয়া হবে। কিভাবে লাগলো আগুন? স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, জঙ্গলের জ্বালানি কাঠ সংগ্রহে সুবিধা হবে আগুন লাগলে। যেকারণে একদল অসাধু মানুষ এই কাজ করেছেন।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.cm/biplabisabyasachi
Medinipur Forest Department
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore