বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন :রাস্তা সম্প্রসারণের জন্য কাটা পড়তে চলেছিল একটি অশ্বত্থ গাছ। জানাজানি হতেই গাছ কাটা রুখতে সরব হলেন নাগরিকরা। আবেদন জানালেন বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে। ঘটনাটি মেদিনীপুর শহরে সিপাই বাজার এলাকায়। ওই এলাকায় একটি বেসরকারি স্কুলের কাছে রাস্তার পাশে ৬৫ বছরের পুরনো অশ্বত্থ গাছ রয়েছে। বিগত কয়েক মাস ধরেই কেরানিচটি থেকে সিপাইবাজার পর্যন্ত রাস্তাটি সম্প্রসারণের কাজ চলছে। যার ফলে কাটা পড়তে চলেছিল পুরোনো অশ্বত্থ গাছটি। জানতে পেরে কাটা আটকাতে জনমত সংগ্রহ শুরু করে সোশ্যাল মাধ্যমে। বিষয়টি প্রথম সামনে আনেন সর্বেশ্বর নায়ক। তারপর অভিনন্দন মুখোপাধ্যায় সহ শহরের নাগরিকরা গাছ কাটা আটকাতে আবেদন জানান। অভিনন্দন তার সোশ্যাল মাধ্যমে লেখেন, “এতবড় গাছটি কেটে ফেলা হলে প্রকৃতিগত ভাবে এবং বাস্তুতন্ত্রের সমস্যা হবে সে নিয়ে সন্দেহ নেই। সেই ছোটবেলা থেকে এই গাছটি দেখে আসছি৷ কত মানুষ গাছটির ছায়ায় বসে। কত পাখির বাসস্থান এই বনস্পতি।”
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here

আরও পড়ুন : মহিষাদলের গেঁওখালিতে বাস দুর্ঘটনা,আহত ২২ জন
গাছটি যাতে না কাটা হয় তার আবেদন জানিয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শাসক, জেলা পুলিশ সুপার, মেদিনীপুর বনবিভাগ, মেদিনীপুর পৌরসভায় লিখিত আবেদন জানান নাগরিকরা। সোমবার ওই স্থানে উপস্থিত হয়েছিলেন মেদিনীপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান সৌমেন খান। নাগরিকরা জানান, গাছটিকে রক্ষা করা হবে বলে পৌরপ্রধান জানিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চের পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির উদ্যোগেও জেলা শাসক , মহকুমা শাসক এবং মেদিনীপুর বন বিভাগে লিখিত ডেপুটেশন দেওয়া হয়।

সংগঠনের জেলা কার্যকরী সভাপতি দিলীপ চক্রবর্তী বলেন, “গাছ কেটে ফেলার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো হয় এবং যাতে না কাটা হয় সেই বিষয়ে ব্যবস্থা গ্ৰহণ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। কেটে ফেলার জন্য অনুমোদন বাতিল করবেন বলে বনদপ্তর জানিয়েছে।” নাগরিকদের দাবি, জনসংখ্যা বেড়েছে। রাস্তা সম্প্রসারণ অবশ্যই দরকার। কিন্তু এই গাছটিকে রক্ষা করে করতে হবে। অন্যান্য উন্নত দেশে যখন বড় বড় গাছ রিস্টোরেশনে করে রক্ষা করা হচ্ছে, তখন এখানে গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে কেনো? বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, গাছটি না কাটার জন্য আবেদন জমা পড়েছে। যাতে না কাটা যায় সে বিষয়টি আমরা দেখছি।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Tree Preservation
Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper