ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : চলতি মাসেই ঝাড়গ্রামের নয়াগ্রাম ও সাঁকরাইল এলাকায় দু’জনের মৃত্যু হয়েছিল দলছুট এক দাঁতালের হানায়। রবিবার ওই দাঁতালের হানায় পশ্চিম মেদিনীপুরের মুড়াকাটা এলাকায় মৃত্যু হয়েছিল এক বৃদ্ধার৷ তার রেশ কাটতে না কাটতে সোমবার সকালে জখম হলেন এক মহিলা ও যুবক। একই হাতির হানায় মৃত্যু ও জখমের ঘটনার পর হাতিটিকে চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছে বন দফতর।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
উল্লেখ্য, রবিবার জেলার খেমাশুলি ও মুড়াকাটা এলাকায় হাতির হানায় মৃত্যু হয় দুই মহিলার। বিকেলে বিধায়ক জুন মালিয়ার উপস্থিতিতে মুড়াকাটায় মৃত মহিলার পরিবারের হাতে ক্ষতিপূরণের টাকার চেক তুলে দেয় বন দফতর। তার রেশ সামাল দেওয়ার আগেই শালবনীর কিসমত বনকাটি গ্রামে হাতির হামলা সোমবার সকালে। গ্রামের এক মহিলা ও এক যুবককে জখম অবস্থায় ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। এবার শালবনীতে ঘাতক হাতি নিয়ে আতঙ্ক।
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, সোমবার সকালে গ্রামের বাসিন্দারা কাজে বের হচ্ছিলেন বিভিন্ন দিকে। তখনই কিসমত বনকাটি গ্রামের পাশেই এক মহিলাকে হাতিতে হামলা করে ৷ বিষয়টি জেনে সাবধান হওয়ার আগেই গ্রামের এক যুবক প্রাতঃকৃত সারতে গিয়ে হাতির হামলাতে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দা অরুন সিং বলেন, “আমার স্ত্রী মঞ্জু সিং (৩২) বাড়ি থেকে সামনেই কাঠ সংগ্রহ করছিলেন। তখন হঠাৎ সামনে চলে আসে একটি হাতি। পালানোর সুযোগ না দিয়েই হাতিটি হামলা করে। জখম অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে।
আরও পড়ুন : বন ও বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে বিদ্যালয়ে শিবির, পাঠক্রমে অন্তর্ভুক্তের দাবি
বন দফতর কোনো পদক্ষেপই নিচ্ছে না হাতিকে সরানোর বিষয়ে। প্রায়শই যেভাবে হাতির হামলা ঘটছে আমরা খুবই আতঙ্কে রয়েছি। প্রশাসনকে বলবো কোনো একটা ব্যবস্থা নিক আমাদের স্বার্থে।” মঞ্জু সিং-কে আহত অবস্থায় পরিবারের লোকেরা উদ্ধার করে মেদিনীপুর হাসপাতালের উদ্দেশ্যে নিয়ে রওনা দেওয়ার মুহুর্তে অপর ঘটনাটি ঘটেছে। গ্রামের বাসিন্দা যুবক মুক্তিপদ রায় প্রাতঃকৃত সারতে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরেই জঙ্গলে গিয়েছিলেন। সেখানে পেছন থেকে তাকে হাতিতে আক্রমণ করেছে। জখম হয় সেও। ঘটনায় ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন আহত যুবক মুক্তিপদ রায়ও। তিনি বলেন, “এলাকাতে হাতির উপদ্রব নিয়ে বন দফতর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।
এমন হলে আমাদের এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হবে। সকলেই গ্রামের আতঙ্কে রয়েছে।” ঘটনার পরই মেদিনীপুর রেঞ্জের আধিকারিক পাপন মহান্ত ও ভাদুতলা রেঞ্জ আধিকারিক মনোজিত শেঠ পৌঁছান ওই গ্রামে। গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে আশ্বাস দিয়েছেন। হাসপাতালেও বনকর্মীরা গিয়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। বন দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “ওই হাতিটি সম্পর্কে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে। দেখা হচ্ছে নয়াগ্রাম, সাঁকরাইলেও ওই হাতিটির হানায় মৃত্যু হয়েছে কিনা।” তবে কলাইকুন্ডা এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, ওই হাতিটির হানায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে নয়াগ্রাম, সাঁকরাইল, মেদিনীপুরে।
আরও পড়ুন : ফসলের ন্যায্য মূল্যের দাবিতে আলু-লঙ্কা-বেগুনের মালা পরে পথে বসলেন ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Elephant Attack
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper