Medinipur Sadar : রাজ্যের পরিবর্তনের ১১ বছর পার হলেও এখনও বন্ধ ‘অনিল বিশ্বাস ভবন’। এই ভবনই ছিল মেদিনীপুর সদরের ‘লাল দুর্গ’। মাওবাদীরা হামলাও চালিয়েছে এই দুর্গে। তারপর রাজ্যে পরিবর্তন হতেই সিপিএমের অাধিপত্যে ব্যাপক ভাঙন ধরে। সোমবার প্রথম কৃষকসভা ও খেতমজুর সংগঠনের ব্যানারে মিছিল করলেন সিপিএমের নেতারা। সামিল মণিদহ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারাও। নিতে হয় নি কোনো পুলিশি সহযোগিতা।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : https://chat.whatsapp.com/DaQgpKDDIIH7nyDIMgrMFP
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : রাজ্যের পরিবর্তনের ১১ বছর পার হলেও এখনও বন্ধ ‘অনিল বিশ্বাস ভবন’। এই ভবনই ছিল মেদিনীপুর সদরের ‘লাল দুর্গ’। মাওবাদীরা হামলাও চালিয়েছে এই দুর্গে। তারপর রাজ্যে পরিবর্তন হতেই সিপিএমের অাধিপত্যে ব্যাপক ভাঙন ধরে। দ্বিতল উঁচু ‘অনিল বিশ্বাস ভবন’ তথা লোকাল কমিটির অফিসকে ফেলে রাতারাতি পালিয়েছিলেন স্থানীয় অনেক সিপিআইএম নেতারা।
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে তৃণমূল। স্থানীয় অনেক সিপিএম নেতা কর্মী তৃণমূল ও বিজেপিতে যোগ দেয়। কোনোভাবেই নিজেদের শক্তঘাঁটিকে আর উদ্ধার করতে পারেনি বামফ্রন্ট। এমনকি পুলিশ ছাড়া মিছিলও করতে সক্ষম হয় নি এতদিন। এর আগে নির্বাচনের সময় মিছিল করত পুলিশের নজরদারিতে। তবে সোমবার প্রথম কৃষকসভা ও খেতমজুর সংগঠনের ব্যানারে মিছিল করলেন সিপিএমের নেতারা। সামিল মণিদহ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারাও। নিতে হয় নি কোনো পুলিশি সহযোগিতা।
এদিন এনায়েতপুরে অবস্থিত মণিদহ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে একগুচ্ছ দাবিতে ডেপুটেশন দেয়। যেখানে স্থানীয় প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে কৃষকদের ফসলের ক্ষতিপূরণ, হাতির হামলায় ক্ষতিপূরণ, একশো দিনের কাজের বকেয়া মিটিয়ে কাজ দেওয়ার দাবি করা হয়েছে। কৃষকসভার জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য সৌগত পন্ডা বলেন, “১১ বছর পরে এই স্বতঃপ্রণোদিত মিছিল। এর আগে ছোটো খাটো হয়েছে। তবে এইভাবে মিছিল করে ডেপুটেশন সম্ভব হয়নি।”
মিছিল করে নিজেদের পুরোনো পার্টি অফিসের সামনে দিয়ে গেলেও সেই অফিসে পা রাখার পরিস্থিতি তৈরি হয়নি নেতা কর্মীদের। যা ২০১১ এর পর থেকে পরিত্যক্ত। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২২ সে সেপ্টেম্বর ওই দ্বিতল লোকাল কমিটির অফিসে বিকেলে হামলা চালিয়েছিল মাওবাদীরা। স্থানীয়দের দাবি, ওই কার্যালয়ে তখন সিপিএমের নিজস্ব সশস্ত্র বাহিনী থাকত দলের নিয়ন্ত্রণ রক্ষার্থে। সেই বাহিনীর সাথেই লড়াই হয়েছিল মাওবাদীদের। সেখানে থাকা অনেকেই মাওবাদীদের গুলিতে জখম হয়েছিলেন ওই রাতে।
তারপর রাজ্যে পরিবর্তনের পর থেকে ওই কার্যালয় পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে। বর্তমানে সেখানে ঝোপঝাড়ে ভরা একটি ভূতুড়ে আকার নিয়েছে। সৌগত পন্ডা বলেন, “ওই রুটে জঙ্গলমহলের বিভিন্ন দলীয় কার্যালয়গুলি ব্যবহার শুরু হলেও এনায়েতপুর পার্টি অফিস এখনও ব্যবহার করার মতো হয় নি। আমরা শীঘ্রই পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেবো। কারণ সব কিছু লুঠপাঠ করে ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে অফিসটির।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
ICSE Result
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore