Home » Midnapore : খুন করার অভিযোগ! হাইকোর্টের নির্দেশে মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে মৃত হোসেন আলী-র দেহ নিতে এলো পরিবার

Midnapore : খুন করার অভিযোগ! হাইকোর্টের নির্দেশে মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে মৃত হোসেন আলী-র দেহ নিতে এলো পরিবার

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশ পেয়ে হোসেন আলী-র দেহ নিতে মেদিনীপুরে এলেন তার পরিবারের সদস্যরা। ময়নাতদন্তের পর প্রশাসনের পক্ষ থেকে দেহ তুলে দেওয়া হল পরিবারকে। পরিবার জানিয়েছে, “এই মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। ঘটনার প্রকৃত তদন্তের জন্য আমরা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি। আমরা নিরপেক্ষ পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করেছি।” উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থানার অন্তর্গত চনসরা গ্রামের বাসিন্দা যুবক হোসেন আলী স্থানীয় একটি বাড়িতে গৃহ শিক্ষক ছিলেন।


আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ

ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here

Midnapore
নিজস্ব চিত্র

নাবালিকা ছাত্রীর পরিবার সম্প্রতি জানতে পেরেছিল গৃহ শিক্ষক তাদের মেয়ের সঙ্গে প্রেম করছে। এরপর তাকে টিউশন থেকে ছাড়িয়ে দেয়। তারপরেই ওই নাবালিকা ছাত্রীকে নিয়ে ফেরার হয়ে গিয়েছিল হোসেন। ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে তমলুক থানায় অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ হিমাচলপ্রদেশ থেকে দুজনকেই উদ্ধার করে আনে। গ্রেপ্তার করা হয় হোসেন আলীকে। তমলুকে আনার পর হোসেন আলী অসুস্থ হয়ে পড়ায় নাকি তাকে চিকিৎসার জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পরে মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে পাঠানো হয়।

আরও পড়ুন : মেদিনীপুরে থেকে স্পেনের উদ্দেশ্যে রওনা দিল সরকারি হোমের এক নাবালক

আরও পড়ুন : বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই মহিলা কলেজে গাছ কেটে পরিবহনের অভিযোগ

Midnapore

৫ জুলাই সেন্ট্রাল জেলে গলায় গামছা দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় তার দেহ উদ্ধার হয়। এরপরেই হোসেনের পরিবারকে নাকি পুলিশ জানাই বলে অভিযোগ। হোসেনের পরিবারের পক্ষ থেকে তার কাকা সেক নাসের বলেন, “আমার ভাইপোকে গ্রেফতার করে যে পুলিশ এনেছিল তার কোনটাই পরিবারকে জানানো হয়নি। তাকে গ্রেফতার করে তমলুকে রাখা হয় পরে সেখান থেকে মেদিনীপুর সেন্ট্রাল জেলে পাঠানো হয় তার কোন তথ্যও পরিবার জানত না। একেবারে ৫ জুলাই আমাদের ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হয় তাদের ছেলে মারা গিয়েছে সেন্ট্রাল জেলে।

এত বড় ঘটনা ঘটলো কোন কিছুই পুলিশ জানায়নি আমাদের। আমরা নিশ্চিত পুলিশ নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত দাবি করে আমরা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছি।” জানা গিয়েছে, পরিবারকে মৃত্যুর ঘটনা জানানো হলেও দেহ নিতে অস্বীকার করে প্রথমে। এই মৃত্যু পরিকল্পিত খুন অভিযোগ করে তদন্ত দাবি করে দেহ নেয় নি তারা। হাইকোর্টে মামলা করে পরিবার। অবশেষে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের পদক্ষেপ শুরু হওয়ার পর হাইকোর্ট নির্দেশ দিলে সেই দেহ নিতে মঙ্গলবার দুপুরে পরিবারের লোকজন হাজির হয় মেদিনীপুরে। ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

আরও পড়ুন : ইসরোর দরবারে পিংলার সৌম্যদীপ! ভবিষ্যতে স্বপ্ন গবেষণার

আরও পড়ুন : পুরোনো মামলায় বিজেপির একাধিক নেতা কর্মীর বাড়িতে অভিযান পুলিশের

লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi

Midnapore

– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.