Medinipur Assembly Election
বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : ভোট শান্তিপূর্ণভাবে হলেও আগের রাতে বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতার ও বাড়িতে গিয়ে হেনস্থার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। সকাল হতেই থানায় হাজির বিজেপি প্রার্থী। স্থানীয় বিজেপি নেতাকে সঙ্গে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে নিয়ে গেলেন প্রার্থী নিজে। ঘটনাটি মেদিনীপুর বিধানসভার গুড়গুড়িপাল থানা এলাকায়। বিজেপির অভিযোগ, ভোটের আগের দিন রাতে একাধিক বিজেপি নেতা-কর্মীর বাড়িতে চড়াও হয় পুলিশ। তার মধ্যে ধেড়ুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চুয়াশোল এলাকার প্রাণেশ মাহাত নামে এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে। নয়ন দে সহ বিভিন্ন বিজেপি নেতা-কর্মীদের বাড়িতে গিয়ে হেনস্তা করে বলে অভিযোগ।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group 1: Click Here
For WhatsApp Group 2: Click Here
এরই প্রতিবাদে বুধবার সকাল দশটা নাগাদ গুড়গুড়িপাল থানায় হাজির হন বিজেপি প্রার্থী শুভজিৎ রায়। তিনি কথা বলেন গুড়গুড়িপাল থানার ওসির সঙ্গে। পরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, “পুলিশ জানিয়েছে ওই বিজেপি কর্মীর নামে অ্যারেস্ট ওয়ারেন্ট আছে। আমি পুলিশকে বলেছি, যদি ওয়ারেন্ট থাকে আগে কেন গ্রেফতার করা হয়নি বা আজকে ভোটের পর কেন গ্রেফতার করা গেল না। বেছে বেছে ভোটের আগে রাতেই গ্রেফতার করতে হলো। উনারা সুযোগ রেখেছিল ভোট আসছে, তার আগের দিন যাতে ভোটে কাজ করতে না পারে তার জন্য গ্রেফতার করা হলো।” শুভজিৎ-এর আরো অভিযোগ, “গতকাল গুড়গুড়িপাল থানার ওসি-কে একাধিকবার ফোন করা হলেও ফোন ধরেন নি।
আরও পড়ুন : প্লাবিত ঘাটাল, মেদিনীপুর শহরেও বাড়িতে ঢুকলো জল
আরও পড়ুন : বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই মহিলা কলেজে গাছ কেটে পরিবহনের অভিযোগ
Medinipur Assembly Election
মেদিনীপুর বিধানসভা এলাকায় আটক এবং গ্রেপ্তার মিলিয়ে মোট পাঁচজনকে থানায় বসিয়ে রেখেছে পুলিশ। এরপরই থানা থেকে বেরিয়ে সোজা চলে যান চাঁদড়ার বিজেপি নেতা নয়ন দে’র বাড়িতে। কথা বলেন নয়ন দে ও তার পরিবারের সঙ্গে। বিজেপির অভিযোগ, গতকাল রাতে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে তার বাড়ির লোকজনকে হেনস্থা করে। দরজায় লাথি মারে। নয়ন বলেন, “আমার নাম ধরে ডাকতে থাকে পুলিশ। আমি যখন সাড়া না দিই, তখন দরজায় লাথি মারে। পরে আমার ছেলে দরজা খোলে। সোজা বাড়ির ভেতরে ঢুকে। আমার রুমে আমি দরজা না খুললে, আমার বাড়ির লোকজনকে চাপ দেওয়া হয় আমাকে না পেলে বাড়ির অন্যদের থানায় তুলে নিয়ে যাওয়া হবে। ভোর চারটাতেও দেখি পুলিশ দাঁড়িয়ে আছে আমার বাড়ির সামনে।”
শুভজিৎ বলেন, “এইভাবে পুলিশ হেনস্থা করে বাড়ির মধ্যে আটকে রাখার চেষ্টা করছে। যাতে না ভোটে কোনো কাজ করতে পারে। সারা বিধানসভা জুড়ে এইভাবে পুলিশি সন্ত্রাস চলছে। তবে এইভাবে বিজেপিকে আটকে রাখা যাবে না।” পরে নয়ন দে-কে সঙ্গে নিয়ে চাঁদড়ার ভোটকেন্দ্রে যান প্রার্থী। নয়নের স্ত্রী চাঁপা দে বলেন, “আমার স্বামী না বেরোনোয় আমার ছেলেদের কলার ধরে পুলিশ হুমকি দিচ্ছে তোদেরকে ধরে নিয়ে যাব। বিজেপির ভোট করাতে যাতে না পারে তার জন্য আমার স্বামীকে ঘরে আটকে রাখতে চাইছে। আমরা আতঙ্কে আছি, পুলিশের উপর ভরসা নেই কখন কি করবে।”
আরও পড়ুন : ইসরোর দরবারে পিংলার সৌম্যদীপ! ভবিষ্যতে স্বপ্ন গবেষণার
আরও পড়ুন : পুরোনো মামলায় বিজেপির একাধিক নেতা কর্মীর বাড়িতে অভিযান পুলিশের
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Midnapore Assembly Election
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper