ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : “চিন্তার পরিবর্তন ঘটান না হলে আপনার বাচ্চার ভবিষ্যৎ অন্ধকার হবে!” অভিভাবকদের এমনই বার্তা দিলেন রাজ্যের বন প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তিনি বলেন, শিক্ষক ছাত্রদের বকাবকি করেছে বলে পুরো গ্রামের লোকজনকে স্কুলে নিয়ে আসবেন না। কারণ ছাত্রদের ভালো এবং ভবিষ্যতের লক্ষ্যেই শিক্ষকরা তাদের বকাবকি করেন। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর সদরের চাঁদড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্লাটিনাম জয়ন্তী সমাপ্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে এমনই বার্তা দিলেন বীরবাহা হাঁসদা।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদের সভাধিপতি প্রতিভা রানী মাইতি, মেদিনীপুর পৌরসভার পৌরপ্রধান সৌমেন খান সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিরা। প্রদীপ প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। শোভাযাত্রা এলাকা পরিদর্শন করে। পরে বীরবাহা হাঁসদা মঞ্চে বলেন, “শুধু পুঁথিগত বিদ্যায় বিদ্যা হয় না। নিজেকে মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। সকলের পাশে থাকতে হবে, সকলকে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আজকের দিনে সেই জায়গাটি থেকে বুঝতে পারি সেদিনের সেই শিক্ষাটা যদি না পেতাম তাহলে আজকের দিনে এতগুলো মানুষের মুখে যে হাসি ফোটানোর দায়িত্বটা পেয়েছি সেটা হয়তো সামলে উঠতে পারতাম না।
Birbaha Hansda
ছাত্রছাত্রীর কাছে আবেদন শিক্ষকদের কথাও শুনতে হবে। তারা যা বলেন আমাদের ভালো এবং ভবিষ্যতের জন্যই বলেন। তোমরা যখন বড় হবে তখন বুঝতে পারবে কেন মাস্টারমশাই দিদিমণিরা আমাদের বকতেন।” শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, “ভালো মনের মানুষ তৈরি করুন। এই সমাজে ভালো মানুষের অভাব রয়েছে। কেমন যেন স্বার্থপরতার একটা যুগ চলে আসছে। শুধু নিজের কথা ভাবি। আমরা পারিপার্শ্বিক দিকগুলোর কথা ভাবতে ভুলে গিয়েছি। সেই জায়গাটায় আবার ফিরে যেতে হবে। যারা সমাজের কথা ভাববে, পারিপার্শ্বিক এলাকার মানুষজনের কথা ভাববে, সেই মানুষ তৈরি করতে হবে।
আরও পড়ুন : হাসপাতালে দেখা মেলে না সিনিয়র চিকিৎসকদের! মেয়েকে বাঁচাতে মন্ত্রীর পা ধরলেন বাবা-মা
আরও পড়ুন : রান্নার সময় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে ঝলসে গেল চারজন
কারণ সমাজে একা কেউ চলতে পারে না। একে অন্যের হাত ধরে এগিয়ে যেতে হবে।” তিনি স্মরণ করান, “আগে ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষকরা বকাবকি করতেন বা মারতেন। বাড়িতে গিয়ে সে কথা বললে বাবা-মা উল্টে আবার মারতেন। কিন্তু এখন উল্টে বাবা-মা গ্রামের লোকজন নিয়ে চলে আসছেন স্কুলে। এটা পাল্টাতে হবে আমাদের। কারণ একজন শিক্ষক ভালোর জন্যই ছাত্র-ছাত্রীদের বকাবকি করেন। যদি অভিভাবকরা এতে সহযোগিতা না করেন তাহলে আগামী দিনে আপনার বাচ্চার ভবিষ্যৎ অন্ধকার হবে।”
আরও পড়ুন : মর্মান্তিক! নিজের বাড়িতে ইলেকট্রিক শকে মৃত্যু সিভিক ভলান্টিয়ারের
আরও পড়ুন : একনাগাড়ে বৃষ্টি, জমিতে জমছে জল! পশ্চিম মেদিনীপুরে মাথায় হাত আলু চাষীদের
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Birbaha Hansda
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper