ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : ভারতবর্ষের গ্রামীণ মানুষের সেবায় এ দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে আধুনিক নার্সিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের। ১২ মে তাঁর জন্মদিনটি “বিশ্ব নার্স দিবস” হিসেবে পালিত হয়ে আসছে। গভীর রাতে হাসপাতালের করিডোরে রোগীদের দেখতে হাতে মোমবাতি নিয়ে তিনি হেঁটে বেড়াতেন। তাই “দ্য লেডি উইথ দ্য ল্যাম্প” বলেও মানুষ স্মরণ করেন।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
১৭ বছর বয়সে লন্ডনে আসেন ফ্লোরেন্স। সেই সময় কেউ সেবিকার কাজে এগিয়ে না আসায় লন্ডনের হাসপাতালগুলোর অবস্থা ছিল খুবই করুণ। যার অন্যতম কারণ ছিল সামাজিক ভাবে মর্যাদা না দেওয়া। স্বাধীন দেশে আজও নার্সরা মর্যাদা পান না বলে অভিযোগ। হতে হয় অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক পরিস্থিতির শিকার। রয়েছে উন্নত প্রশিক্ষণের অভাব আর বৈষম্যের ধারাপাত। নার্সরা যে আজও অবহেলিত তা মানছে নার্সদের সংগঠন “নার্সেস ইউনিটি”। সংগঠনের রাজ্য সভানেত্রী পার্বতী পাল বলেন, “চরম অবমাননা, অত্যাচারের মধ্যেও নার্সরা পরিষেবা দিতে বাধ্য হচ্ছেন।”
শুক্রবার মেদিনীপুরে নার্সিং সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফিসে পালিত হয় “বিশ্ব নার্স দিবস”। “আমাদের নার্স, আমাদের ভবিষ্যৎ” প্লাকার্ড হাতে পদযাত্রাও করেন নার্সরা। উপস্থিত ছিলেন সুপার বন্দনা বাগ, নার্সিং কলেজের অধ্যক্ষা অপর্ণা সাহা সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। নার্সিং সেবা এক মানবিক কর্মযজ্ঞ। জ্ঞান-বিজ্ঞানের এতো প্রসারের পরও নার্সদের সইতে হয় বঞ্চনা, কাউকে কাউকে শুনতে হয় কটুকথাও। তবুও হাসপাতালের ঘন-অন্ধকারে আলো হয়ে রোগীর পাশে, চরম দুঃসময়ে স্নেহের পরশ নিয়ে এগিয়ে আসেন নার্সরা। দিনরাত খেটে চলেন সুস্থতার অপেক্ষায় থাকা মানুষটির নির্ভরশীলতার প্রতীক হয়ে।
World Nurses Day
তারপরও রোগীর পরিবারের লোকজনদের কাছে শুনতে হয় পরিষেবায় গাফিলতির অভিযোগ। হেনস্তার শিকার পর্যন্ত হতে হচ্ছে। এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক নার্স নিয়োগ না করাকেই দায়ি করছে নার্সেস ইউনিটির রাজ্য সভানেত্রী পার্বতী পাল। তিনি বলেন, “স্বাধীনতার ৭৫ বছর পেরিয়ে গেলেও আজও বঞ্চনার শিকার হতে হয় নার্সদের। মর্যাদাও দেয় না। বৈষম্য দূরীকরণের কোনো চেষ্টায় করেনি সরকার। যেখানে তিনজন রোগী পিছু একজন নার্স থাকার কথা, সেখানে একজন নার্সকে একশো জনের দায়িত্ব নিতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন : বেপরোয়া গতি লরির, গুড়গুড়িপালে মৃত এক
ফলে পরিষেবায় ঘাটতি থাকলে হেনস্তার শিকার হতে হচ্ছে। আজও অত্যাচারিত হচ্ছেন নার্সরা। যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন ১৫ দিনে নার্স তৈরি হবে, সে রাজ্যে নার্সিং পরিষেবার উন্নতি নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।” শুধু বঞ্চনা, হেনস্তা নয়, হাসপাতালে বিনা চিকিৎসায় নার্সের মৃত্যুর অভিযোগও উঠেছিল। এখনও বিভিন্ন হাসপাতালে একই চিত্র বলে উল্লেখ করে ওই সংগঠনটির বক্তব্য, এ নিয়ে আমরা লাগাতার আন্দোলন করে আসছি। নার্সদের চিকিৎসা, মর্যাদা দেওয়া, বেতন বৈষম্য দূরীকরণ, পরিকাঠামোর উন্নতির দাবিতে।
আরও পড়ুন : সজারুর দেখা মিলল মেদিনীপুরে, নজরদারি বন দপ্তরের
আরও পড়ুন : কুড়মিদের দেওয়ালে রাজনৈতিক প্রচার বন্ধ, বিস্ফোরক মন্তব্য অজিত মাইতির
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
World Nurses Day
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper