Kharagpur Municipality
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধান। আর এরই মধ্যে বিদ্রোহী কাউন্সিলরদের জন্য জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের নির্দেশে খড়্গপুর পৌরসভার পুরপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন প্রদীপ সরকার। যদিও ইস্তফার দিনও দিনভর নাটক, টালবাহানা চলছে। বুধবার হাজার অনুগামী নিয়ে খড়্গপুর মহকুমা দপ্তরে এসে ইস্তফা পত্র জমা দিলেন পুরপ্রধান প্রদীপ সরকার।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
প্রদীপ অনুগামীদের মধ্যে যেমন ক্ষোভ দেখা গেল, তেমনি কেঁদে ভাসালেন অনেকেই। ক্ষোভ উগরে দিলেন প্রদীপ নিজেও। বুধবার দুপুরের পর তাঁর নিজের ওয়ার্ড থেকে কয়েক হাজার অনুগামী নিয়ে মহকুমা শাসকের দপ্তরে যান প্রদীপ সরকার। দলের নির্দেশমতো বুধবারই তিনি ইস্তফাপত্র দেন। মহকুমা শাসকের দপ্তর থেকে বেরিয়েই প্রদীপ সাংবাদিকদের বলেন ইস্তফাপত্র গৃহীত হয়নি। কিছু আইনগত সমস্যা রয়েছে বলে মহকুমা শাসক জানিয়েছেন।
Kharagpur Municipality
এরপর আসরে নামেন তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি। তিনি জেলা শাসক ও খড়্গপুর মহকুমা শাসকের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। ততক্ষণে দুপুর গড়িয়ে বিকেল ৫ টা। তখন অজিত মাইতি বলেন আমরা মহকুমা শাসকের সঙ্গে কথা বলেছি ইস্তফা গৃহীত হবে। বৃহস্পতিবার থেকে প্রদীপ সরকার পুরপ্রধানের দায়িত্বে সামলাবেন না। এরমধ্যে বিকেল সাড়ে ৫ টা নাগাদ প্রদীপকে ফের অফিসে ডেকে পাঠান মহকুমাশাসক। সাড়ে ৬ টা নাগাদ মহকুমা শাসকের অফিস থেকে বেরিয়ে প্রদীপ জানান তাঁর ইস্তফাপত্র হয়েছে। এই নিয়ে তাকে তিনবার ডেকে পাঠানো হলো।
জানা যাচ্ছে প্রদীপের ইস্তফা নিয়ে যখন দিনভর নাটক চলছিল তখন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রদীপ কে ফোন করেছিলেন। ছলছল চোখে মহকুমা শাসকের কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় প্রদীপ ফের বলেন, “যে সমস্ত কাউন্সিলর আমার বিরুদ্ধে সই করেছেন তাঁরা সবাই আমার বিরুদ্ধে নয়। তাদের মধ্যে অনেকেই চাপ দিয়ে সই করানো হয়েছে বলে আমার বিশ্বাস।” ক্ষোভ উগরে দিলেন একাংশ পুলিশ অফিসারের দিকেও।
আরও পড়ুন : উপপ্রধানের পাকা বাড়ি সত্ত্বেও আবাস তালিকায় নাম! বিক্ষোভ ঘাটালের গ্রামে
আরও পড়ুন : ন্যাশনাল মাস্টার্স অ্যাথলেটিক্স মিটে অংশ নিচ্ছেন মেদিনীপুর শহরের ৫৭ বছরের মহিলা
উল্লেখ্য পুরবোর্ডে পূর্ণ মেয়াদে পুরপ্রধান ছিলেন প্রদীপ সরকার। পুরপ্রধানের কাজে বেশ জনপ্রিয়তাও পেয়েছিলেন। তার সেই জনপ্রিয়তা দেখে বিধায়ক পদেও তিনি প্রার্থী হয়ে একবার জিতেছিলেন। ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু হেরে যান বিজেপির হিরণ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। এরপর পৌরসভা নির্বাচনে ৩৫ টি আসনের মধ্যে ২০ টি আসন তৃণমূল পায়।
ভোটের পর আরো ৫ জন কাউন্সিলর অন্যদল নির্দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূলের পক্ষে কাউন্সিলরের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৫ জন। কিন্তু ২৫ জনের মধ্যে ১৯ জনই প্রদীপের বিরুদ্ধে সরাসরি বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। জেলা নেতৃত্বকে সবটা জানায়, প্রায় পনেরো দিন টালবাহানার পর দলের নির্দেশে বুধবার পদত্যাগ করতে বাধ্য হলেন প্রদীপ সরকার। এবার পরবর্তী পুরপ্রধান কে হবেন সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছেন পুরো খড়্গপুরবাসী।
আরও পড়ুন : পরপর তিনদিনে তিনটি ময়াল সাপ উদ্ধার পশ্চিম মেদিনীপুরে, সংখ্যা বেড়েছে দাবি বন দফতরের
আরও পড়ুন : হাতির হানায় মেদিনীপুরে ভাঙল বাড়ি, সাঁকরাইলে মৃত্যু যুবকের
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Kharagpur Municipality
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper