Midnapore
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। জেলা কার্যালয়ের মধ্যেই বিজেপির জেলা সহ-সভাপতিকে বেধড়ক মারলেন বিজেপির মন্ডল সভাপতি। ভেঙে দেওয়া হল তার মোবাইলও। পুরো ঘটনার ছবি ধরা পড়েছে অফিসের সিসিটিভি ক্যামেরাতে। ঘটনায় অস্বস্তিতে বিজেপি। কটাক্ষ তৃণমূলের। জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুর জেলা পার্টি অফিসে হাজির হয়েছিলেন গড়বেতার মণ্ডল সভাপতি ঠাকুর দাস মিদ্যা।
একটি দলীয় বৈঠকের জন্য পতাকা ও বিভিন্ন জিনিসপত্র আনতে। কিন্তু সেই সমস্ত জিনিসগুলি দেওয়ার আগে মন্ডল সভাপতির কাছে পুরনো জিনিসের হিসাব দেখতে চেয়েছিলেন বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি শংকর গুচ্ছাইত। তাতেই রেগে যান ওই মন্ডল সভাপতি ঠাকুরদাস মিদ্যা। এতে দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে বচসা হয়। পরে বেঁধে যায় হাতাহাতি। সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েছে বিজেপির জেলা জেলা সহ-সভাপতিকে বেধড়ক চড় কিল ঘুষি মেরে চলেছেন ওই মন্ডল সভাপতি।
Midnapore
এমনকি শঙ্কর গুচ্ছাইতের কাছ থেকে তার মোবাইলটি ছিনিয়ে নিয়ে সেটিকেও ভেঙে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। জেলা কার্যালয়ের ভেতরেই বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে এই সব তাণ্ডব। পরে অন্যান্য কর্মীরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। ঠাকুর দাস মিদ্যা জেলা সভাপতির অনুগামী বলে পরিচিত। অন্যদিকে শংকর গুচ্ছাইত তথা জেলা সহ-সভাপতি অন্যগোষ্ঠীর।গড়বেতা এলাকায় একটি বৈঠকে দুজনের মধ্যে বিবাদের সূত্রপাত হয়েছিল। সেই গন্ডগোলের জের থেকেই পুরনো রাগে এই আক্রমণ।
আরও পড়ুন : ডাইন সন্দেহে বৃদ্ধকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ পশ্চিম মেদিনীপুরে
শংকর গুছাইত বলেন, “বিষয়টা যা হয়েছে সিসি টিভিতে হয়েছে। আমি দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েছি। এর বাইরে সংবাদ মাধ্যমে কিছু বলবো না।” ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপির জেলা নেতারা। কার্যালয়ের ভেতরে হামলার এই ঘটনার ভিডিও প্রায় ভাইরাল। তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটের অজিত মাইতি বলেন, “এটাই বিজেপির কালচার। যার দলের শীর্ষ নেতা দিলীপ ঘোষ প্রতিটা মঞ্চেই বলে মেরে দেবো, কেটে দেবো, হাত-পা ভেঙে দেবো। তাদের কর্মীদের এই শিক্ষাই হবে। তাই যা ফল হওয়ার হয়েছে।”
আরও পড়ুন : প্রশাসন করেনি! গ্রামবাসীদের উদ্যোগেই শুরু নদীর উপর সাঁকো তৈরি
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Midnapore
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali