River Bank Erosion : নদীর তীরবর্তী কৃষিজমি তলিয়ে গেছে বিঘার পর বিঘা। ঘরবাড়িও নদীগর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় দিন গুনছেন বহু পরিবার। মেদিনীপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে সৌমেন খান বলেন, মেদিনীপুর শহরের নদী তীরবর্তী এলাকা বাঁধানো হয় তাহলে খুবই উপকৃত হয়। তার এই আবেদন শোনার পরই মুখ্যমন্ত্রী জানান, “নদী ভাঙনটা আমার হাতে নেই। আমার কিছু করার নেই। এখন এত টাকা নেই।”
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : গত বর্ষণে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। নদীর তীরবর্তী কৃষিজমি তলিয়ে গেছে বিঘার পর বিঘা। ঘরবাড়িও নদীগর্ভে চলে যাওয়ার আশঙ্কায় দিন গুনছেন বহু পরিবার। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন এলাকার পাশাপাশি মেদিনীপুর শহর ও সদরেও এই চিত্র দেখা গিয়েছে। কংসাবতী নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলিতে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন মানুষজন।
সামনের বর্ষায় নদীতে জল বাড়লে যে কোনো মুহূর্তে তলিয়ে যেতে পারে ঘর বাড়ি। এমনিতেই বিঘার পর বিঘা জমি নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ায় অসহায় হয়ে পড়েছেন। মেদিনীপুর শহরেও কয়েকটি ওয়ার্ড রয়েছে কংসাবতী নদী তীরবর্তী। সেখানেও বন্যার সময় জল ঢুকে গিয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। আর সেই চিত্রের কথা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরলেন মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান।
আরও পড়ুন : পশ্চিম মেদিনীপুরে পিকুকে বাঁচাতে পথে শিক্ষকরা, শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান দিলেন নিজের এক মাসের বেতন
এদিন প্রশাসনিক বৈঠকে সৌমেন বলেন, খড়্গপুর গ্রামীণের বেশ কিছু অংশ কংসাবতী নদীর পাড় বাঁধানো হয়েছে। সেভাবে যদি মেদিনীপুর শহরের নদী তীরবর্তী এলাকা বাঁধানো হয় তাহলে খুবই উপকৃত হয়। তার এই আবেদন শোনার পরই মুখ্যমন্ত্রী জানান, “নদী ভাঙনটা আমার হাতে নেই। আমার কিছু করার নেই। এখন এত টাকা নেই।”
তৎক্ষনাৎ সৌমেন খান বলেন, “একটু একটু করে যদি করা যায়।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “জলে টাকা ঢালতে পারব না এখন।” অন্যদিকে মেদিনীপুর শহরকে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি এও বলেন, শহরের যে ডিভাইডার গুলো রয়েছে, সেগুলোর পরিবর্তে গাছ লাগানো যায় কিনা তাও দেখার জন্য। সৌমেনকে বলেন শহরে প্রচুর পরিমাণে বৃক্ষরোপণের জন্যও।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
River Bank Erosion
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore