রঞ্জন চন্দ : মঙ্গলবার ছিল হুল দিবস।পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় অনাড়ম্বরে পালন করা হয় এই দিন টিকে।১৬৬ তম ঐতিহাসিক এই দিন টিকে পালন করে নারায়নগড় ব্লকের রানিসরাই ১০ নং গ্রাম পঞ্চায়েত।এদিন সকালে পদযাত্রার মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠানের।পরে বীর শহিদ সিধু-কানুর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। যারা দেশের জন্য ইংরেজ দের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে তির-ধনুক নিয়ে লড়াই করেছিলেন সেই সিধু-কানু এবং দিন কয়েক আগে যারা দেশের জন্য প্রান দিয়েছেন সেই সব শহিদ দের উদ্দেশ্যে নিরবতা পালন করা হয়।পরে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বিধি মেনেই অনাড়ম্বর এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় পঞ্চায়েত অফিসের মিটিং হলেই।সেখানে আদিবাসী নৃত্য ও গান পরিবেশন করা হয়।এদিনের হুল দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নারায়নগড় বিধানসভার বিধায়ক প্রদ্যোৎ ঘোষ,ছিলেন নারায়নগড় ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক বিশ্বজিৎ ঘোষ,পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য কাওসার আলি,বিশিষ্ট সমাজসেবী মিহির চন্দ সহ অন্যান্যরা।
শুধু নারায়নগড় ব্লকই নয় পাশের ব্লক কেশিয়াড়িতেও অনড়ম্বরে পালন করা হয় হুল দিবস।কেশিয়াড়ি ব্লকের “কথাবলা ও মনযোগ” ও বিরসা মুন্ডা স্মৃতি রক্ষা কমিটির উদ্যোগে ৩০ শে জুন পালিত হল মহান ঐতিহাসিক হুল দিবস। মঙ্গলবার সকালে কেশিয়াড়ী ব্লকের কানপুরে দিনটি পালিত হয়। সকালে হুল বিদ্রোহের বীর সেনানী সিধু কানহুর প্রতিকৃতিতে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন শিক্ষক কুনারাম টুডু। বিদ্যালয়েস্থিত বীরসামুন্ডা ও বিদ্যাসাগরের মূর্তিতে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়েছে। মাল্যদান করেন কেন্দ্রের স্থায়ী সভাপতি প্রদীপ দাস ও শ্যামসুন্দর সিং। সিধু কানুর প্রতিকৃতিতে বিদ্যালয় ও পঠন পাঠন কেন্দ্রের ছাত্র ছাত্রীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পঠন পাঠন ও সমিতির উদ্যেগে একটি ঘরোয়া সভার আয়োজন করা হয়। সভায় গান, আবৃত্তি প্রভৃতিতে অংশ নেয় পড়ুয়ারা। ১৮৫৫ সালের হুল বিদ্রোহের সংগ্রামের নানান ইতিহাস তুলে ধরা হয় এদিনের ঘরোয়া সভায়। উপস্থিত ছিলেন প্রদীপ দাস, পরেশ বেরা, রঞ্জিত পাতর, ফটিক বেরা সহ আরও অনেকে।
এদিন বেলদা থানার বেলদা ৮/২ অঞ্চল ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের উদ্যোগে বেলদা শুশিন্দা রেলগেটের কাছে পালন করা হয় হুল দিবসের।
একইভাবে দাঁতনেও করোনা সময় কালে পালন করা হয় হুল দিবস।