ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : সোমবার রাত থেকে গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তাল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের গরগজপোতা। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এই সংঘর্ষ বলে দাবি স্থানীয়দের। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশবাহিনী। জখমদের অনেককে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনায় 13 জনকে আটক করেছে পুলিশ।
আহত গ্রামবাসীরা জানান, “গত কয়েকদিন ধরেই এলাকায় উত্তেজনা শুরু হয়েছিল। এমনকি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিলও আলাদা করে হয়েছিল দুই গোষ্ঠীর। প্রাক্তন ব্লক সভাপতি ও বর্তমান ব্লক সভাপতির অনুগামীদের মধ্যে এদিন সংঘর্ষ হয়।” তবে রাজনৈতিক সংঘর্ষ নয় বলেই দাবি কেশপুরের তৃণমূল নেতা মহম্মদ রফিকের। তিনি বলেন, “এটা পারিবারিক বিবাদ থেকে সংঘর্ষের ঘটনা।
এতে রাজনীতির কোন যোগ নেই। তবে পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করছে।” পাল্টা কটাক্ষ করেছেন বিজেপির জেলা সহ সভাপতি অরূপ দাস। তিনি বলেন, “পুলিশ তৃণমূলের অঙ্গুলিহেলনে কাজ করছে। যার জন্য গোটা জেলাজুড়ে তৃণমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। গোষ্ঠী সংঘর্ষ তৃণমূলের দৈনন্দিন ঘটনা। সারা রাজ্য জুড়ে নিজেরা নিজেদের মধ্যে মারপিট করছে, আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
আর কেশপুরের ঘটনার দায় মহম্মদ রফিকের। পুলিশ এবং বিরুদ্ধ গোষ্ঠীকে হুমকি দেওয়ায় এই ঘটনা ঘটেছে।” তৃণমূলের জেলা চেয়ারম্যান অজিত মাইতি বলেন, কেশপুরের দুটি পাড়ার গন্ডগোলকে নিয়ে অনেকেই বাজার মাত করার চেষ্টা করছেন। তারা হয়তো ভেবে নিয়েছেন কেশপুর বিশাল অশান্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু তা হবে না। কারণ পুলিশ নিরপেক্ষ আছে। কয়েকজনকে আটকও করেছে। যে গন্ডগোল করবে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করবে।”
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Trinamool Group Clash
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore