ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : আবাস যোজনা সহ একাধিক দুর্ণীতির প্রতিবাদে শনিবার পূর্ব মেদিনীপুরের চন্ডিপুরের বিনয় স্মৃতি ময়দানে জনসভা করে বিজেপি। আর সেই জনসভায় এসে তিনি বলেন, আগামী পঞ্চায়েত ভোট বিজেপি নেতাকর্মী এবং সমর্থকদের জন্য ‘ডু অর ডাই’ (মরণ-বাঁচন) লড়াই। প্রতিরোধ করতেই হবে।”
এমনকি, স্বচ্ছ এবং অবাধ ভোট না হলে ঠিক কী করতে হবে, সেটাও কর্মীদের বাতলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, ”এই জেলা থেকেই সব পরিবর্তনের সূচনা হয়। বামপন্থীদের আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলন, গীতা মুখোপাধ্যায়, সুকুমার সেনদের নেতৃত্বে এই জেলার আন্দোলন জমিদার ও বুর্জোয়াদের রুখে দিয়েছিল। এই জেলাতেই নন্দীগ্রাম আন্দোলন করেছে।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যেমন বার্লিন ছিল এপিসেন্টার, ২০১১ সালের পরিবর্তনের এপিসেন্টার নন্দীগ্রাম। বামফ্রন্ট পরাস্ত হয়েছিল।”“তিহারের দরজা একটু ফাঁক হয়েছে। প্রথমে কেষ্ট মণ্ডল, তারপর শ্যালিকা, তারপর রুজিরা, তারপর ভাইপো সবাই চোর। ওদের উৎখাত কর।”জোট বাঁধুন তৈরি হন। ৫০০ টাকার লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সমাধান নয়। পশ্চিমবঙ্গে চাকরি নেই। ৫৮ হাজার চাকরি বিক্রি করা হয়েছে। প্রতিদিন শয়ে-শয়ে চাকরি যাচ্ছে। ২৮ টাকার মদের বোতল আর লটারি কি পশ্চিমবঙ্গের ভবিষ্যত?
Suvendu Adhikari
আরও পড়ুন : মেদিনীপুরে ঘুড়ির সিন্থেটিক মাঞ্জা সুতোর বিরুদ্ধে অভিযান পুলিশ ও মেদিনীপুর পৌরসভার
আমার পরিবারের বিপীন অধিকারী ব্রিটিশদের তাড়াতে কয়েক বছর জেলে ছিল। সিপিএম-কে তাড়িয়েছি আমরা। তৃণমূলকেও তাড়াবো। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমরা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব।তৃণমূলের কিছুই নেই এখানে। আছে শুধু পুলিশবাবা। পুলিশ আর মিথ্যা মামলা ছাড়া আর কিছু নেই। চোর ধরেছি। কাঁথিতে মিথ্যা মামলা করেছিল। যাকে দিয়ে সই করেছিল তাঁর নাম কাকলী পাণ্ডা। তিনি হাইকোর্টে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন : হাতির গতিপথে বাধা! ভাঙল বাড়ি, মৃত্যু গবাদি পশুর
ওইখানে গিয়ে বলছেন হুজুর গোটাটা লিখেছে ওরা। আইসি অমলেন্দু আর এসপি অমরনাথ ভাইপোর কথায়।আমি শুধু সই করেছি। আমায় নিরাপত্তা দিন। এরপর সিবিআই তদন্ত হয়েছে। সিআরপিএফ-এর নিরাপত্তা পেয়েছেন কাকলী। তৃণমূল বিশ্বাস ভঙ্গ করেছে। তাই ২০২৩ সালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন করতে হবে। তা সে যেই মাসে হোক।এই জেলা আন্দোলনের জেলা। এই জেলা সংগ্রামের জেলা।
অবিভক্ত ভারতে প্রথম স্বাধীনতা ঘোষণা করে হয়েছিল তিনটি জায়গায়। উত্তরপ্রদেশের বালিয়া, মহারাষ্ট্রের সাতারা আর মেদিনীপুর। ১৯৪২ এর ১৭ ডিসেম্বর স্বাধীনতা পাই। তাই মহামতী গোখলে বলতেন হোয়াটস বেঙ্গল থিঙ্ক টু-ডে, রেস্ট অফ দি ইন্ডিয়া থিঙ্ক টুমোরো। তখন চিত্তরঞ্জন দাসের মতো নেতারা বলতেন হোয়াটস মিদনাপুর থিঙ্ক টু-ডে, রেস্ট অফ দি বেঙ্গল থিঙ্ক টুমোরো।
আরও পড়ুন : মেদিনীপুর সদরেও আবাস যোজনা দুর্নীতিতে কেন্দ্রীয় দল আনার দাবি ভারতী ঘোষের
আরও পড়ুন : হকির জাদুকর ধ্যানচাঁদের মূর্তি থেকে হকি স্টিক ভেঙে দিলো দুস্কৃতিরা
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Suvendu Adhikari
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper