“Trying to create conflicts in the legal-illegal division without providing any alternative” protest by Toto drivers in Midnapore city
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : “বিকল্প রুটি-রুজির ব্যবস্থা না করে বৈধ-অবৈধ বিভাজন করে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে দিয়ে বড় বড় গাড়ি কোম্পানীর স্বার্থ রক্ষা করার চেষ্টা চলছে।” এমনই অভিযোগ তুলে মেদিনীপুর শহরে বিক্ষোভ দেখাল সারা বাংলা ই-রিক্সা টোটো চালক ইউনিয়ন। শহরে কয়েকশো অটো ছাড়াও কয়েকশো টোটো চলে প্রতিদিন। যার মধ্যে অনুমোদিত টোটো রয়েছে প্রায় তিনশো। বাকি টোটোগুলি মেদিনীপুর শহরে চলাচল করতে পারবে না বলে প্রশাসনিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
প্রশাসন সিদ্ধান্ত নিয়ে অবৈধ টোটো আলাদা করতে অনুমোদিত টোটোতে বিশেষ রং করা শুরু হয়েছে। প্রশাসন জানিয়েছে রং করা অনুমোদিত টোটো ছাড়া ২ মে থেকে কোনো টোটো শহরে চলবে না। তারপরেই শুক্রবার মেদিনীপুর শহরে কয়েকশো টোটো চালক নেমে পড়লেন রাস্তায়। বাম সংগঠনের নেতৃত্বে জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারকে লিখিতভাবে জানালেন, সমস্ত টোটোকে অনুমতি দিতে হবে মেদিনীপুর শহরের রাস্তায়। টোটো বেড়ে যাওয়ায় গত চার বছরের বেশি সময় ধরে একাধিক সমস্যায় ভুগছে মেদিনীপুর শহর।
Midnapore
যাত্রীর দখল নিয়ে টোটো অটো সংঘর্ষের ঘটনা বহুবার হয়েছে। দফায় দফায় প্রশাসনের আধিকারিকরা বিভিন্ন স্তরে বৈঠক করেও সমাধান করতে পারেনি। গত ১১ এপ্রিল সিদ্ধান্ত নেয় অনুমতিহীন টোটো বন্ধের। পৌরসভার পৌরপ্রধান সৌমেন খান জানিয়েছেন, “মেদিনীপুর শহরে অনুমোদিত টোটো ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে বাইরে থেকে বিনা অনুমতির টোটো ভিড় করছে। যে কারণে যানজট তৈরি হচ্ছে। যাত্রীর দখল নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। তাই পরিবহন দপ্তর ও মেদিনীপুর পৌরসভার অনুমোদিত টোটোগুলিকে চিহ্নিত করতে বিশেষ রং করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : ডলফিন উদ্ধার ঘিরে কৌতূহল দাসপুরে
আরও পড়ুন : ঝমঝমিয়ে শিলাবৃষ্টি- ঝোড়ো হাওয়া! স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজল মেদিনীপুর সহ জেলার একাধিক জায়গা
২ মে এর পর ওই রঙিন অনুমোদিত টোটো ছাড়া কোনো টোটো মেদিনীপুর শহরে চালানো যাবে না।” সারা বাংলা ই-রিক্সা টোটো চালক ইউনিয়নের নেতা দীনেশ মেইকাপ বলেন, “ব্যাপক হারে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে। কাজ নেই, চাকরি নেই। সংসার চালাতে হিমশিম পরিবারের যুবকরা বেছে নিতে বাধ্য হয়েছে টোটো চালাতে। প্রশাসন আগে রুটিরুজির বিকল্প ব্যবস্থা করুক।” বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর শহরে অনুমোদিত টোটোগুলির কাগজপত্র জমা করে রং করার কাজ শুরু করেছে। নীল আকাশি রঙে রং করা হচ্ছে টোটোগুলিকে। এরপরই অনুমতিহীন টোটোদের চাপ তৈরি হয়। শাসকদলের হাত ছেড়ে এমন কয়েকশো টোটো শুক্রবার সমবেত হয় মেদিনীপুর কলেজ মাঠে।
বাম টোটো ইউনিয়ন তৈরি করে সংঘবদ্ধভাবে জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়। সমস্ত টোটো চালকদের অনুমতি দিতে হবে, টোটো চালকদের বিমার ব্যবস্থা করতে হবে, টোটোর ব্যাটারি রিচার্জ করার জন্য স্বল্পমূল্যে বিদ্যুৎ পরিষেবা দিতে হবে প্রভৃতি। এই দাবিতে সারা বাংলা ই-রিক্সা টোটো চালক ইউনিয়ন মেদিনীপুর কলেজ মাঠ থেকে বিক্ষোভ মিছিল করে জেলা শাসক ও পুলিশ সুপারের দপ্তরে হাজির হয়। দীনেশ মেইকাপ বলেন, “বৈধ-অবৈধ বিভাজন করে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লাগিয়ে বড় বড় গাড়ি কোম্পানীর সুবিধা করার চেষ্টা চলছে। কলকাতায় টোটো না চললেও যানজট হয়। টোটো বন্ধের আগে প্রশাসন তাদের বিকল্প রুটিরুজির ব্যবস্থা করুক।” টোটো বন্ধ হলে বৃহত্তর বিক্ষোভ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি সংগঠনের।
আরও পড়ুন : বনধ-এ ‘দাদাগিরি’! মেদিনীপুর সদরে বন্ধ করা হলো বিদ্যালয়, প্রার্থনা করেও বেরিয়ে যেতে হলো ছাত্র-ছাত্রীদের
আরও পড়ুন : গুড়গুড়িপালে বজ্রপাতে পুড়ে ছাই মাঠে রাখা পাকা ধান
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Midnapore
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper