Home » Midnapore : জোগান নেই বালির, কাজ না পেয়ে ফিরতে হচ্ছে বাড়ি, সংসারে অনটন নির্মাণ ও বালি খাদান শ্রমিকদের

Midnapore : জোগান নেই বালির, কাজ না পেয়ে ফিরতে হচ্ছে বাড়ি, সংসারে অনটন নির্মাণ ও বালি খাদান শ্রমিকদের

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : করোনা কাটিয়ে জনজীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফিরলেও শ্রমিক পরিবারগুলিতে এখনও চরম অর্থনৈতিক সঙ্কট। প্রতিদিন মেদিনীপুর শহরে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কাজের খোঁজে আসা হাজার হাজার শ্রমিক কাজ না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন রোজই ৷ এরা সকলেই নির্মাণ শ্রমিক। সকাল হলেই শহরের গোলকুঁয়া ও কেরানীতলাতে জড়ো হয় কাজের খোঁজে।

Midnapore
নিজস্ব চিত্র

ঠিকাদার ও বিভিন্ন লোকজন তাদের এসে নিয়ে যেতেন। সারাদিন বিভিন্ন নির্মাণ বা সংস্কারের কাজে এদের লাগানো হতো। কিন্তু প্রায় চার মাস বন্ধ বালি খাদান। বালির জোগান নেই। তাই কাজ না পেয়ে সারাদিন অপেক্ষায় থেকে খালি হাতে ফিরছেন বাড়িতে। দুর্গা পুজোর পর দিপাবলীর আগেও চরম আর্থিক সঙ্কটে এবার বালি নির্ভর শ্রমিকরা। জানা গিয়েছে, বর্ষার সময়ে বালি উত্তোলন বন্ধ থাকলেও খাদান মালিকেরা আগে থেকে বালি তুলে জমা রাখতেন বর্ষার জোগান স্বাভাবিক রাখতে।

Midnapore

এবারে নিয়মে কড়াকড়িতে অনেকেই বালি মজুত করে নি বলে। যার ফলে ভিন জেলা থেকে আসা বালির দাম বহুগুণ বেড়ে গিয়েছে। জেলা জুড়ে থমকে গিয়েছে নির্মাণের কাজ। তার জেরে প্রভাব পড়েছে নির্মাণ শ্রমিকদের। প্রায় চার মাস ধরে বালি খাদান বন্ধ থাকায় আর্থিক সংকটে পড়েছে খাদানের শ্রমিকরাও। নির্মাণ শ্রমিকরা জানাচ্ছেন, প্রতিদিনই বহু লোক আমরা আসছি। কিন্তু কাজ করাচ্ছেন না কেউই। বালির জোগান বন্ধ রয়েছে।

অনেকেই বালি পেলেও চড়া দামের কারণে কাজ করাচ্ছেন না। তাই রোজগার হারিয়েছি গত চার মাস ধরে। খালি হাতে ফিরছি সকলেই। বালি খাদানের শ্রমিকরা বলেন, খাদানে কাজ করে সংসার চলে। বহু দিন বন্ধ থাকায় সমস্যায় পড়েছি। দুর্গা পুজোর পর দিপাবলীর আগেও কাজ নেই। যা পরিস্থিতি সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাড়িতে ছোট বাচ্চাদের জন্য দেওয়ালি পুতুল, প্রদীপ, মোমবাতি কেনার টাকা কোথায় পাব? মেদিনীপুর সদরের এক বালি খাদান মালিক দীপক পাত্র বলেন, “এমনিতে বর্ষাতে খাদান বন্ধ থাকলেও আগে থেকে তুলে রাখা বালিতে জোগান দিত।

কিন্তু সেটাতেও নিষেধ থাকাতে বালির জোগান বন্ধ হয়ে গিয়েছে। যে কয়েকজন বিভিন্ন স্থান থেকে বালি জোগান দিচ্ছে তাতেও প্রচুর দাম। প্রশাসনের পক্ষ থেকেও চরম কড়াকড়ি, বালি তোলার ক্ষেত্রে বাধা রয়েছে। যে কারণে এই সমস্যা।” পরিস্থিতির কথা স্বীকার করে জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি তথা বিধায়ক অজিত মাইতি বলেন, “প্রশাসন বিভিন্ন কারণে কড়াকড়ি করেছে এটা সত্য। যে কারণে নির্মাণে জড়িতরা কাজ হারিয়েছে। বিষয়টি দেখা হচ্ছে।”

লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi

Midnapore

– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.