The thriving brass and brass industries of Kharar, a British-era trading town, are now defunct.
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : কাঁসা-পিতল শিল্পকে কেন্দ্র করেই কলকাতা সহ ভারতের অন্যান্য অঙ্গরাজ্যের খাতায় একসময় খড়ার শহরের উজ্জ্বল নাম ছিল। কিন্তু বর্তমানে কাঁসা-পিতল শিল্পের বানিজ্য মুছে গেছে বানিজ্যনগরী খড়ারের নাম। সময়ের সাথে সাথে বিলুপ্ত হয়ে গেছে ব্রিটিশ আমলের কারখানা। তার পরিবর্তে টিমটিম করছে কয়েকটি থালা-বাসনের দোকান।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
পিতল ও কাঁসা শিল্পের নিপুণ কারিগরী দক্ষতার উপর ভর করে ১৮৮৮ সালে ব্রিটিশ আমলে গঠন হওয়া এই শহরের মানদণ্ড ছিল একসময় অনেক উপরে। পিতল ও কাঁসা শিল্পের নিখুঁত কাজকর্ম এবং সোনার গহনা তৈরির সাথে এই শহরের মানুষের জীবনযাত্রা ও উন্নয়নের ধারা ছিল ওতপ্রোতভাবে জড়িত। কিন্তু, বর্তমানে এই বনেদি শিল্পের কোনও চিহ্ন আজ আর নেই। সময়ের সাথে সাথে অস্তিত্ব হারিয়েছে রেলিং মিলগুলি।
ব্রিটিশ আমলে মহাজন মারফত কলকাতা থেকে জলপথ ও স্থলপথে নৌকা ও গরুর গাড়ির সাহায্যে ঘুরপথে খড়ারে পৌঁছাত এই শিল্পের কাঁচামাল। কাঁচামাল হিসেবে তমা-দস্তা-রাং সহ অন্যান্য সামগ্রী আমদানি হত খড়ারে। তারপর সেগুলি মহাজন মারফত চলে যেত কারখানাগুলিতে। এই কারখানাগুলির পোষাকী নাম ছিল রেলিং মিল। জানা গেছে, খড়ার শহরে বড় বড় ৩ টি রেলিং মিল ছিল।এই রেলিং মিলে ৮০ শতাংশ তামার সাথে ২০ শতাংশ দস্তা মিশিয়ে তৈরি হত পিতল। এবং রাং ও তামার সংমিশ্রণে তৈরি হত কাঁসা।
Kharar Brass Industries
আরও পড়ুন : আকাশ থেকে পড়া যন্ত্র দেখতে উৎসাহীদের ভিড় চন্দ্রকোনার ক্ষেত্রপালে
আরও পড়ুন : হুলা টিমের সদস্যরা লিখিত জানালে তাদের দাবি বিবেচনা করা হবে, জানালেন বন প্রতিমন্ত্রী
কাঁচামাল পুড়িয়ে তৈরি করা হত পিতল ও কাঁসার উন্নত মানের ব্যবহারিক জিনিসপত্র। তারপর সেই তৈরি হওয়া জিনিসপত্র পুনরায় রপ্তানি করা হত কলকাতা নগর সহ বাংলাদেশ এবং বিহারের বিভিন্ন জায়গায়। খড়ার শহরের সেই পিতল ও কাঁসা শিল্পের কোনও চিহ্ন আজ আর নেই। কিভাবে হারিয়ে গেল এই ঐতিহ্যবাহী বনেদী শিল্প? উত্তর খুঁজতে গিয়ে এখানকার প্রায় ৯০ বছর বয়সের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নিরঞ্জন দাস কথায় কথায় জানান, এখানকার পিতল ও কাঁসা শিল্প বহুদিন আগে থেকেই ধীরে ধীরে তার বাজার হারিয়েছে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে পিতল- কাঁসার জিনিস পত্রের বিকল্প হিসাবে বাজারে এসেছে অ্যালুমিনিয়াম এবং স্টিলের বিভিন্ন রকম সস্তা-সুন্দর এবং সৌখিন জিনিসপত্র।
অ্যালুমিনিয়াম ও স্টিলের এই সৌখিন জিনিসপত্র বর্তমান মানবজীবনে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছে। ফলে একসময়ের দক্ষ ও কুশলী শ্রমিক থাকা সত্ত্বেও চাহিদার অভাবে এখানকার শিল্পের মন্দা দেখা দিয়েছে। কলকাতা সহ অন্যান্য জায়গা থেকে কাঁচামাল আমদানি ও উৎপাদিত জিনিসপত্র রপ্তানি বন্ধ হয়েছে। আজ এই শহরে সেই পিতল-কাঁসা শিল্পের ইতিহাস এখন অতীত। ব্যবসা ও চাকরির খোঁজে এখানকার অনেক সংখ্যক মানুষই বর্তমানে অন্য শহরের স্থায়ী বাসিন্দা। সোনার গহনা তৈরির দক্ষ কারিগররাও বাসা বেঁধেছে উড়িষ্যা সহ অন্যান্য রাজ্যে। তার প্রভাব পড়েছে এখানকার জনসংখ্যা বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও।
আরও পড়ুন : খড়্গপুরে রেল লাইনে ট্র্যাকের সংযোগস্থলে পাথর ও কাঠের টুকরো রেখে দুর্ঘটনার ছক, গ্রেফতার যুবক
আরও পড়ুন : পাঁচ লক্ষ চারা গাছ রোপণের মধ্য দিয়ে মেদিনীপুর বনবিভাগে পালিত হবে ‘বনমহোৎসব’
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Kharar Brass Industries
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper