Primary School
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: ৯ বছর ধরে বন্ধ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। মূলত ছাত্র-ছাত্রীদের অভাবে বন্ধ হয়ে যায় পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুর শহরে উত্তর ইন্দা প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেই বিদ্যালয় খুলতে পাড়ায় পাড়ায় ছাত্রদের খোঁজ চালালেন কয়েক শিক্ষক সহ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দু বিশুই। পরিকাঠামো সহ শিক্ষক সবই ছিল। তবুও কমছিল পড়ুয়ার সংখ্যা। পরিস্থিতি এমনই হয় যে ছাত্র-ছাত্রী না পেয়ে শিক্ষকদের সেখানে বসে বসেই ফিরে আসতে হতো। অবস্থা বিবেচনা করে সরকারি সেই প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে তালা বন্ধ করে দিতে হয়। শিক্ষকদের বদলি করা হয় পাশপাশি থাকা বিদ্যালয়গুলিতে।
আরও পড়ুন:- বিমান ভেঙে পড়ার গুজবে রাত জাগলো শালবনীর বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা
আরও পড়ুন:- মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে মেদিনীপুরে বিক্ষোভ তৃণমূল ও এসইউসিআই-এর
অবশেষে পুনরায় খোলার জন্য পাড়ায় ঘুরে স্থানীয়দের বুঝিয়ে ৫ জন ছাত্র-ছাত্রী সংগ্রহ করেন চেয়ারম্যান। সামনের বর্ষ থেকেই তাদের নিয়ে খুলতে চলেছে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠছে কেন পড়ুয়া কমছিল? পাশাপাশি বিদ্যালয়গুলিতে যথারীতি চলছে পঠনপাঠন। স্থানীয়রা শিক্ষকদের উদাসীনতাকে দায়ি করেছে। অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন শিক্ষা দফতরের অনেকে। করোনার পরিস্থিতির আগে দেখা গিয়েছে, জেলার অনেক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্দিষ্ট সময়ের পরে আসছেন শিক্ষকরা। ফলে যথেষ্ট স্বচ্ছল এলাকায় বিদ্যালয় বন্ধ নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। জানা গিয়েছে, ২০১০ এর পর থেকে ওই প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হওয়ার সংখ্যা কমতে থাকে।
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুর শহরের জজকোর্ট সংলগ্ন ATM ভাঙচুর করে টাকা লোপাটের চেষ্টা দুষ্কৃতীদের
২০১১ সালেও সেই সংখ্যায় কোনো উন্নতি হয় নি, বরং কমতে থাকে। অথচ সেখান থেকে কিছুটা দুরে বেসরকারি ও কয়েকটি সরকারি বিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা যথেষ্ট ছিল। ২০১২ তে এমনই অবস্থা দেখা দেয় যে শিক্ষকদের খালি বসে ফেরত আসতে হতো। ফলে ওই বিদ্যালয়ের তিন শিক্ষককে বদলি করা হয়েছিল। চেয়ারম্যান তথা সংসদ সভাপতি কৃষ্ণেন্দু বিশুই বলেন, পড়ুয়ার অভাবে ৯ বছর বন্ধ ছিল বিদ্যালয়। তালাবন্ধ অবস্থায় থেকে বিদ্যালয়টিও ক্ষতি হচ্ছিল। পুনরায় খোলার উদ্যোগ নিয়েছি। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে ৫ জন ছাত্রছাত্রীকে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:- পশ্চিম মেদিনীপুরের খেমাশুলিতে নাকা চেকিংয়ে বালি বোঝাই ডাম্পারের ধাক্কায় গুরুতর জখম পুলিশ কর্মী
আরও পড়ুন:- পূর্ব মেদিনীপুরে জেলাজুড়ে বিপর্যস্ত সব্জি চাষ, মাথায় হাত কৃষকদের
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Primary School
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: Government primary school closed for 9 years. Uttar Inda Primary School in Kharagpur town of West Midnapore was closed due to lack of students. Krishnendu Bishui, chairman of the West Midnapore District Primary Education Parliament, along with a few teachers, searched for the students in the neighborhood to open the school. The teachers were all with the infrastructure. However, the number of students was decreasing. The situation was such that the teachers had to sit there and come back without getting students. Considering the situation, the government has to close the primary school. Teachers are transferred to adjacent schools.
Finally, the chairman went around the neighborhood to reopen and persuaded the locals to collect 5 students. The primary school is going to open with them from next year. Naturally, the question arises why the study was declining? Besides, reading is going on as usual in the schools. Locals have blamed the teachers’ indifference. Many in the education department are dismissing the allegations. As seen before the Corona situation, teachers are coming after a certain time in many primary schools in the district. As a result, there have been many complaints about the closure of schools in well-off areas. It is learned that the number of students enrolled in primary school has been declining since 2010.
In 2011, that number did not improve but continued to decline. However, the number of students in private and some government schools was a little far from there. In 2012, there was a situation where teachers had to return empty-handed. As a result, three teachers of that school were transferred. Chairman and President of Parliament Krishnendu Bishui said the school was closed for 9 years due to lack of students. The school was also being damaged due to the lockdown. I have taken the initiative to reopen. Talking to the locals, arrangements have been made for the admission of 5 students.