Home » Paschim Medinipur : শিক্ষক স্বামী ও পরিবারের অত্যাচার! পশ্চিম মেদিনীপুরে ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধার ঠাঁই স্কুলের বারান্দায়

Paschim Medinipur : শিক্ষক স্বামী ও পরিবারের অত্যাচার! পশ্চিম মেদিনীপুরে ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধার ঠাঁই স্কুলের বারান্দায়

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

Paschim Medinipur : জীর্ণ শরীর, রোগা চেহারার এক বয়স্ক মহিলা। ঠাঁই বন্ধ একটি স্কুলের বারান্দায়।নিজের কোন ছেলে বা মেয়ে নেই। তবে ছেলে আছে, মেয়ে আছে, স্বামীও আছে কিন্তু  নেই তার নিজের থাকার ঘর টুকু। বারো বছর ধরে কোন স্কুলের বারান্দা কিংবা রাস্তায় পড়ে দিন কাটাচ্ছেন ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা মহিলা।


আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ

ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : https://chat.whatsapp.com/DaQgpKDDIIH7nyDIMgrMFP


ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : জীর্ণ শরীর, রোগা চেহারার এক বয়স্ক মহিলা। ঠাঁই বন্ধ একটি স্কুলের বারান্দায়।নিজের কোন ছেলে বা মেয়ে নেই। তবে ছেলে আছে, মেয়ে আছে, স্বামীও আছে কিন্তু  নেই তার নিজের থাকার ঘর টুকু। বারো বছর ধরে কোন স্কুলের বারান্দা কিংবা রাস্তায় পড়ে দিন কাটাচ্ছেন ৭০ বছরের এক বৃদ্ধা মহিলা।

Paschim Medinipur
নিজস্ব চিত্র

কোনদিন খাওয়ার জুটে আবার কোনদিন না খেয়েই রাত কাটে। ভিক্ষাবৃত্তি কিংবা মেগে যেচে চলে দিন। পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার এই ঘটনায় আতকে উঠেছেন সকলে। ৭০ বছর বয়সী প্রণতি মজুমদার। ডেবরার ত্রিলোচনপুরের সিজগেড়িয়া এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রাণবন্ধু মজুমদারের দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী তিনি।

আরও পড়ুন : পথ দুর্ঘটনা কমাতে বেলদায় পুলিশের একাধিক পদক্ষেপ

Paschim Medinipur

প্রথম পক্ষের স্ত্রী মারা যাওয়ার পর প্রণতী দেবীকে বিয়ে করেন। তারপর থেকে ছেলেমেয়েদের মানুষ করেন। তবে শেষকালে স্বামীর ঘরে থাকা হয়ে উঠেনি। বৃদ্ধার অভিযোগ, শারীরিক ও মানসিক অত্যাচারে তিনি ঘর ছেড়েছেন। প্রায় ১৪ বছর এদিক ওদিক করেই দিন কাটাচ্ছেন। কখনও স্কুলের বারান্দায় আবার কখনও ক্লাবে দিন কাটে তার।

আরও পড়ুন : জাতিগত শংসাপত্রের দাবিতে কেশিয়াড়িতে জেলা সম্মেলন বৈগা সমাজের

বর্তমানে তার ঠাঁই হয়েছে ডেবরার এক বন্ধ স্কুলে।দু’বছর স্কুলের বারান্দায় বৃষ্টির ছিটে, ভয়কে সাথি করে ছোট মশারি টাঙিয়ে দিন চালাচ্ছেন তিনি। ভিক্ষাবৃত্তি করে আপাতভাবে দিন চলে তার। কিন্তু এভাবে কতদিন আর? কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন তিনি। সব থেকে যে নেই তার কিছুই।

আরও পড়ুন : দাঁতনের বিস্ফোরণের ঘটনায় শোরগোল, শুরু রাজনৈতিক চাপানউতোর

অন্যদিকে তার স্বামীর দাবি, থানায় কেস করে বাড়ি ছেড়েছেন। এখন তাকেই দেখার কেউ নেই। বৃদ্ধ ওই মহিলার দাবি, স্বামীর বাড়িতে একটু ঠাঁই পেলে খুশি হবেন। নয়তো তার মৃত্যু ছাড়া উপায় নেই। বয়সের শেষে এসেও এভাবেই কাটবে বাকি দিনগুলো? নাকি ফিরতে পারবেন স্বামীর কাছে?

লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi

Paschim Medinipur

– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.