ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : জীবনের প্রথম ‘বড়’ পরীক্ষাতে নজরকাড়া সাফল্য। ICSE- এর (দিল্লি বোর্ড) দশম শ্রেণীর পরীক্ষায় রাজ্যে পঞ্চম স্থান পেল হলদিয়ার শ্রেয়শী সেনগুপ্ত।তার প্রাপ্ত নম্বর ৪৯৪।ওই ছাত্রীর বাড়ি হলদিয়া পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের রায়রাচকের এইচ পি এল কলোনিতে।হলদিয়ার বিবেকানন্দ মিশন স্কুলের ছাত্রী শ্রেয়সী।
পড়াশোনার পাশাপাশি ছবি আঁকতে ভালোবাসে।ভবিষ্যতে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় শ্রেয়সী। শ্রেয়সীর বাবা কাজল সেনগুপ্ত হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসে কর্মরত।মা বর্ণালি সেনগুপ্ত গৃহবধূ।কোভিডের সময় দু’বছর স্কুল বন্ধ থাকায় দশম শ্রেণীর পরীক্ষার জন্য পাঁচজন গৃহশিক্ষক ছিল শ্রেয়সীর।স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকারা জানাচ্ছেন,শ্রেয়সী পড়াশোনায় খুব মেধাবী,পঞ্চম শ্রেনী থেকে বরাবরই ক্লাসে প্রথম হয়েছে।
গত রবিবার বিকেলে অনলাইনে মাধ্যমে পরীক্ষার ফল জানতে পারে শ্রেয়সী। রাজ্যে পঞ্চম হয়েছে জেনে খুশির বহর বাড়ে বাড়িতে।স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জয়িতা চক্রবর্তী থেকে শুরু করে আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব সবাই ফোন করে শুভেচ্ছাবার্তা জানান তাঁকে। ভালো ফল করেছে জেনেও সোমবারও যথারীতি একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস করেছে শ্রেয়সী। স্কুলের পাশাপাশি শুরু করেছে ইঞ্জিনিয়ারিং এর জন্য পড়াশোনা। ভর্তি হয়েছে ইঞ্জিনীরিং এর জন্য আলাদা কোচিং সেন্টারে।
সোমবার হলদিয়া উন্নয়ন ব্লকের তরফে মুখ্যমন্ত্রী স্বাক্ষরিত অভিনন্দন বার্তা শ্রেয়সীর হাতে তুলে দেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সুব্রত হাজরা সহ-সভাপতি সেখ সাইফুল এবং শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ আলোক রঞ্জন দাস।এদিন স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে শ্রেয়সীকে মিষ্টি খাইয়ে অভিনন্দন জানানো হয়। শ্রেয়সী জানায়,”পড়াশোনার নির্দিষ্ট কোন সময় ছিল না। প্রায়ই রাত রাত জেগে পড়াশোনা করতাম।
স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা সব সময় পাশে থেকেছেন। অফলাইনে পরীক্ষা দিতে পেরে খুব ভালো লাগছে। ভবিষ্যতে আমি কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হতে চাই’। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জয়িতা চক্রবর্তী বলেন, ‘ কোভিডের জন্য শ্রেয়সীদের বেশিরভাগ নবম ও দশম শ্রেনীর ক্লাস অনলাইনে হয়েছে।তবে আমরা আশাবাদী ছিলাম শ্রেয়সী কে নিয়ে।জানতাম ও ভালো ফল করবে।’
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
ICSE Result
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore