ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : বন্যপ্রাণ শিকার রোধ ও জঙ্গলে আগুন না লাগানোর বার্তা দিয়ে জঙ্গলমহলের বাসিন্দা এবং আদিবাসী সমাজের মোড়লদের নিয়ে সচেতনতামূলক পদযাত্রা করলো কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। আয়োজন করে আলোচনা সভার। শুক্রবার মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়া ফরেস্ট অফিসে রাজা নরেন্দ্রলাল খান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের ভূগোল বিভাগ, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নেচার ক্লাব এবং মেদিনীপুর বন বিভাগের উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুশান্ত চক্রবর্তী, অধ্যাপক রামকৃষ্ণ মাইতি, প্রিয়াঙ্কা হালদার মল্লিক, মহিলা মহাবিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপিকা সোমরিতা সিনহা, কাবেরী মুর্মু, মেদিনীপুর বন বিভাগের এডিএফও শুভাশিস ঘোষ, রেঞ্জার সুজিত পন্ডা, সৈকত বিশ্বাস সহ অন্যান্যরা। জঙ্গলমহল জুড়ে শুরু হয়েছে আদিবাসী সমাজের শিকার উৎসব। সেই উৎসব পালিত হোক বন্যপ্রাণ হত্যা না করে। এমনই বার্তা দিলেন আয়োজকরা। বন্যপ্রাণ রক্ষা এবং জঙ্গলে আগুন না লাগানো কতটা সমাজের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তার দিকগুলিও তুলে ধরেন।
Save Wildlife
উপস্থিত আদিবাসী মোড়লদের সমাজে এ বিষয়ে সচেতনতায় এগিয়ে আসার বার্তাও দেন তারা। উপাচার্য বলেন, “আমাদের কাজ পঠন-পাঠন, ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষা দেওয়া। এর বাইরেও আমাদের সামাজিক একটা দিক আছে, দায়িত্ব আছে, কর্তব্য আছে। সেই জন্যই আমরা মানুষ। সমাজ হচ্ছে নিজের বাইরে, নিজের পরিবারের বাইরে। সামাজিক কর্তব্য হচ্ছে মানুষদেরকে সচেতন করা।” মেদিনীপুর বন বিভাগের এডিএফও শুভাশিস ঘোষ বলেন, “এই শিকার উৎসব বহুদিন আগে অতীত কালে শুরু হয়েছিল। তা এখনও সামাজিকভাবে বাঁধা পড়ে আছে ধর্মীয় রীতিনীতি এবং কিছু অনুষ্ঠানে। এর থেকে বের হতে হলে আমাদের সচেতনতায় জোর দিতে হবে।”
আরও পড়ুন : প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নেয়নি! কেউ স্বামী হারা, কেউ সন্তান হারা, মহিলারা জোট বাঁধলেন চোলাই ভাটি ভাঙতে
আরও পড়ুন : বনদপ্তরের জমি দখল করে অবৈধ নির্মাণ মেদিনীপুর শহরে, বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দিল বনদপ্তর
বন্যপ্রাণ হত্যায় ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার জন্যই যে আইন একই তা উদাহরণস্বরূপ তুলে ধরেন তিনি। এদিন নানা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জঙ্গলে আগুন লাগানো এবং বন্যপ্রাণ হত্যা করলে কি কি ক্ষতি হয় তা তুলে ধরেন পড়ুয়ারা। অনুষ্ঠানের মূল উদ্যোক্তা গবেষক অধ্যাপিকা সোমরিতা সিনহা বলেন, “জঙ্গলে আগুন লাগানোর ফলে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। বন্যপ্রাণ হত্যা করলে একসময় বিলুপ্তির পথে চলে যাবে অসংখ্য বন্যপ্রাণী। বন ও বন্যপ্রাণ না বাঁচলে মানুষের অস্তিত্ব বিপন্ন হবে।”
আরও পড়ুন : ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে এবার অভিনেতা বনাম অভিনেতার লড়াই! জল্পনা তুঙ্গে
আরও পড়ুন : হুটার বাজিয়ে এসকর্ট করে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাবে বনদপ্তর, থাকবে কড়া নজরদারি
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Save Wildlife
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper