Purba Medinipur
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : মঞ্চে রয়েছেন মানস ভুঁইয়া, ইন্দ্রনীল সেন। অখিল গিরি ছিলেন কাঁথিতে রোড শো’তে। ফলে সেও আসেনি। আসেনি বিধায়ক বিক্রম প্রধান, পরেশ মুর্মু। অথচ তাদের নাম লেখা রয়েছে কাগজে। মাইকে সেই নাম ঘোষণা করতে গিয়ে বিরক্তবোধ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কেন নাম লিখেছ? আমি আর একটা নামও বলবো না। তোমরা নাম রেখেছ যারা এখানে আসেনি। নামের তালিকা লেখা কাগজ ফেরত দিয়ে দেন সূর্যকান্ত অট্টের হাতে। তারপরই বক্তব্য রাখতে শুরু করেন তিনি।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়ার সমর্থনে সমাবেশ ছিল এগরাতে। যেখানে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর বক্তব্যের শুরুতেই জেলা নেতাদের নাম বলতে শুরু করেছিলেন তিনি। আর তাঁকে যে কাগজ দেওয়া হয়েছে, তাতে একাধিক বিধায়কের নাম থাকলেও উপস্থিত ছিলেন না। ফলে উপস্থিত না থাকায় তাদের নাম বলতে গিয়েই কার্যত বিরক্তবোধ মুখ্যমন্ত্রী। শুরুতে তিনি বলেন, “মঞ্চে রয়েছে মানস ভুঁইয়া, ইন্দ্রনীল সেন। অখিল গিরি আমাদের সাথে ছিল কাঁথিতে। রোড শো চলছিল সেখানে। বিক্রম প্রধান কি এখানে এসেছে? ওরা তো অন্যখানে থাকে, দাঁতনে।
Purba Medinipur
তো নাম কেন লিখেছ এতো। সূর্যকান্ত অট্ট এসেছে আমি দেখেছি। পরেশ কি এসেছে?” পেছনে বসে থাকার নেতৃত্ব না বললে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কেন নাম লিখেছ? আমি আর একটা নামও বলবো ন। তোমরা নাম রেখেছ যারা এখানে আসেনি।” তারপরই নামের তালিকার কাগজ ফেরত দিয়ে দেন সূর্যকান্তের হাতে। এই ঘটনায় কিছুটা অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিনের সভা থেকে বার বার বিজেপির বিরুদ্ধে চড়া সুর শোনা যায় তার গলায়। কখনো ‘মোদির গ্যারান্টি’কে ‘ফোর টুয়েন্টি’ বলেও কটাক্ষ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “মিথ্যে কথা বলছে মোদি। আমি মোদী বাবা বলি না। উনি বলেন আমার গ্যারান্টি, আমি বলি ফোর-টুয়েন্টি।
আরও পড়ুন : মাধ্যমিকে এবারেও সেরা দশে পূর্বের ৭ পড়ুয়া, পড়ুন বিস্তারিত
আরও পড়ুন : “আত্মবিশ্বাসই সাফল্যের চাবিকাঠি”! ঝাড়গ্রামে মাধ্যমিকে প্রথম অন্বেষার লক্ষ্য ইঞ্জিনিয়ারিং
আমি গ্যারান্টি বলি না। যারা মিথ্যে কথা বলে তাদের আমি ফোর-টুয়েন্টি বলবো না তো কি বলব?” তারপরই সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “কি ১৫ লাখ টাকা দিয়েছে? ১৫ লাখ টাকা করে দেবে বলেছিল সবার একাউন্টে। ভোট তো নিল, এমপি তো হল। আবার এমপি পাল্টেও গেল। এবার উল্টেও যাবে।” ইন্ডিয়া জোট নিয়ে কংগ্রেস, সিপিএম-কে বিজেপি-র দালাল ভুলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। তবে বিজেপি এবার সরকার গড়তে পারবে না বলেও দাবি করেছেন। পানীয় জল ইস্যুতে বিজেপিকে কড়া ভাষায় নিশানা করেন। তিনি বিজ্ঞাপনের একটা অংশ তুলে বলেন, “উনি নাকি জল দিয়েছেন। জল আমরা দিয়েছি। আমরা করে দিয়েছি।
বাদবাকিটাও করে দেব আগামী এক বছরের মধ্যে। সবার ঘরে ঘরে জল পৌঁছে যাবে। একটা মিথ্যাবাদী লোক, ভাঁওতাবাজ লোক, জুমলাবাজ লোক। কয়েকটা মাফিয়া, কয়েকটা গুন্ডা, আর কয়েকটা লুটেরা চোর গুলোকে নিয়ে ভাজপা ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে দিচ্ছে। তাহলে ইনকাম ট্যাক্স হবে না, ইডি হবে না। এই জন্যই চোর গুলো যার কাছে অনেক টাকা আছে, সেগুলো ভয়ে ভয়ে বিজেপিতে যায়। সাধারণ মানুষ বিজেপিতে যায় না।” পাশাপাশি জুনের প্রশংসায় ভরিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি বলেন, “জুন মালিয়া আমার প্রিয় অভিনেত্রী এবং প্রিয় বিধায়িকা হিসেবেও তাকে বিধানসভায় দেখেছি। একদিনও বন্ধ করেনি বিধানসভায়। আমি সংসদেও এই পারফর্মেন্স দেখতে চাই। সেই জন্যই ওকে নির্বাচিত করা হয়েছে। ওকে ছাড়তে আমার কষ্ট হচ্ছিল। কারণ ও এত ভালো সময় দিত। আর আপনাদের এখানে বিজেপির যিনি দাঁড়িয়েছেন, মহিলাদের সম্পর্কে বাজে কথা বলতে নেই, খারাপ কথা বলতে নেই, তাই কিছু বললাম না। এই যে কিছু বললাম না, এই না বলাটার মধ্য দিয়েই আপনারা বুঝে নিবেন যদি আগামীদিনে ভালো থাকতে হয় তবে জুন মালিয়া আপনার ঘরের মেয়েকে বেছে নিন। অন্য কাউকে নয়।”
আরও পড়ুন : জেলায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম মেদিনীপুর মিশন গার্লসের তনুকা
আরও পড়ুন : মাধ্যমিকে জেলায় প্রথম মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের কৌস্তভ , প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Purba Medinipur
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper