Primary Teachers
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: প্রায় দু’বছর হতে চললো বন্ধ রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়। নতুন বছরের জানুয়ারিতে খোলার সম্ভাবনা ছিল রাজ্য সরকারের। সেইমতো সমস্ত বিদ্যালয়ের কাছ থেকে তথ্য চেয়েছিল ক্ষয়ক্ষতির। সংস্কার ও স্যানিটাইজেশনে কত অর্থ ব্যয় হবে তারও হিসেব চেয়েছিল শিক্ষা দফতর। জমাও দিয়েছিলেন শিক্ষকরা। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলি সেই অর্থ পেলেও, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি এখনও পর্যন্ত না পাওয়ায় ক্ষোভ। জানা গিয়েছে, সমগ্র শিক্ষা মিশন বিদ্যালয় স্যানিটাইজেশনের জন্য এক নির্দেশিকা জারি করেছে।
আরও পড়ুন:- সাবধান! পশ্চিম মেদিনীপুরে প্রধান শিক্ষকের নামে ভুয়ো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা চাওয়ার অভিযোগ
আরও পড়ুন:- বড়দিনের প্রাক্কালে নবরূপে সেজে উঠছে দীঘা, তৎপরতা তুঙ্গে
কিন্তু কোন অর্থ বরাদ্দ না করে কম্পোজিট গ্র্যান্ড থেকে ব্যয় করার কথা বলা হয়েছে। তাতে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে শিক্ষকদের। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির জেলা সভাপতি দীপঙ্কর মাইতি বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি উন্নয়নখাতে যে টাকা পাই, সেই টাকায় এখনও সম্পূর্ণ দেয়নি। কম ছাত্র সংখ্যা থাকা বিদ্যালয়গুলি 25000 এবং বেশি থাকলে 50000 টাকা করে পাই। এবারে অর্ধেক করে এসেছে। সেই টাকা থেকেই শিক্ষা দফতর স্যানিটাইজেশন করতে নির্দেশ দিয়েছে বলে অভিযোগ।
আরও পড়ুন:- NAAC এর বিচারে ‘বি ডবল প্লাস’ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্মান পেল বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়
আরও পড়ুন:- শালবনীতে সেতু সারাই না হওয়ায় বিক্ষোভের মুখে বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ নেপাল সিংহ
বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, ওই অর্ধেক টাকায় ছাত্রদের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক প্রদান, সারা বছরের সমস্ত জেরক্স, ইলেকট্রিক বিল, মিড-ডে মিলের প্যাকেট করা, শিক্ষা পোর্টালে বিদ্যালয়ের নানান তথ্য আপলোড, চক-ডাস্টার, ছোট খাটো সংস্কার, বেঞ্চ তৈরি সহ ইত্যাদি কাজ করবার পর স্যানিটাইজেশনের জন্য কোথা থেকে অর্থ মিলবে। শিক্ষক সমিতির রাজ্য সম্পাদক আনন্দ হান্ডা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী পুজোর পর বিদ্যালয় খোলার ঘোষণা অনুযায়ী পরিকাঠামো উন্নয়ন, স্যানিটাইজেশনের জন্য বিদ্যালয় থেকে বাজেট নেওয়া হয়েছিল। গত ৭.৯.২০২১ এর সি এস ই- ০৬৩(২৩)২০২১ নং নির্দেশিকা অনুযায়ী তড়িঘড়ি করে বিদ্যালয় থেকে বাজেট নেওয়াই সার।
আরও পড়ুন:- সাঁওতালী ভাষা দিবস পালন জেলা জুড়ে
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে মাত্র ৬ হাজার বিদ্যালয়কে ১০৯ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য কোন বরাদ্দ করা হয় নি। সে সমস্ত বিদ্যালয়কে ওই কম্পোজিট গ্র্যান্ড থেকে ব্যয় করার নিদান দেওয়া হচ্ছে। যা অত্যন্ত নিন্দনীয়। তাঁর অভিযোগ, বর্তমান অর্থবর্ষে কোন কম্পোজিট গ্র্যন্ড দেওয়া হয় নি। গতবছর উক্ত গ্র্যান্ডের পরিমাণ অর্ধেক করে দেওয়া হয়েছে। আর সরকার বিভিন্ন উৎসবের জন্য কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে। অথচ বিদ্যালয়ের স্যানিটাইজেশনের জন্য অর্থ বরাদ্দ নেই। স্যানিটাইজেশন সহ পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য অর্থ বরাদ্দের দাবি করেছে সমিতি।
আরও পড়ুন:- পূর্ব মেদিনীপুরে সিপিএম কর্মী খুনের ঘটনায় FIR , সিবিআইর জালে ১১ জন তৃণমূল নেতা-কর্মী
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.cm/biplabisabyasachi
Primary Teachers
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore