পত্রিকা প্রতিনিধি: বর্ষার শুরুতেই মেদিনীপুর শহর (Midnapore Town) ও শহর সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকার রাস্তার বেহাল দশার চিত্র ফুটে উঠেছে । বৃষ্টির জলে রাস্তার ইট পাথর বেরিয়ে গিয়ে ভয়ংকর রূপ ধারণ করেছে । বেহাল রাস্তা দিয়ে যাতায়াতের সমস্যা তো হচ্ছেই, যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে ।
শহরের স্টেশন রোডের (Station Road) অবস্থা দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল ছিল । বর্ষা হতেই তাঁর কঙ্কালসার চেহারা ভালো করে বোঝা যাচ্ছে । অশোকনগর (Ashoknagar) চক থেকে স্টেশনের দিকে আসার রাস্তার এমন বেহাল দশায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তায় পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্ত তৈরি হয়েছে । বৃষ্টির জল পড়ে সেই গর্তের আকার আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে । স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন এখানকার রাস্তা সমস্যা দীর্ঘদিনের। সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে জানানো হলেও সমস্যার কোনো সুরাহা মেলেনি।

শহরের ব্যস্ততম রাস্তার বেহাল দশার জন্য পথচারীরাও ক্ষুব্ধ। মেদিনীপুর শহরের (Midnapore Town) ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উদয় পল্লী, নেপালি পাড়া ও বিডিও অফিস রোডের একই বেহাল দশা। রাস্তার মাঝে মাঝেই ছোট বড় গর্ত তৈরী হয়ে আছে। গর্ত থেকে ইট পাথর বেরিয়ে রয়েছে । বৃষ্টির জল জমে রাস্তার অবস্থা ক্রমশ বেহাল হচ্ছে ।শহরের প্রধান রাস্তাগুলো তুলনামূলকভাবে ভালো হলেও বিভিন্ন ওয়ার্ডের রাস্তার অবস্থা ভালো নয়। কোথাও আবার রাস্তার ধার ভেঙে গিয়েছে।


শহরসংলগ্ন গোলাপি চোখের রাস্তাও খুব বেহাল। মাত্র দু বছর আগে রাস্তাটি সংস্কারের কাজ হয়েছে এর মধ্যেই রাস্তায় বিশাল বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। ওই রাস্তা দিয়েই বাস ও লরি যাতায়াত করে যার জন্য গর্তের আকার প্রতিদিনই ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা ঝুঁকির বিষয়। এ বিষয়ে এম কে ডি এ (MKDA) এর চেয়ারম্যান (CHAIRMAN) তথা পুর প্রশাসক দীনেন রায় (Dinen Roy) বলেন, “কিছু রাস্তা পি ডব্লু ডি- (PWD)এর। এম কে ডি এ এর (MKDA) আওতায় যেসকল রাস্তাগুলি রয়েছে সেসব রাস্তার অবস্থা খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।”