Kali Puja
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: হাতে গোনা আর মাত্র ২ দিন আর তারপরই সারা দেশ সহ আপামর বাঙালী আলোর রোশনাইয়ে ঝলমলিয়ে উঠবে। আগামী ৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ঘোর অমাবস্যায় অন্ধকারকে দুরে সরিয়ে আলোক জ্বেলে ঝকঝকে করতে মা কালী মর্তে আবির্ভূতা হবেন। কিন্তু যাঁদের মাটির প্রদীপে ঝলমল করে বা করেছে উৎসবের আঙিনা, সেই মৃৎশিল্পীদের ঘরেই এখন অন্ধকার। কারণ, বাজারে চিনা বাল্ব ও নানান বাহারি আলোর টুনি বাল্বের জেরে কালীপুজোয় মাটির প্রদীপের কদর কমে গেছে।
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুর শহরে অবৈধ গ্যাস গোডাউনে হানা পুলিশের
আর তার জন্য সৌজন্যতা রাখতে বৈদ্যুতিক মোমবাতি, টুনি লাইট প্রভৃতি এসেছে বাজারে। আগে কালীপুজো এলেই ঘর আলো করতে মাটির প্রদীপের চাহিদাই থাকত বেশি। কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে গৃহস্থরা ঝুঁকেছেন তুলনায় সস্তা এবং বাহারি বৈদ্যুতিক আলোর দিকে। এই পরিস্থিতিতে কালীপুজোর মুখে দুঃশ্চিন্তার মুখে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কুমোররা। মাটির প্রদীপের কদর কমতে থাকায় এই কাজ ছেড়ে অনেকেই এখন অন্য পেশার দিকে ঝুঁকছেন।
আরও পড়ুন:- ভর্তি না নিয়ে প্রসূতিকে ফেরানোর অভিযোগ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বিরুদ্ধে
আলোর উৎসব তথা দীপাবলীতে ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে মাটির প্রদীপের আলো। তবে প্রদীপের চাহিদা কমলেও হাল ছাড়েননি জেলার অনেক মৃৎশিল্পীরা। সারা রাজ্য জুড়েই মৃৎশিল্পীরা পুজোর নানা উপকরণের সঙ্গে মাটির তৈরি প্রদীপ তৈরি করে আসছেন বংশ পরম্পরায়।কিন্তু বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক বৈদ্যুতিক বাতি বাজারে চলে আসায় প্রাচীন সেই মাটির প্রদীপ হারিয়ে যেতে বসেছে। কিন্তু বাজারে সেই প্রদীপের কম চাহিদা থাকায় প্রায় বন্ধের মুখে এই শিল্প।
আরও পড়ুন:- পরিবেশ রক্ষায় সচেতনতা যাত্রা, সাইকেল চালিয়ে ১০৬ কিলোমিটার পাড়ি দিলেন মেদিনীপুর রেঞ্জের আধিকারিক
জেলার বিভিন্ন গ্রামের বহু কুমোর পরিবার আগে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিল এখন সেটা কমে দাঁড়িয়েছে। মৃৎশিল্পীরা দীপাবলিকে সামনে রেখে ব্যস্ত নানা ধরনের প্রদীপ তৈরি করতে। তবে বেশ কিছু মৃৎশিল্পীর গলায় আক্ষেপের সুর। তাঁরা বলেন, আজকালকার ডিজিটাল যুগে যে হারে চায়না লাইট, টুনি বাল্ব ও নানা ধরনে এলইডি লাইট এসেছে সেই তুলনায় হাতে গড়া মাটির প্রদীপের বিক্রয় কমেছে, কমেছে তার কদর।
আরও পড়ুন:- পঞ্চায়েতের সব কাজ করলেও বেতন মিলল না পশ্চিম মেদিনীপুরের গ্রামীণ সম্পদ কর্মীদের
আরও পড়ুন:- কম বয়সি মেয়েদের বিয়ে নয়, মেদিনীপুরে পাড়া বৈঠকে আর্জি পঞ্চায়েতের
লাভ কম হলেও কুমোরদের আশা এই বছর তাঁরা লাভের মুখ দেখবেন। তাঁরা আরও বলেন, বর্তমানে মাটি ও খড়ির দামও বেড়েছে। কিন্তু প্রদীপের দাম বাড়ছে না। যাতে কোনও রকম খাওয়া খরচটা ওঠে। যদিও এখনো আগামী দিনে মাটির প্রদীপের চাহিদা বাড়বে বলে আশাবাদী জেলার মৃৎশিল্পীরা।
আরও পড়ুন:- লোকাল ট্রেন নিয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ ভারতীয় রেলের , জানুন সময়সূচি
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Kali Puja
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore
Web Desk, Biplabi Sabyasachi online paper: Counting in hand and only 2 days and then the whole country, including our Bengalis will shine in the light. On Thursday, November 4, in the new moon, Mother Kali will appear in the mortuary to remove the darkness and make the light shine. But it is now dark in the house of the potters who have made the courtyard of the festival shine with earthen lamps. This is because the value of earthen lamps in Kalipujo has declined due to Chinese bulbs and tuni bulbs of various decorative lights in the market.
And to keep courtesy for him, electric candles, tuni lights, etc. have come on the market. Earlier, when Kali puja came, there was a high demand for earthen lamps to light the house. But over the past few years, households have turned to cheaper and outdoor electric lighting. In this situation, the potters of the West Midnapore district are worried about Kalipujo. As the value of earthen lamps continues to decline, many are leaving the job and turning to other professions.
The light of the earthen lamp is gradually disappearing in the festival of light i.e. Diwali. However, many potters of the district did not give up even though the demand for lamps decreased. Potters from all over the state have been making earthen lamps with various Pujo materials for generations. But due to the low demand for the lamp in the market, the industry is almost closed.
Many potter families from different villages of the district were earlier associated with this profession but now it has come down. Potters are busy making various types of lamps in front of Diwali. However, the tone of regret in the throat of some potters. They said that in today’s digital age, sales of handmade earthen lamps have declined, compared to the rate at which China lights, tunny bulbs, and various LED lights have arrived.
Although the profits are low, the potters hope to see a profit this year. They also said that at present the price of soil and chalk has also gone up. But the price of lamps is not rising. So that the cost of any kind of food goes up. However, the potters of the district are still optimistic that the demand for earthen lamps will increase in the coming days.