Complaint for relief
আরও পড়ুন ঃ– রাজ্যে প্রথম উন্নত “জি-আই গলদা” চিংড়ির চাষ শুরু হল হলদিয়ায়
পত্রিকা প্রতিনিধি: প্রবল বর্ষণ আর জলাধারের ছাড়া জলে দুকূল ছাপিয়ে নদীর পাড় ভাঙতে ভাঙতে পৌঁছে গেছে বাড়ির দোরগোড়ায়। নদী গর্ভে বাড়ি তলিয়ে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষামাত্র। এমনই ঘটনা মেদিনীপুর সদর (Medinipur Sadar)ব্লকের গুড়গুড়িপাল (Gurguripal)থানার চাঁদড়া(Chandra) এলাকায়। আর ওই এলাকায় ত্রাণ বিলিকে কেন্দ্র করে স্বজনপোষণের অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপি(Bjp) পরিচালিত হলেও প্রধান ও উপপ্রধান কেউ আসেন না অফিসে। তৃণমূলের নেতাদের নির্দেশেই পঞ্চায়েতের কাজকর্ম হয় বলে অভিযোগ। চাঁদড়ার ধ্বজিধরা এলাকার বেশ কয়কটি বাড়ি নদীর তীরে অবস্থান করছে। যার ফলে পরিবারের সদস্যদের রাতের ঘুম উড়ে গেছে। তারা জানান, যেভাবে নদীর পাড় ভাঙছে তাতে যেকোনো সময় নদীতে ধ্বসে পড়বে বাড়ি। রাতে জেগে থাকতে হয়। ঘটনার কথা জেনে ওই এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন মেদিনীপুর সদর ব্লকের বিডিও (BDO)সুদেষ্ণা দে মৈত্র(Sudeshna Dey Moitra)। ছিলেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নয়ন দে সহ পঞ্চায়েত সদস্যরা।
আরও পড়ুন ঃ– বিজেপির মহিলা মোর্চার আইন অমান্য কর্মসূচী ঘিরে ধুন্ধুমার মেদিনীপুরে
এলাকা ঘুরে দেখে দুর্গত পরিবারগুলিকে ত্রিপল, চাল ও জামাকাপড় দেওয়া হয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দা রীতা রানা। তিনি বলেন, ‘বিডিও এসে দেখলেও নদীর পাড় বাঁধানো নিয়ে কোনো কিছু জানান নি।’ নদীতে তলিয়ে যেতে বসা সব পরিবারকে ত্রাণ না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই এলাকার মহিলা সাবিত্রী পাত্র(Sabutri Patra), জয়ন্তী পাত্ররা(Jayanta Patra) জানান, গ্রাম পঞ্চায়েত বা তৃণমূল নেতারা তাঁদের কোনোরকম সাহায্য করেনি। পঞ্চায়েতে গেলেও মেলেনি ত্রিপল। খড়ের ছাউনি বাড়িতে জল পড়ে। রাতে বাচ্চাদের নিয়ে জেগে থাকতে হয়। এক হাত দূরে নদী। যেকোনো সময় বাড়িটা ভেঙে পড়তে পারে নদীতে। বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার কথা বললেও কিছু বলেননি। তাঁদের অভিযোগ, তারা তৃণমূল করে না বলেই ত্রাণ সহ কোনোরকম সাহায্য মেলে নি।
Complaint for relief
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য নয়ন দে। তিনি জানান, কোনোরকম রাজনৈতিক রং দেখা হয় নি। যারা উপস্থিত ছিলেন সবাইকে দেওয়া হয়েছে। কারও প্রয়োজন হলে পঞ্চায়েত অফিসে এলে নিশ্চয় পাবেন। আমি দায়িত্ব নিয়ে বলছি ত্রিপল প্রয়োজন হলে আসুক নিশ্চয় দেওয়া হবে। ত্রাণ না পেলেও অতটা আক্ষেপ না থাকলেও, ক্ষোভ রয়েছে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে নদীর পাড় ভাঙলেও প্রতিকারের জন্য প্রশাসনের কোনো ভূমিকা না থাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা তুলসী ধাউড়া(Basanti Tulsi Dhaura) বলেন, প্রশাসন কোনো রকম ব্যবস্থা নেয়নি। বিডিও এসে আমাদের স্কুলে আশ্রয় নিতে বলেছেন। কিন্তু কতদিন স্কুলে থাকব? বাড়িতে গবাদি পশু রয়েছে। আমাদের অন্যত্র বাড়ি তৈরি করে দিক।
আরও পড়ুন ঃ– গত ৬ মাসে দুই জেলায় হাতির হানায় মৃত্যু ১৫ জনের, হাতি দিবসে সচেতনতার বার্তা পশ্চিম মেদিনীপুরে
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Complaint for relief
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore