Technology Minister
ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: ‘নিখোঁজ কারিগরি মন্ত্রীর সন্ধান চাই’, পোস্টার হাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরায় বিক্ষোভ দেখাল এনএসকিউএফ শিক্ষক ও ল্যাব-আ্যাসিস্ট্যান্টরা। তাদের অভিযোগ, বারে বারে রাজ্যের কারিগরি শিক্ষা দফতরের মন্ত্রীর দেখা চেয়েও পাননি। দফতরে গেলে বিভিন্ন ভাবে হেনাস্থা করা হয়েছে। তাই বাধ্য হয়েই এদিন ডেবরাতে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। এনএসকিউএফ শিক্ষক ও ল্যাব-আ্যাসিস্ট্যান্টদের অভিযোগ, করোনার জেরে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকার পর শুরু হয়েছে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পঠন-পাঠন।
আরও পড়ুন:- স্থায়ীকরণের দাবি জানিয়ে তৃণমূলে যোগদানের আবেদন আংশিক সময়ের শিক্ষকদের, শোরগোল পশ্চিম মেদিনীপুরে
আরও পড়ুন:- এগরায় সদ্যজাত শিশু বদলের অভিযোগ, চাঞ্চল্য এলাকায়
অথচ তাদের ছাঁটাই করা হয়েছে। হুমায়ুন কবির কারিগরি শিক্ষা মন্ত্রী হওয়ায় তাদের ছাঁটাই হতে হয়েছে বলে অভিযোগ। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে সরকার ও সরকার পোষিত উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সমগ্র শিক্ষা অভিযানের অন্তর্গত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বৃত্তিমূলক বিষয়গুলি সিলেবাস থাকা সকল ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে হাতে কলমে যেমন কম্পিউটার (আইটি), রিটেল, হেলথ কেয়ার, কন্সট্রাকশন, অটোমোটিভ শেখানোর সরকারি উদ্যোগ শুরু হয়। ২০১৪ সালে শিক্ষা দপ্তর পরিচালনার দায়ভার তুলে দেয় কারিগরি দফতরকে। সরকার শিক্ষক ও ল্যাব-আ্যাসিস্ট্যান্টদের নিয়োগ করে বিভিন্ন বেসরকারকারী এজেন্সি দ্বারা।
Technology Minister
আরও পড়ুন:- দীঘায় জগন্নাথ মন্দির নির্মাণে ১২৮ কোটি টাকা বরাদ্দ রাজ্যের
আরও পড়ুন:- মেদিনীপুর শহরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে নবম জেলা শিল্প মেলা
দীর্ঘ ৯ বছর ধরে কাজ করলেও বর্তমানে স্কুল খোলার আগেই এনএসকিউএফ শিক্ষক ও ল্যাব-আ্যাসিস্ট্যান্টরা কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এনএসকিউএফ শিক্ষক ও ল্যাব-আ্যাসিস্ট্যান্টরা জানান, ২৭শে অক্টোবর কারিগরি দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে আমাদের ছাঁটাইয়ের জন্য। এর প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে আন্দোলনে নামেন তারা। কারিগরি মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে রবিবার ডেবরাতে হাজির হন। কিন্তু দেখা না পেয়ে ডেবরা টোল প্লাজার কাছে পথ অবরোধ শুরু করে।
কম্পিউটার, অটোমোটিভ, প্লাম্বিং, হেলথ ইত্যাদি বিষয়গুলি শিক্ষাদানের পাশাপাশি কন্যাশ্রী, ঐক্যশ্রী, বাংলার শিক্ষা ই-পোর্টাল, সবুজ সাথী, শিক্ষাশ্রী প্রকল্পগুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের নাম ও বিস্তারিত তথ্য নথিভুক্তকরণ, বিদ্যালয়ের যাবতীয় টেকনিক্যাল কাজ, ডেটা এন্ট্রি সহ বিভিন্ন কাজ করতে হয়েছে তাদের। তাদের দাবি, বৃত্তিমূলক ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীদের যাওয়ার ও শেখার উৎসাহ প্রমাণ করে স্কুলছুট ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা অনেক হ্রাস পেয়েছিল।
আরও পড়ুন:- দিঘায় জ্যান্ত ইলিশ ! ভিড় পর্যটকদের
পশ্চিমবঙ্গ এনএসকিউএফ শিক্ষক পরিবারের রাজ্য সম্পাদক শুভদীপ ভৌমিক বলেন “২০১৩ সাল থেকে শিক্ষকতা করেও নূন্যতম সামাজিক সুরক্ষা পেলাম না, এই কি আমাদের পাওনা? আমাদের নিয়োগ হয়েছিলো সরকারের নিয়ম মেনে, এখন কয়েক হাজার পরিবার দিশেহারা। ভাতের থালায় শুধুই চোখের জল। দু-মুঠো অন্নের জন্য শিক্ষক ও ল্যাব আ্যাসিস্ট্যান্টরা রাস্তায় এবার পরিবার নিয়ে আত্মহত্যা করবে না হয় অনাহারে মরবে।” তিনি বলেন, বেসরকারিকরণ মুক্ত করে পুনরায় নিয়োগ করা হোক।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.cm/biplabisabyasachi
Technology Minister
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper In Midnapore