Home » Paschim Medinipur : ফুটবল খেলার নেশায় বাড়ি ফিরতে চেয়ে অপহরণের গল্প ফাঁদল পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র

Paschim Medinipur : ফুটবল খেলার নেশায় বাড়ি ফিরতে চেয়ে অপহরণের গল্প ফাঁদল পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

Paschim Medinipur

ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : গ্রামে অন্যান্য বাচ্চারা পড়াশোনা করতে চায় না। স্কুলেও যেতে চায় না। ফলে নিজের বাচ্চাকে একটু ভালো পড়াশোনার জন্য বোনের (নাবালকের পিসি বাড়ি) বাড়িতে রেখে এসেছিল। এবছর তাকে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তি করেছিল। দিনমজুরি করে সংসার চালানো বাবাও চেয়েছিল সন্তান যেন একটু ভালো পড়াশোনা করতে পারে। কিন্তু শুধু পড়াশোনা করতে মোটেই ভাল লাগে না শালবনীর গড়মাল এলাকার পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র রাকেশের (নাম পরিবর্তন)। চাই খেলাধূলা করতেও। পিসি বাড়িতে খেলাধূলার সুযোগ ছিল।


আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ

ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here

নিজস্ব চিত্র

কিন্তু যে খেলা হত তা পছন্দ নয় রাকেশের। সে চায় ফুটবল খেলতে। কিন্তু পিসি বাড়ি এলাকায় ফুটবল খেলে না সবাই। ক্রিকেট খেলে। যা মন পসন্দ নয়। রাকেশ মনে মনে ভাবল পিসি বাড়ি থেকে নিজের বাড়ি পালিয়ে যেতে পারলেই ভালো হতো! ছোট মস্তিষ্কে বাসা বাঁধল বড় দুষ্টুমি। বাড়ি ফেরার জন্য ফাঁদ পাতলো অপহরণের। কিন্তু কে তাকে অপহরণ করবে? তাই নিজেই নিজেকে অপহরণের গল্প ফেঁদে বসল রাকেশ।শালবনীর গড়মালে রাকেশের বাড়ি। পড়াশোনার জন্য তার পিসি বাড়ি ঝাড়গ্রামের বড়শুকজোড়ায় তাকে রেখে দিয়ে এসেছিল বাবা-মা। কয়েক মাস দিব্যি চলছিল। কিন্তু মন পড়েছিল গ্রামের বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবলে।

দিন কয়েক আগে গড়মালে নিজের গ্রামে শীতলা পূজায় তাকে নিয়ে গিয়েছিল। কয়েকদিন বন্ধুদের সঙ্গে ফুটবল খেলে তার মনে আগের স্মৃতি আবার উঁকি দেয়। সে ফিরতে চায় না আর পিসি বাড়িতে। বাড়ির লোকজন শনিবার বিকেলে পিসি বাড়িতে রেখে দিয়ে আসে। রবিবার সকালে সে পিসি বাড়িতে কাউকে না জানিয়ে হেঁটে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। গুড়গুড়িপালে পৌঁছালে একটি বাচ্চা ছেলেকে জঙ্গল পথের দিকে হেঁটে যেতে দেখে সন্দেহ বাঁধে স্থানীয়দের। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে বলে তার বাড়ি গড়মালে। তাকে শনিবার বিকেলে দুজন অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছিল।

Paschim Medinipur

আরও পড়ুন : মাধ্যমিকে এবারেও সেরা দশে পূর্বের ৭ পড়ুয়া, পড়ুন বিস্তারিত

আরও পড়ুন : “আত্মবিশ্বাসই সাফল্যের চাবিকাঠি”! ঝাড়গ্রামে মাধ্যমিকে প্রথম অন্বেষার লক্ষ্য ইঞ্জিনিয়ারিং

কংসাবতী নদীতে গাড়ি থামালে সে কোনোভাবে পালিয়ে আসে। তবে ওই ছেলেটির চোখে মুখে কোন চিন্তার ছাপ না দেখেই স্থানীয়দের সন্দেহ বাঁধে। খবর দেয় গুড়গুড়িপাল থানায়। পুলিশকেও সে জানিয়েছে অপহরণের ঘটনা। পুলিশ ওই বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়‌‌। খবর দেয় বাড়িতে। তবে বাড়ির লোকজন আসার আগেই ওই ছেলেটির কথা মতো কংসাবতী নদীর দিকেও বিষয়টির তদন্তে নামে গুড়গুড়িপাল থানার এসআই সাহেব প্রামানিক। কারণ ছোট্ট ছেলের কথা ফেলেও দেওয়া যায় না। শেষমেশ অবশ্য বাড়ির লোকজন আসতেই অপহরণের কথাকে গল্প বলেই স্বীকার করে নেয় রাকেশ।

রাকেশ পুলিশকে জানাই, তার ফুটবল খেলতে ভালো লাগে। পিসি বাড়িতে ফুটবল খেলা হয় না। সবাই ক্রিকেট খেলে। তাই সে বাড়িতেই ফিরে যেতে চায়। আর বাড়ি ফিরতে চেয়েই অপহরণের গল্প ফেঁদে ছিল সে। তার কাছ থেকে এই অপহরণের গল্প শুনে পুলিশ চিন্তায় পড়ে যায়। এর পরে আর কী বা করে পুলিশ! খেলাধূলা অবশ্যই করবে। পাশাপাশি লেখাপড়া করার গুরুত্ব কতটা তা ভাল করে বুঝিয়ে রাকেশকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় মা ও পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে। তবে পুলিশের মাথায় চিন্তার ছাপ ফেলেছে ওইটুকু বাচ্চা কি করে এত সাজিয়ে গুছিয়ে অপহরণের গল্প ফাঁদল!

আরও পড়ুন : জেলায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম মেদিনীপুর মিশন গার্লসের তনুকা

আরও পড়ুন : মাধ্যমিকে জেলায় প্রথম মেদিনীপুর কলেজিয়েট স্কুলের কৌস্তভ , প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৮

লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi

Paschim Medinipur

– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.