Home » মূর্তি তৈরিতে নেই তেমন বায়না,যেটুকু হয়েছে তাতেই ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

মূর্তি তৈরিতে নেই তেমন বায়না,যেটুকু হয়েছে তাতেই ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা

by Biplabi Sabyasachi
0 comments

পত্রিকা প্রতিনিধি : মা আসছেন,তা জানান দিয়েছে শরতের কাশফুল আর আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ।বীরেন্দ্র ভদ্রের মহালয়া ও সাক্ষাৎ করেছে দেবীর আগমনীর সুর।কিন্তু এবারের পুজো নাম মাত্র।আড়ে বহরে কম,বাজেটেও কাটছাট থিমের দুর্গাপুজোতে।তবে পূর্বের মতো একইভাবে শ্রম দিয়ে কাজে ব্যস্ত প্রতিমা শিল্পীরা।আড়ে বহরে কম হলেও ঠাকুর গড়তে ব্যস্ত মৃৎশিল্পীরা। Belda. Belda

আরও পড়ুন- করোনায় আক্রান্ত হলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর মা

করোনার দাপটে হওয়ার কথা ছিল না বাঙালির বড় উৎসব দুর্গোৎসব।তবে অনুমতি মিললে তা যৎসামান্য।থাকবে না প্যান্ডেলে থিম,আর না থাকবে প্রতিমাতে।বেশি বাজেটের থিমের প্রতিমা দাঁড়িয়েছে দশ-বারো হাজারীতে।বায়না পেলেও লাভের অঙ্কে নেই মৃৎশিল্পীরা।নারায়ণগড়ের মৃৎশিল্পী পরেশ পাত্র বলেন-“এবারে কাঁচামালের দাম আকাশ ছোয়া,৫০-৬০ টাকার সুতলি কিনতে হচ্ছে ১৩০ এ।তাই লোকসানে চলছে ঠাকুর বানানো।আর বাজেট কমে যাওয়ায় ঠাকুরের দাম ও কমেছে।”

শুধু করোনা নয়,মন খারাপের সময় ২০২০।এখনও মৃন্ময়ী থেকে আর চিন্ময়ী হয়ে ওঠা হলো না দেবী মহামায়ার,এবারের মহালয়া হল কিন্তু দেবী পক্ষ পড়লো না।২০২০ (বিষে বিষ) পাল্টে দিলো সব ইতিহাস । মহালয়ার শেষে যে মৃন্ময়ী চিন্ময়ী হয়ে উঠত সেই মা দুর্গার চোখ রয়ে গেল মৃন্ময়ীতে ,শিল্পী তুলিও থমকে গেল মল মাসের কোপে ।শিল্পীদের কথায়-“মলমাসের কারণে,পুজোর ১ মাস পাঁচ দিন আগে মহালয়া,তাই মনে মনে কাগজে এঁকে মায়ের চক্ষুদান হয়েছে।”

বেলদায় তোলা নিজস্ব চিত্র

মার্চ থেকে শুরু হয়েছে করোনা আবহ।মৃত্যু এবং আক্রান্ত সমান্তরাল গতিতে বাড়ছে।তবে এখনও কমে নি সেই রেশ।পুজার যেই বায়না হত রথের আগে সেই বায়না আসছে পুজার এক মাস আগে।মৃন্ময়ী মা কে চিন্ময়ী করতে মরিয়া শিল্পীরা।নারায়ণগড়ের মৃৎশিল্পী পরেশ পাত্র শোনালেন সেই কতার কথায়-“আগস্টের পরে বায়না হয়েছে। যেমন সময় যেত বা শ্রম যেত,একই শ্রম দিতে  হয় এক্ষেত্রেও।তাই দ্রুত গতিতে কাজ সারতে হচ্ছে।ধরা বাঁধা পুজা কমিটি তাদের কাজ করতেই হবে।তাই কষ্টে শিষ্টে কাজ চালানো হচ্ছে।”প্রশাসনিক নিয়ম মোতাবেক পুজা সারতে হবে সকল পুজো কমিটিকে।নাম মাত্রই পুজাও করতে চাইছে কমিটি গুলো।ফলে বহরে ঠাকুর গুলি দশ ফুটের মধ্যে,মন্ডপে মাস খানেক আগে থেকে পড়ে থেকে কাজ করার সুযোগ নেই।মাটির ধাঁচে কিংবা হালকা সোলা বা ডাকের কাজ দিয়ে মূর্তি তৈরি শেষ করছেন শিল্পীরা।

মৃৎ শিল্পকলার উপর সংসার চলে বেশ কয়েকজনের।তবে করোনার প্রকোপে তা কষ্টে।একই শ্রম দিতে হলেও বাজেটে নিমিত্ত মাত্র।পুরোহিত ভাতা থেকে করোনা প্রথমসারিতে থাকা স্বাস্থ্য কর্মী বা পুলিশ কর্মীদের জন্য নানা সুযোগের ব্যবস্থা করার কথা রাজ্য সরকার ঘোষনা করলেও এখনও মৃৎ শিল্পীরা অন্ধকারেই।মৃৎশিল্পীদের দাবি-“পুরোহিত ভাতা বা ইমানভাতা চালু করলেও রাজ্যসরকার কোন নজর দিচ্ছেন না মৃৎশিল্পীদের উপর।যদি কোন উৎসাহ ভাতা দেয় তবে ভালো হয়।

.লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi

You may also like

Adblock Detected

Please support us by disabling your AdBlocker extension from your browsers for our website.