Midnapore
বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : প্রাচীনত্ব মানেই মেদিনীপুর বলা চলে। প্রাচীনত্বের ক্রমবর্ধমান ধারাকে বয়ে নিয়ে চলেছে মেদিনীপুর। শতবর্ষ পুরানো এই শহর একদিকে ইতিহাস অন্যদিকে ঐতিহ্যকে বহন করে চলেছে । তৎকালীন ব্রিটিশ যুগে শুধুমাত্র অত্যাচার কিংবা বিপ্লব সংঘটিত হয়নি, মেদিনীপুরে হয়েছে উন্নয়ন। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিতে রাজাদের উদ্যোগে এবং আর্থিক সহযোগিতায় গড়ে ওঠে একাধিক জিনিস।মেদিনীপুর যেমন বিপ্লবের জেলা তেমনি জেলার বেশ কিছু স্থাপত্য শত বছরের ইতিহাসকে বহন করে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group 1: Click Here
For WhatsApp Group 2: Click Here
মেদিনীপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় তৈরি করা হয় সুবিশাল জলের ট্যাঙ্ক। যা বেশ অনেক বছর মেদিনীপুরের আনাচে-কানাচে জল সরবরাহ করেছে। তবে সেই ঐতিহ্য ও স্থাপত্যকে বাঁচিয়ে রেখেছে মেদিনীপুর। শতবর্ষে পা দেওয়া মেদিনীপুরের পুরানো জলের ট্যাঙ্কের ইতিহাস আপনাকে অবাক করবে। এবার সেই ইতিহাস সম্পর্কে জানা যাক। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সদর শহর মেদিনীপুরে মেদিনীপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে শতবর্ষে পা দেওয়া পুরানো জলের ট্যাঙ্ক। চারিদিকে ইটের দেওয়াল দিয়ে ঘেরা বেশ কয়েক হাজার গ্যালন ক্ষমতা সম্পন্ন এই পুরানো জল ট্যাঙ্ক।
Midnapore
ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায় আজ থেকে প্রায় একশো বছর আগে ১৯২৪ সালে মেদিনীপুর শহরে উচ্চতম স্থান স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় জলাধার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সুউচ্চ এবং বেশ কয়েক হাজার লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন এই জলের ট্যাঙ্ক। যা বেশ কয়েক বছর ধরে গোটা মেদিনীপুর পৌর এলাকা জুড়ে পানীয় জল সরবরাহ করেছে। জানা যায়, এই জলাধার নির্মাণের জন্য ময়ূরভঞ্জের রাজা, বর্ধমানের রাজা, মহিষাদলের রাজা সহ ২৮ জন এই ট্যাঙ্ক নির্মাণে অর্থ সাহায্য করেন। এছাড়াও একাধিক সামাজিক এবং মানুষের উপকারে কাজ করেছেন রাজা নরেন্দ্রলাল খান। মনে করা হয়, একাধিক কল স্থাপনের জন্য অর্থ সাহায্য করায় এই ট্যাঙ্কের নাম হয় রাজা নরেন্দ্রলাল খানের নামে।
আরও পড়ুন : প্লাবিত ঘাটাল, মেদিনীপুর শহরেও বাড়িতে ঢুকলো জল
আরও পড়ুন : বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই মহিলা কলেজে গাছ কেটে পরিবহনের অভিযোগ
প্রায় দেড়শ বছর আগে মেদিনীপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে নানান সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি। পৌরসভা প্রতিষ্ঠার ৬০ বছর পরে জনস্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে এই ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রসঙ্গত পাথুরে এলাকা জঙ্গলমহলের পশ্চিম মেদিনীপুর। স্বাভাবিকভাবে পৌর এলাকায় মানুষের বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই জলাধার নির্মাণ করা হয়। ইটের দেওয়াল দিয়ে ঘেরা, চারিদিকে ১২ টি আর্চের মত বিম দিয়ে তৈরি এই বিশাল জলাধার। শুধু মানুষের কাজেই যে ব্যবহৃত হয়েছে তা নয়, এই জলাধার বহন করে চলেছে সুদীর্ঘ ১০০ বছরের ইতিহাসকে। মেদিনীপুর জেলার ল্যান্ডমার্ক শহরের পুরানো জলের ট্যাঙ্কি।
আরও পড়ুন : ইসরোর দরবারে পিংলার সৌম্যদীপ! ভবিষ্যতে স্বপ্ন গবেষণার
আরও পড়ুন : পুরোনো মামলায় বিজেপির একাধিক নেতা কর্মীর বাড়িতে অভিযান পুলিশের
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Midnapore
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper