Midnapore College
বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : ঐতিহাসিক মেদিনীপুর কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুলের সামনে ফুটপাত থেকে সরানো হয়েছিল দোকানদারদের। বিকল্প হিসেবে তাদের জায়গা দেওয়া হয়েছিল শিক্ষা ভবনের গলিতে। সেখানে নাকি ব্যবসা হচ্ছে না। তাই শুক্রবার সকাল থেকে পুনরায় দোকানের স্টল নিয়ে ভিড় জমাতে থাকলো কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুল চত্বরের ফুটপাতে। প্রতিবাদে পথে নামলেন কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুল কর্তৃপক্ষ। শিক্ষক শিক্ষিকাদের পথ অবরোধ ঘিরে ঘটনায় শোরগোল। যদিও তাঁদের দাবি, অবরোধ নয়, প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নামতে হয়েছে।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশের পরই মেদিনীপুর শহরে যানজট মুক্ত করতে একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে প্রশাসন। মেদিনীপুর কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুল চত্বর এলাকাটি ঐতিহাসিক গুরুত্ব বহন করে। সেই এলাকায় রাস্তার পাশে ফুটপাতে থাকা দোকানগুলিকে সরিয়ে অন্যত্র পুনর্বাসন দেয়। ওই স্থানটিতে ঐতিহাসিক স্মৃতি সৌধ নির্মাণেরও সিদ্ধান্ত নেয় মেদিনীপুর পৌরসভা। তার আগে শুক্রবার সকাল থেকে শিক্ষা ভবনের গলি থেকে নিজেদের দোকানের স্টলগুলি নিয়ে এসে ফুটপাতে আবার বসতে শুরু করে। তখনই প্রতিবাদে নামেন কলেজ ও কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা।
আরও পড়ুন : মেদিনীপুরে থেকে স্পেনের উদ্দেশ্যে রওনা দিল সরকারি হোমের এক নাবালক
আরও পড়ুন : বনদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই মহিলা কলেজে গাছ কেটে পরিবহনের অভিযোগ
Midnapore College
দোকানদারদের দাবি, সেখানে বিক্রি হচ্ছে না। ফলে না খেতে পেয়ে আমরা মারা যাব। তাই বাধ্য হয়ে এখানে দোকান নিয়ে এসেছি।” কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সত্য রঞ্জন ঘোষ বলেন, “দীর্ঘদিনের দাবি ছিল ঐতিহাসিক স্থানটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার। প্রশাসনকেও আমরা জানিয়েছিলাম। কিছুদিন আগেই সেই দোকানগুলিকে পুনর্বাসন দিয়ে অন্যত্র সরানো হয়। আজকে আবার দেখি পুনরায় সেই দোকানগুলি বসতে শুরু করে। আমরা মহকুমা শাসক এবং পৌরপ্রধানকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম। কলেজিয়েট স্কুল ও কলেজ কর্তৃপক্ষ মিলে দোকানদার ভাইদেরও জানালাম।
আমরা চাইনা তাদের রুটিরুজি বন্ধ হোক। প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করে তার একটা সুরাহা করার কথা আমরা জানিয়েছি।” পৌরপ্রধান সৌমেন খান বলেন, “যে সমস্ত দোকান এখানে এসেছিল তারা যে অবস্থায় ছিল সেখানে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।” কলেজিয়েট স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা শিবানী পড়িয়া বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলনে নেমেছি। যেভাবে জায়গাটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রয়েছে তা শহরবাসীও চেয়েছিলেন। আগামী দিনেও প্রশাসনের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত হবে।”
পাশাপাশি আন্দোলনে নামেন হকার ও দোকানদারেরা। কলেজ রাস্তার পাশে বসে আমরণ অনশন আন্দোলনে সামিল হয়েছেন তারা। তাদের অভিযোগ, অন্যায় ভাবে শুধুমাত্র মেদিনীপুর কলেজ স্কোয়ারের হকারদের উচ্ছেদ করে রুটি রোজগার বন্ধ করার চেষ্টা করছে।
আরও পড়ুন : ইসরোর দরবারে পিংলার সৌম্যদীপ! ভবিষ্যতে স্বপ্ন গবেষণার
আরও পড়ুন : পুরোনো মামলায় বিজেপির একাধিক নেতা কর্মীর বাড়িতে অভিযান পুলিশের
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Midnapore College
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper