বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: টানা চার মাস কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হল আরও এক প্রসূতির। মোট দুজন প্রসূতির মৃত্যু হল বিতর্কিত স্যালাইন কাণ্ডের ঘটনায়। গত ৮ জানুয়ারি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসা বিভ্রাটে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন ৫ প্রসূতি ৷ তাদের মধ্যে মারা গিয়েছিলেন একজন৷ বাকি একজন মেদিনীপুর হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন। আরও তিনজনকে ক্রিটিক্যাল অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। সেখানে গত ১০ জানুয়ারি আরও একজন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বাকি দুজনের মধ্যে মাম্পি সিংও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। অপরজন নাসরিন খাতুন তখনও চিকিৎসাধীন ছিলেন। টানা চার মাস তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। অবশেষে রবিবার রাতে তার মৃত্যু হয়। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকারিক সৌম্যশঙ্কর ষড়ঙ্গী বলেন, ‘ডায়ালিসিস নিতে নিতেই মাল্টিঅর্গান ফেলিওর হয়ে নাসরিন খাতুনের মৃত্যু হয় বলে জানতে পেরেছি। এসএসকেএম হাসপাতালেই ময়নাতদন্ত হবে। অত্যন্ত মর্মান্তিক ঘটনা।’
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here

আরও পড়ুন : দিনমজুরের মেয়ে! উচ্চ মাধ্যমিকে সাঁওতালি ভাষায় রাজ্যে প্রথম ঝাড়গ্রামের মিনতি
উল্লেখ্য, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গত ৮ জানুয়ারি রাতে ৫ প্রসূতি অপারেশনের পরে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। অভিযোগ ছিল ভুল চিকিৎসা ও কালো তালিকাভুক্ত স্যালাইন ব্যবহার নিয়ে। তাদের মধ্যে ১০ জানুয়ারি মামনি রুইদাস মারা গিয়েছিলেন। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা পরিস্থিতি তৈরী হয় ৷ বাকি চারজনের মধ্যে তিন প্রসূতির অবস্থার অবনতি হওয়াতে তাদের গ্রীন করিডর করে মেদিনীপুর থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল উন্নত চিকিৎসার জন্য৷ অন্যদিকে এই প্রসূতিদের এক সদ্যজাত সন্তানও মারা যায়। কলকাতার এসএসকেএম পাঠানো হয়েছিল প্রসূতি মিনারা বিবি, নাসরিন খাতুন, মাম্পি সিং-কে ৷ মিনারা বিবি ও মাম্পি সিং সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেও নাসরিন খাতুনের মৃত্যু হয়। প্রসবের পর থেকে সন্তানের মুখ দেখতে পেল না নাসরিন। মা হারা হলো চার মাসের কন্যা সন্তান। নাসরিনের স্বামী জানিয়েছে, ‘মেয়েকে কিভাবে মানুষ করব এখন ভেবে পাচ্ছি না।’ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফেই দেহ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন : স্বাক্ষর করতে জানে না বাবা-মা, বিড়ি বেঁধে চলে সংসার, কলা বিভাগে চমকে দেওয়া রেজাল্ট করেও উচ্চশিক্ষার দরজা বন্ধের আশঙ্কা সৌমেনের
তবে এই চিকিৎসা গাফলতির ঘটনাতে সিনিয়ার ও জুনিয়র মিলে মোট ১৩ জন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছিল রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। পরে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন দিক বিবেচনা করে জুনিয়র ডাক্তারদের সাসপেনশন প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছিলেন। তবে কি কারণে প্রসূতি মৃত্যু তার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। প্রকৃত কারণ প্রকাশ্যে আনার দাবি জানিয়েছিল একাধিক চিকিৎসক সংগঠন।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Saline Tragedy
Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper