বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন: খড়্গপুরের পর এবার উচ্ছেদের নোটিশ মেদিনীপুরে। মেদিনীপুর শহরে রেলওয়ের জায়গায় বসবাসকারী ৫০০ পরিবারে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। উচ্ছেদের আশঙ্কায় মাথায় হাত মানুষজনের। সাত দিনের মধ্যে বাড়ি খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেলওয়ের পক্ষ থেকে। খড়্গপুরের পাশাপাশি মেদিনীপুর রেল স্টেশনকে সাজানো হচ্ছে অমৃত ভারত প্রকল্পে। সেই কাজে নেমে রেলওয়ের জায়গায় থাকা বস্তি উঠছেদের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। মেদিনীপুর শহরে রেলের জায়গায় ৫ শতাধিক বাড়ি হয়েছে। ৭ দিনের মধ্যে উঠে যাওয়ার নোটিশ ঘিরে মাথায় হাত তাদের।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন :
For WhatsApp Group : Click Here

প্রতীকী ছবি
আরও পড়ুন : দিনমজুরের মেয়ে! উচ্চ মাধ্যমিকে সাঁওতালি ভাষায় রাজ্যে প্রথম ঝাড়গ্রামের মিনতি
ঘটনাটি মেদিনীপুর শহরের রেল স্টেশন সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকার। ওই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করছেন জেলার বিভিন্ন প্রান্তের পাশাপাশি ভিন রাজ্যের মানুষজন। এদের অধিকাংশই দিনমজুর। নোটিশের পরই শাসক দলের দ্বারস্থ হয়েছেন বস্তিবাসী। খড়্গপুরের ধাঁচে আন্দোলন হবে বলে শাসক দলের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে বস্তিবাসীদের। উল্লেখ্য, এর আগে খড়্গপুর শহরেও এই রেলের জায়গায় বস্তি উচ্ছেদ ঘিরে আন্দোলনে নামে শাসক দল। সেখানে উচ্ছেদ অভিযান থেকে কিছুটা পিছু হটেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এবার সেই আন্দোলন শুরু হবে মেদিনীপুর শহরে।
আরও পড়ুন : স্বাক্ষর করতে জানে না বাবা-মা, বিড়ি বেঁধে চলে সংসার, কলা বিভাগে চমকে দেওয়া রেজাল্ট করেও উচ্চশিক্ষার দরজা বন্ধের আশঙ্কা সৌমেনের
এই এলাকায় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা সহ উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বাসিন্দারাও রয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ দিনমজুরের কাজ করেন, কেউ আবার লরি চালক। কেউ ৩০ বছর, কেউ বা ৪০ বছর ধরে বসবাস করছেন। নোটিশের পর পরিবার নিয়ে কোথায় যাবেন তা নিয়ে ঘুম উড়েছে তাদের। তাদের দাবি, বিকল্প বাসস্থানের ব্যবস্থা করে দেওয়ার। উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা বাসিন্দা হরিশংকর যাদব জানাচ্ছেন, “৪০ বছর ধরে লরিচালকের কাজ করছি। আগে ভাড়া বাড়িতে থাকতাম। পরে একটি ঝুপড়ি বানিয়ে বসবাস শুরু করি। এই বয়সেই কোথায় যাব? সরকার উচ্ছেদ করতে চাইলে আগে পুনর্বাসন দিক।” পিংলার বাসিন্দা দিপালী মাইতি বলেন, “২০ বছর ধরে এখানে ঝুপড়ি বানিয়ে রয়েছি। মেদিনীপুর শহরে একটি ফাস্টফুডের দোকান রয়েছে ফুটপাতে। স্বামী সন্তান নিয়ে এবার কোথায় যাব ভাবতে পারছিনা।” এই সমস্ত বস্তিবাসীদের পাশে দাঁড়িয়েছে শাসক দল তৃণমূল। ইতিমধ্যে মেদিনীপুর পৌরসভা সহ বিভিন্ন প্রশাসনিক এবং জনপ্রতিনিধিদের আবেদন জানিয়েছেন, যাতে উচ্ছেদ করার আগে তাদের পুনর্বাসন দেওয়া হয়।
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Eviction Notice
Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper