ওয়েব ডেস্ক, বিপ্লবী সব্যসাচী পত্রিকা অনলাইন : লোকসভা ভোটের প্রচারে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে গোটা রাজ্যের পাশাপাশি দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামে চরকি পাক মমতার। ২৫ শে এপ্রিল মেদিনীপুরের প্রার্থী জুন মালিয়ার সমর্থনে প্রথমে দাঁতন এবং পরে দেবাংশু ভট্টাচার্যের সমর্থনে তমলুকে জনসভা করেন তিনি। ২৬ শে মে ঘাটালের প্রার্থী দেবের সমর্থনে পিংলায় এবং পরে ঝাড়গ্রাম লোকসভার প্রার্থী কালীপদ সরেনের সমর্থনে গড়বেতায় সভা করেন তৃণমূল নেত্রী। দুদিনে চারটি সভাতেই মমতা আক্রমণ সানায় বিজেপিকে। হাঁসফাঁস গরমে দাবদাহের পারদ চড়ার পাশাপাশি পারদ চড়ে মমতার জনসভাতেও।
আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন… প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন বিপ্লবী সব্যসাচী নিউজ
ঝটিতি খবর পেতে আমাদের WhatsApp গ্রুপে জয়েন করুন : Click Here
বিপ্লবের মাটিতে দাঁড়িয়ে মমতার মুখে উঠে আসে বিপ্লবীদের নাম। ভোট প্রচারে একের পর এক মঞ্চে নাম না করে মমতা আক্রমণ সানায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি ও কেন্দ্রের মোদী সরকারকে। কেন্দ্রীয় বঞ্চনা থেকে শুরু করে রাজ্যের প্রকল্প জনসভায় ভোটারদের কাছে তুলে ধরেন তিনি। তবে এই দুদিনের ভোট প্রচারে মমতার সবকটি মঞ্চে মূল ইস্যু হিসেবে উঠে আসে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২৬ হাজার চাকরি বাতিল প্রসঙ্গ। এই চাকরি বাতিল নিয়েই এখন রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। দাঁতনের সভা থেকে নাম না করে শুভেন্দুকে নিশানা করে মমতা বলেন, ‘গদ্দারদের একটা সংজ্ঞা আছে, যারা সব সংজ্ঞাকে ছাড়িয়ে যায়, তিনি বুকে হাত রেখে বলতে পারবেন, তিনি কারো কাছে কিছু নেন নি?
তিনি বলতে পারবেন, কত জন কার হাত দিয়ে পেয়েছে? পুরুলিয়ার লোকেরা রাস্তায় কেন বসেছিল? কারণ সেখানকার সিট গুলো মেদিনীপুরে বিক্রি করে দেওয়া হয়েছিল। আমি যখন শুনেছিলাম আমি বলেছিলাম, ঠিক আছে মেদিনীপুরের লোকেরা পেয়েছে ভালো, কিন্তু পুরুলিয়ার লোকেরা যাতে বঞ্চিত না হয় সেটাও দেখার দরকার। আর তুমি আজ মহারাজা হয়ে গেছ। এই ইলেকশনে দেখে নেব’। ওই জনসভায় মমতা আরো বলেন, ‘চাকরি খেয়েছে বিজেপি। আমি বিচারপতিদের অসম্মান করি না, কিন্তু গণতন্ত্র আজ কাঁদছে, আত্মপক্ষকে সমর্থনের সুজোগ না দিয়ে এত লোকের চাকরি খেয়ে নেওয়া হয়েছে’।
আবাস যোজনার টাকা আটকে রাখা নিয়ে দাঁতনের সভা থেকে মমতার ঘোষনা কেন্দ্র টাকা না দিলে আগামী ডিসেম্বরে বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকা পেয়ে যাবেন রাজ্যের ১১ লক্ষ পরিবার। তমলুকের জনসভা থেকে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গাঙ্গুলিকে নিশানা করে মমতা বলেন ‘যিনি ছাত্র-ছাত্রীদের চাকরি যাওয়ার জন্য প্রথম সই করেছিলেন তিনি এই আসনে দেবাংশুর বিরুদ্ধে লড়ছে। বিচারকের আসনে বসে বিজেপির সাথে ফোনে কথা বলতেন, সবার চাকরি খেতেন আর অন্যদের গালাগাল দিতেন, তাকে বিতাড়িত করে দিন’। তমলুকে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন ‘লোডসেডিং করে, ইভিএম চুরি করে জেতার বিচার আড়াই বছরে পাইনি।
আরও পড়ুন : পুরুলিয়ার চাকরির সিটগুলি মেদিনীপুরের লোককে বিক্রি করেছিল শুভেন্দু?
আরও পড়ুন : নির্বাচনী প্রচারে পশ্চিম মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী
২৬ তারিখ দাঁতনের সভা থেকে মমতা বলেন, ‘আপনারা মানুষ খেকো বাঘ দেখেছেন, কিন্তু চাকরি খেকো মানুষ দেখেছেন? চাকরি খেকো রাম-বাম দেখেছেন? চাকরি কেড়ে নিয়ে বলছে চার সপ্তাহের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে। এটা কি সম্ভব? যিনি রায় দিয়েছেন তাঁকে যদি বলা হয় চাকরির টাকা ফেরত দিতে তিনি কি পারবেন’? চাকরির রায় নিয়ে এমনি বক্তব্য রাখেন তৃণমূল নেত্রী। নেত্রী বলেন বিজেপি কিছু করলে বেল আর তৃণমূল কিছু করলে জেল। এদিন মমতার মুখে ফের উঠে আসে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের কথা।
দেব জিতলেই ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রুপায়ন করে দেওয়া হবে। গড়বেতার জনসভা থেকেও কেন্দ্রকে আক্রমন করে মমতা বলেন বাংলায় এনআরসি, সিএএ করতে দেব না। এখানেও কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে সরব হন তিনি। মোটের উপর দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রামের ভোট প্রচারে মমতা আক্রমণের সুর চড়ান বিজেপির উপর। তবে মমতার সব সভাতেই নজর কাড়ে একটি বিষয়, তা হলো গায়ক ইন্দ্রনীলের কন্ঠে আদিবাসী জনজাতির হাতে হাত রেখে মমতার নাচ। সেই নাচে পা মেলাতে দেখা যায় মমতা সহ প্রার্থী দেব, জুন মালিয়া সহ তৃণমূলের অন্যান্য নেত্রীদের।
আরও পড়ুন : ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে এবার অভিনেতা বনাম অভিনেতার লড়াই! জল্পনা তুঙ্গে
আরও পড়ুন : হুটার বাজিয়ে এসকর্ট করে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছাবে বনদপ্তর, থাকবে কড়া নজরদারি
লাইক করুন আমাদের ফেসবুক পেজ- https://www.facebook.com/biplabisabyasachi
Lok Sabha Election
– Biplabi Sabyasachi Largest Bengali Newspaper